চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের একটি স্টিল মিলের বিষাক্ত এসিড ‘হাইড্রো কার্বলিক এসিড’ সঞ্চালন পাইপে বিস্ফোরণ ঘটেছে। এতে শত শত টন এসিড কারখানাসহ আশপাশের এলাকা ও খালের পানিতে ছড়িয়ে পড়েছে। এতে কেমিক্যালের ঝাঁঝালো দুর্গন্ধে অর্ধশতাধিক মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়েছে বলে জানা গেছে। তাদের শ্বাসকষ্ট সমস্যা হচ্ছে। কয়েকজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় কারখানাসহ এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
উপজেলার কুমিরা মাজার গেইটে অবস্থিত টিকে গ্রুপের মালিকানাধীন কর্ণফুলী স্টিল মিলে এ ঘটনা ঘটেছে।
উদ্ধারে আসা ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা প্রথমদিকে ঝাঁঝালো গন্ধ ও শ্বাসকষ্ট সমস্যায় পড়েন। তারা পরে নিরাপত্তা সাপোর্ট নিয়ে উদ্ধার কাজ করেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটলেও আজ শুক্রবার বিকেলে এ রিপোর্ট লেখার সময় পর্যন্ত খালের পানিতে ছড়িয়ে পড়া কেমিক্যাল সরানো সম্ভব হয়নি। তবে আশপাশের লোকালয় থেকে ক্যামিকেল সরানো সম্ভব হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, স্টিল মিলের জন্য আমদানি করা পুরাতন জং ধরা লোহাকে পরিষ্কার করতে ‘হাইড্রো কার্বলিক এসিড’ নামে এক প্রকার বিষাক্ত ঝাঁঝালো কেমিক্যাল ব্যবহার করা হয়। আর এ কেমিক্যালকে অনেক সতর্কতার সাথে ব্যবহার করতে হয়। কর্ণফুলী স্টিল মিলের জন্য বিদেশ থেকে আমদানি করা এ কেমিক্যাল বৃহস্পতিবার সকালে পাইপ লাইনের মাধ্যমে মিলের ভিতরে সঞ্চালন করতে থাকে। এ সময় হঠাৎ পাইপের ভাউসারে বিস্ফোরণ ঘটে।
সীতাকুণ্ড মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তোফায়েল আহমেদ বলেন, এ বিষাক্ত এসিড আনলোড করার সময় পাইপ ফেটে যায়। এতে এসিডগুলো প্রথমে কারখানায় ছড়িয়ে পড়ে। পরে তা পুরাতন মহাসড়কসহ কুমিরা খালেও ছড়িয়ে পড়ে। এতে অনেক লোক শ্বাস-নিঃশ্বাস নিতে না পেরে অসুস্থ হয়ে পড়েছে। স্থানীয় বাসিন্দা ইব্রাহিম, আবুল খায়ের, গৌতম আশ্চর্য, নাজিম উদ্দিনসহ কয়েকজনকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়ার পর সুস্থ হয়ে উঠে। এতে এলাকার অর্ধশত মানুষ শ্বাসকষ্টে সমস্যায় পড়ে অসুস্থ হয়ে পড়ে।
কুমিরা ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার ফিরোজ ভূঁইয়া বলেন, বিষাক্ত কেমিক্যালে পাইপের ভাউসার বিস্ফোরণের খবর পেয়ে আমরা দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করি। কেমিক্যালের ঝাঁঝালো গন্ধে অনেক মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়ে। কেমিক্যালে পর্যাপ্ত পানি ঢালার পর গন্ধ কমে যায়। এছাড়া কারখানা থেকে অনেক কেমিক্যাল পাশ্ববর্তী খালে ছাড়া হয়েছে, এতে পরিবেশের ক্ষতি হচ্ছে।
স্থানীয় কুমিরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোরশেদ হোসেন চৌধুরী বলেন, প্রায় সময় বিভিন্ন কারখানার বিষাক্ত বর্জ্য এ ইউনিয়নের একমাত্র বড় খাল কুমিরা খালে ছেড়ে দেন কারখানার মালিকরা। এতে করে কুমিরা খালের অবস্থা খুবই করুণ। ধ্বংস হচ্ছে পরিবেশ, কৃষিকাজে ব্যবহার করা যাচ্ছে না পানি। সমুদ্রের মাছ নষ্ট