ঢাকা , মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

ঢাকা-কুয়াকাটা মহাসড়কের রোড ডিভাইডার যেন মরণফাঁদ!

  • সূর্যোদয় ডেস্ক:
  • আপডেট সময় ০৪:২৫:৩১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ জানুয়ারী ২০২৩
  • ১৩৬৫ বার পড়া হয়েছে

পটুয়াখালীতে ঢাকা-কুয়াকাটা মহাসড়কে নির্মাণ করা একটি রোড ডিভাইডার এখন রীতিমতো মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। প্রতিদিনই এই ডিভাইডারে ওপর যানবাহন উঠে দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন কুয়াকাটায় আগত পর্যটকসহ স্থানীয়রা।তবে সড়ক ও জনপথ বিভাগ বলছে, ঝুঁকি বিবেচনা করে দ্রুত ডিভাইডারটি অপসারণে উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।

পটুয়াখালী-কুয়াকাটা মহাসড়কের কলাপাড়া উপজেলার রজোপাড়া এলাকা থেকে সরাসরি পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে যেতে সম্প্রতি নতুন একটি সংযোগ সড়ক নির্মাণ করেছে সড়ক ও জনপথ বিভাগ। যেখান থেকে সংযোগ সড়কটি শুরু হয়েছে সেখানে প্রায় ৫০ মিটার দৈর্ঘ্যের একটি রোড ডিভাইডার নির্মাণ করা হয়। তবে মহাসড়ক খুব বেশি প্রশস্ত না হওয়ায় এবং এই সড়কের অন্য কোথাও ডিভাইডার না থাকায় এই সড়কে প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা। এতে করে সড়কে চলাচলকারীদের জীবন মারাত্মক হুমকির মধ্যে পড়েছে।

রজোপাড়া এলাকার বাসিন্দা সোবহান শিকদার বলেন, গত কয়েকদিন ধরে যখনই এখানে আসি তখনই দেখি কোনো না কোনো যানবাহন সড়কের ডিভাইডারে উঠে আছে৷ এই সড়কের আর কোথাও এমন দুর্ঘটনা হয় না। তিনি বলেন, হয়তো সড়কের ডিভাইডারটি নির্মাণে কোনো ত্রুটি আছে। দ্রুত এটি অপসারণ করা দরকার।

পটুয়াখালী-কুয়াকাটা সড়কে চলাচল করা বাস ড্রাইভার শহিদুল ইসলাম বলেন, গাড়ি যখন গতিতে থাকে তখন সড়কের ডিভাইডার ভালোভাবে দেখা যায় না। এছাড়া ডিভাইডারটি অনেকটা নিচু। এ কারণে অধিকাংশ সময় গাড়িগুলো ডিভাইডারের ওপর উঠে যায়।

এদিকে, গত কয়েকদিনে ঘন কুয়াশার কারণে এই দুর্ঘটনার মাত্রা বেড়েছে কয়েকগুণ। প্রতিদিন একাধিক যানবাহন ডিভাইডারের ওপর উঠে যাচ্ছে। এসব কারণে সড়কের মাঝে স্থাপন করা ডিভাইডারটি অপসারণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানান পটুয়াখালী সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী এ এম আতিক উল্লাহ।

তিনি বলেন, স্থানীয় প্রশাসনসহ পুলিশের পক্ষ থেকেও ডিভাইডারে সংগঠিত দুর্ঘটনার বিষয় আমাদের জানানো হয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে ডিভাইডারের দুইপাশে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা করাসহ মার্ক করা হয়েছে। তবে এরপরও যেহেতু দুর্ঘটনা কমছে না সে কারণে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলাপ করে দ্রুত ডিভাইডারটি অপসারণ করা হচ্ছে।

২০২১-২০২২ অর্থবছরে পটুয়াখালী সড়ক ও জনপথ বিভাগ, পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের সঙ্গে সরাসরি সড়ক নেটওয়ার্ক স্থাপনের জন্য প্রায় ১৭০ কোটি টাকা ব্যয়ে ৩ দশমিক ৪ কিলোমিটার এই সংযোগ সড়কটি নির্মাণ করে।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

আজকের সূর্যোদয়

আজকের সূর্যোদয় প্রত্রিকায় আপনাদের স্বাগতম। ‍আমাদের নিউজ পড়ুন এবং বিজ্ঞাপন দিয়ে আমাদের পাশে থাকুন।

বরিশালে মুজিবিয়ানের ৮৭ নেতাকে খুঁজছে গোয়েন্দা সংস্থা

ঢাকা-কুয়াকাটা মহাসড়কের রোড ডিভাইডার যেন মরণফাঁদ!

আপডেট সময় ০৪:২৫:৩১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ জানুয়ারী ২০২৩

পটুয়াখালীতে ঢাকা-কুয়াকাটা মহাসড়কে নির্মাণ করা একটি রোড ডিভাইডার এখন রীতিমতো মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। প্রতিদিনই এই ডিভাইডারে ওপর যানবাহন উঠে দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন কুয়াকাটায় আগত পর্যটকসহ স্থানীয়রা।তবে সড়ক ও জনপথ বিভাগ বলছে, ঝুঁকি বিবেচনা করে দ্রুত ডিভাইডারটি অপসারণে উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।

পটুয়াখালী-কুয়াকাটা মহাসড়কের কলাপাড়া উপজেলার রজোপাড়া এলাকা থেকে সরাসরি পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে যেতে সম্প্রতি নতুন একটি সংযোগ সড়ক নির্মাণ করেছে সড়ক ও জনপথ বিভাগ। যেখান থেকে সংযোগ সড়কটি শুরু হয়েছে সেখানে প্রায় ৫০ মিটার দৈর্ঘ্যের একটি রোড ডিভাইডার নির্মাণ করা হয়। তবে মহাসড়ক খুব বেশি প্রশস্ত না হওয়ায় এবং এই সড়কের অন্য কোথাও ডিভাইডার না থাকায় এই সড়কে প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা। এতে করে সড়কে চলাচলকারীদের জীবন মারাত্মক হুমকির মধ্যে পড়েছে।

রজোপাড়া এলাকার বাসিন্দা সোবহান শিকদার বলেন, গত কয়েকদিন ধরে যখনই এখানে আসি তখনই দেখি কোনো না কোনো যানবাহন সড়কের ডিভাইডারে উঠে আছে৷ এই সড়কের আর কোথাও এমন দুর্ঘটনা হয় না। তিনি বলেন, হয়তো সড়কের ডিভাইডারটি নির্মাণে কোনো ত্রুটি আছে। দ্রুত এটি অপসারণ করা দরকার।

পটুয়াখালী-কুয়াকাটা সড়কে চলাচল করা বাস ড্রাইভার শহিদুল ইসলাম বলেন, গাড়ি যখন গতিতে থাকে তখন সড়কের ডিভাইডার ভালোভাবে দেখা যায় না। এছাড়া ডিভাইডারটি অনেকটা নিচু। এ কারণে অধিকাংশ সময় গাড়িগুলো ডিভাইডারের ওপর উঠে যায়।

এদিকে, গত কয়েকদিনে ঘন কুয়াশার কারণে এই দুর্ঘটনার মাত্রা বেড়েছে কয়েকগুণ। প্রতিদিন একাধিক যানবাহন ডিভাইডারের ওপর উঠে যাচ্ছে। এসব কারণে সড়কের মাঝে স্থাপন করা ডিভাইডারটি অপসারণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানান পটুয়াখালী সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী এ এম আতিক উল্লাহ।

তিনি বলেন, স্থানীয় প্রশাসনসহ পুলিশের পক্ষ থেকেও ডিভাইডারে সংগঠিত দুর্ঘটনার বিষয় আমাদের জানানো হয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে ডিভাইডারের দুইপাশে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা করাসহ মার্ক করা হয়েছে। তবে এরপরও যেহেতু দুর্ঘটনা কমছে না সে কারণে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলাপ করে দ্রুত ডিভাইডারটি অপসারণ করা হচ্ছে।

২০২১-২০২২ অর্থবছরে পটুয়াখালী সড়ক ও জনপথ বিভাগ, পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের সঙ্গে সরাসরি সড়ক নেটওয়ার্ক স্থাপনের জন্য প্রায় ১৭০ কোটি টাকা ব্যয়ে ৩ দশমিক ৪ কিলোমিটার এই সংযোগ সড়কটি নির্মাণ করে।