কুমিল্লার দাউদকান্দিতে যুবলীগ নেতা জামাল হোসেন (৪০) হত্যাকাণ্ডের একটি ভিডিও ফুটেজ প্রকাশ্যে এসেছে। এতে দেখা যায়, বোরকা পরা তিন যুবক তাকে গুলি করে পালিয়ে যান।
গতকাল রোববার রাত সোয়া ৮টার দিকে কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার গৌরীপুর পশ্চিম বাজার ঈদগাহ এলাকায় এ হত্যাকাণ্ড ঘটে। নিহত জামাল হোসেন তিতাস উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ছিলেন। তিনি উপজেলার জিয়ারকান্দি গ্রামের ফজলুল হকের ছেলে।
জামাল হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ১ মিনিট ২৬ সেকেন্ডের একটি ভিডিও ফুটেজ প্রকাশ্যে এসেছে। ওই ফুটেজে দেখা যায়, বোরকা পরা তিন যুবক গৌরীপুর পশ্চিম বাজার বায়তুন নুর জামে মসজিদ গলি দিয়ে প্রবেশ করছেন। একই সময় জামাল হোসেন মসজিদের দিকে যাচ্ছিলেন। তিনি মসজিদের পাশে সুমাইয়া কনফেকশনারির কাছে পৌঁছালে কিছু বুঝে ওঠার আগেই দুর্বৃত্তরা তাকে লক্ষ্য করে গুলি করতে থাকে।
দুর্বৃত্তদের গুলি করার সময় ব্যবসায়ীরা ভয়ে দোকানের সাটার নামাতে থাকেন। পথচারীরা দিগ্বিদিক ছোটাছুটি করতে থাকেন। পরে দুর্বৃত্তরা মসজিদ গলি দিয়ে পালিয়ে যান।
পরে স্থানীয় বাসিন্দারা জামাল হোসেনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় দাউদকান্দি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক মো. মোয়াজ্জেম আহমেদ তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, ‘নিহতের বুকে গুলির চিহ্ন দেখা গেছে। আর কিছু দেখার আগেই পরিবারের লোকজন তাকে ঢাকায় নিয়ে যায়।’
ঘটনার পর দাউদকান্দি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ আলমগীর ভূঞা বলেন, ‘গৌরীপুর বাজারে যুবলীগ নেতা গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গেছেন এমন খবর শুনেছি। ঘটনার পর থেকে সেখানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা অবস্থান করছে।’