ঢাকা , সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

নারায়ণগঞ্জে স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে আটকের জেরে ডিবি পুলিশ অবরুদ্ধ

নারায়ণগঞ্জ শহরের কালির বাজার স্বর্ণপট্টি এলাকায় রোববার রাতে এক ব্যবসায়ীকে আটকের ঘটনায় তুলকালাম কাণ্ড ঘটেছে। ওই স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে চোরাই স্বর্ণালঙ্কার বিক্রির অভিযোগে আটক করে থানায় নিয়ে যাওয়ার সময় শত শত ব্যবসায়ী ও স্বর্ণ শিল্পিরা জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) একটি টিমকে ঘণ্টাখানেক অবরুদ্ধ করে রাখেন। পরে অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে ব্যবসায়ীদের সাথে পুলিশের ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে।

পুলিশের দাবি, চুরি হয়ে যাওয়া স্বর্ণালঙ্কার কেনার নিশ্চিত তথ্য পেয়েই বিপ্লব দাস নামের ওই ব্যবসায়ীকে আটক করা হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রোববার রাত সাড়ে ৮টার দিকে কালির বাজারের নওয়াব প্লাজার রুপসা নামের অলঙ্কারের দোকানে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিবি) তরিকুল ইসলামের নেতৃত্বে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের একটি টিম অভিযান চালায়। এ সময় তারা বিপ্লব দাসকে আটক করলে খবর পেয়ে আশপাশের স্বর্ণ ব্যবসায়ীরা পুলিশকে অবরুদ্ধ করে রাখেন। এ সময় পুলিশের সদস্যরা ব্যবসায়ীদেরকে বোঝানোর চেষ্টা করলেও তারা মারমুখী হয়ে উঠেন। পরে অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছলে ব্যবসায়ীদের সাথে প্রথমে ধস্তাধস্তি ও পরে ধাওয়া-পালটাধাওয়ার ঘটনা ঘটে। একপর্যায়ে পুলিশ লাঠিচার্জ করলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।

কালির বাজারের স্বর্ণ ব্যবসায়ী স্মৃতি জুয়েলার্সের মালিক অমিত সাহা বলেন, আমাদের এখানে প্রতিদিন অনেক মানুষ স্বর্ণ কিনতে আসে, বেচতে আসে। বেচতে আসা স্বর্ণগুলো অনেক পুরনো হয়। আমরা তো বুঝতে পারি না যে, সেটা চোরাই নাকি বৈধ। এটার ক্ষেত্রেও তাই হয়েছে। বিপ্লব দাস সঞ্জয় নামে এক মাঠা বিক্রেতার কাছ থেকে স্বর্ণ কিনেছেন। ওই মাঠা বিক্রেতাও আগে স্বর্ণ ব্যবসায়ী ছিলেন। কিন্তু কেনার পর পুলিশ এসে তাকে চোরাই স্বর্ণ কেনার অভিযোগ দিয়ে ধরে নিয়ে গেছে।

ডিবির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তরিকুল ইসলাম বলেন, একটি মামলার চুরি হওয়া স্বর্ণ সঞ্জয় দাস নামের এক আসামি রুপসা অলঙ্কারের স্বত্বাধিকারী বিপ্লব দাসের কাছে বিক্রি করে বলে আমাদের জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করে। সেই তথ্যের ভিত্তিতেই আমরা ওই দোকানে অভিযান চালাই এবং বিপ্লবকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া যায়। এ সময় তাকে আটক করে নিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয় স্বর্ণ ব্যবসায়ীরা বাধা দেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে পুলিশ।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

আজকের সূর্যোদয়

আজকের সূর্যোদয় প্রত্রিকায় আপনাদের স্বাগতম। ‍আমাদের নিউজ পড়ুন এবং বিজ্ঞাপন দিয়ে আমাদের পাশে থাকুন।

বরিশালে মুজিবিয়ানের ৮৭ নেতাকে খুঁজছে গোয়েন্দা সংস্থা

নারায়ণগঞ্জে স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে আটকের জেরে ডিবি পুলিশ অবরুদ্ধ

আপডেট সময় ০৬:০৭:৪৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ৮ মে ২০২৩

নারায়ণগঞ্জ শহরের কালির বাজার স্বর্ণপট্টি এলাকায় রোববার রাতে এক ব্যবসায়ীকে আটকের ঘটনায় তুলকালাম কাণ্ড ঘটেছে। ওই স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে চোরাই স্বর্ণালঙ্কার বিক্রির অভিযোগে আটক করে থানায় নিয়ে যাওয়ার সময় শত শত ব্যবসায়ী ও স্বর্ণ শিল্পিরা জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) একটি টিমকে ঘণ্টাখানেক অবরুদ্ধ করে রাখেন। পরে অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে ব্যবসায়ীদের সাথে পুলিশের ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে।

পুলিশের দাবি, চুরি হয়ে যাওয়া স্বর্ণালঙ্কার কেনার নিশ্চিত তথ্য পেয়েই বিপ্লব দাস নামের ওই ব্যবসায়ীকে আটক করা হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রোববার রাত সাড়ে ৮টার দিকে কালির বাজারের নওয়াব প্লাজার রুপসা নামের অলঙ্কারের দোকানে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিবি) তরিকুল ইসলামের নেতৃত্বে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের একটি টিম অভিযান চালায়। এ সময় তারা বিপ্লব দাসকে আটক করলে খবর পেয়ে আশপাশের স্বর্ণ ব্যবসায়ীরা পুলিশকে অবরুদ্ধ করে রাখেন। এ সময় পুলিশের সদস্যরা ব্যবসায়ীদেরকে বোঝানোর চেষ্টা করলেও তারা মারমুখী হয়ে উঠেন। পরে অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছলে ব্যবসায়ীদের সাথে প্রথমে ধস্তাধস্তি ও পরে ধাওয়া-পালটাধাওয়ার ঘটনা ঘটে। একপর্যায়ে পুলিশ লাঠিচার্জ করলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।

কালির বাজারের স্বর্ণ ব্যবসায়ী স্মৃতি জুয়েলার্সের মালিক অমিত সাহা বলেন, আমাদের এখানে প্রতিদিন অনেক মানুষ স্বর্ণ কিনতে আসে, বেচতে আসে। বেচতে আসা স্বর্ণগুলো অনেক পুরনো হয়। আমরা তো বুঝতে পারি না যে, সেটা চোরাই নাকি বৈধ। এটার ক্ষেত্রেও তাই হয়েছে। বিপ্লব দাস সঞ্জয় নামে এক মাঠা বিক্রেতার কাছ থেকে স্বর্ণ কিনেছেন। ওই মাঠা বিক্রেতাও আগে স্বর্ণ ব্যবসায়ী ছিলেন। কিন্তু কেনার পর পুলিশ এসে তাকে চোরাই স্বর্ণ কেনার অভিযোগ দিয়ে ধরে নিয়ে গেছে।

ডিবির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তরিকুল ইসলাম বলেন, একটি মামলার চুরি হওয়া স্বর্ণ সঞ্জয় দাস নামের এক আসামি রুপসা অলঙ্কারের স্বত্বাধিকারী বিপ্লব দাসের কাছে বিক্রি করে বলে আমাদের জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করে। সেই তথ্যের ভিত্তিতেই আমরা ওই দোকানে অভিযান চালাই এবং বিপ্লবকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া যায়। এ সময় তাকে আটক করে নিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয় স্বর্ণ ব্যবসায়ীরা বাধা দেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে পুলিশ।