ফরিদপুরের জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের অভিযানে ঢাকার মতিঝিলের দিলকুশা বাণিজ্যিক এলাকায় একটি কুরিয়ার সার্ভিস থেকে ৫০ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে।
একটি বস্তায় ৫০টি স্কুল ব্যাগে করে এসব মাদক ঢাকা থেকে মাদারীপুরে পাঠানো হচ্ছিল। এ ঘটনায় আটক করা হয়েছে এক মাদক কারবারিকে।
শনিবার (৬ মে) জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর (ডিএনসি) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
আটক ওই ব্যক্তির নাম সাইফুল ইসলাম (৩৯)। তিনি গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার ননীক্ষীর এলাকার মৃত নুরুল ইসলামের ছেলে।
ডিএনসির ফরিদপুর জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক শামীম হোসেন জানান, গোপন সূত্রে সংবাদ পেয়ে ডিএনসি ফরিদপুর জেলা কার্যালয়ের কর্মকর্তারা বেশ কিছুদিন ধরে সন্দেহভাজন এক ব্যক্তির গতিবিধির ওপর নজর রাখছিলেন। এরই মধ্যে খবর পাওয়া যায় কক্সবাজার থেকে ইয়াবার একটি বড় চালান কুরিয়ারে করে ঢাকা হয়ে মাদারীপুর যাবে। এ তথ্যের ভিত্তিতে সাইফুল ইসলামকে মতিঝিলের শাপলা চত্বর থেকে আটক করার পর ব্যাপক তল্লাশি করে তার কাছ থেকে সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিসের একটি পণ্য চালানের অনুলিপি পাওয়া যায়। জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে সাইফুল জানান, দিলকুশা বাণিজ্যিক এলাকার ওই কুরিয়ার সার্ভিস সেন্টার থেকে মাদকের একটি চালান তার বুঝে নেয়ার কথা। পরে তাকে সেখানে নিয়ে চালানের অনুলিপির মাধ্যমে পণ্যের একটি বস্তা সংগ্রহ করা হয়। বস্তায় পাওয়া যায় ৫০টি স্কুলব্যাগ। এসব ব্যাগে পলিথিনের বড় প্যাকেটে বিশেষ কৌশলে লুকানো ২৫০টি নীল রঙের জিপার পাওয়া যায়। প্রতিটি জিপার থেকে ২০০টি ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। শুক্রবার (৫ মে) বিকেল ৫টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত চার ঘণ্টাব্যাপী এ অভিযান চালানো হয়।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের ফরিদপুর জেলার উপপরিচালক শামীম হোসেন এই প্রতিবেদককে জানান, জেলার বাইরে হওয়ায় ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি সাপেক্ষে ফরিদপুরের ডিএনসি এ অভিযান পরিচালনা করে। আটকের পর জিজ্ঞাসাবাদে সাইফুল জানিয়েছেন, দেশের দক্ষিণাঞ্চলের মাদক কারবারিদের কাছে ইয়াবা সংবরাহ করেন তিনি। সাইফুলের বিরুদ্ধে এর আগেও ফরিদপুরের ডিএনসি মাদকের মামলা রুজু করে। এছাড়া এসব ইয়াবা তার নিজের বলে স্বীকার করেছে বলে জানান শামীম হোসেন। আর তিনি চট্টগ্রাম থেকে তিনি নিজেই ইয়াবার এই চালান ঢাকায় পাঠিয়েছেন। আলাদা মোবাইল নম্বর ব্যবহার করে তিনি নিজেই এর প্রাপক ও প্রেরক ছিলেন।