ঢাকা , বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

কুরআনের শিক্ষা জানা ও বোঝা

  • সূর্যোদয় ডেস্ক:
  • আপডেট সময় ০৯:৫৭:৩৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ মে ২০২৩
  • ১১২২ বার পড়া হয়েছে

আমরা অনেকেই কুরআন পড়তে না পারলেও কুরআনের জন্য আমাদের অন্তরে সর্বোচ্চ সম্মান, শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার বিন্দুমাত্র কোনো ঘাটতি নেই। সালাত পড়ার জন্য কিছু সূরা মুখস্থ আছে। কুরআনখানি করে তার সওয়াব মৃত বাবা-মাকে পৌঁছাচ্ছি। কিন্তু কুরআন কি শুধু কয়েকটি সূরা মুখস্থের জন্য নাজিল হয়েছে? কুরআন কি মৃতের জন্য নাজিল হয়েছে? নাকি জীবিত মানুষের জন্য?

রমজান মাস কুরআনের মাস। যে মাস কুরআনের বরকতে এতটা বরকতময়। সেটি আল্লাহ কোন উদ্দেশ্যে নাজিল করেছেন। আমরা কি সেটি জানি? আসুন, একটু মনোযোগসহকারে জেনে নেই :
আল্লাহ রাব্বুল আলামিন ঘোষণা করেছেন- ‘রমজান সেই মাস, যে মাসে কুরআন নাজিল করা হয়েছে, যা সমগ্র মানবজাতির জন্য হেদায়াত, সুস্পষ্ট পথনির্দেশ এবং সত্য-মিথ্যার পার্থক্যকারী …’ (সূরা বাকারাহ-১৮৫)
আল্লাহ রাব্বুল আলামিন বলেন- ‘এ কিতাব আমি অবতীর্ণ করেছি, এটি বরকতপূর্ণ। অতএব তোমরা এর অনুসরণ করো এবং নিষিদ্ধ সীমা পরিহার করে চলো। তবেই তোমরা রহমতপ্রাপ্ত হবে।’ (সূরা আনআম-১৫৫)
‘(হে নবী!) এটি একটি বরকতময় কিতাব, যা আমি তোমার প্রতি নাজিল করেছি, যেন বুদ্ধিমান লোকেরা একে গভীরভাবে অধ্যয়ন ও চিন্তাভাবনা করে।’ (সূরা সোয়াদ-২৯)

কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে- আমরা যারা কুরআনের অর্থ জানি না কিংবা অর্থ বুঝি না, তারা কিভাবে কুরআনের নির্দেশনাকে ‘অনুসরণ’ করব? আর কিভাবেই বা কুরআনকে ‘গভীরভাবে অধ্যয়ন ও চিন্তাভাবনা’ করব?
আল্লাহ মাফ করুন। অর্থ না বোঝার কারণে আল্লাহর কালাম কুরআনকে আমরা একটি অত্যন্ত জটিল কঠিন অপরিচিত গ্রন্থ বানিয়ে ফেলেছি। অথচ আল্লাহ নিজেই বলেছেন- ‘নিঃসন্দেহে এ কুরআন এমন পথ প্রদর্শন করে, যা একেবারেই সহজ-সরল।’ (সূরা বনি ইসরাঈল-৯)

কেউ যদি নিয়মিতভাবে এমন একটি বই পড়ে যে বইটির ভাষা সে জানে না। কী লেখা আছে কিছুই বোঝে না। কিন্তু গ্রন্থটি সে খুবই শুদ্ধ করে পড়তে পারে। অথচ তার অর্থ কিছুই জানে না। জানার চেষ্টাও করে না। আবার সেই ব্যক্তি দাবি করে যে, সে ওই গ্রন্থকে এবং গ্রন্থের লেখককে সবচেয়ে বেশি ভালোবাসে। অথচ সেই লেখকের কোনো নির্দেশনাই বোঝে না। আবার না বোঝার কারণে মানতেও পারে না। এমতাবস্থায় ওই গ্রন্থ ও গ্রন্থ-প্রণেতার প্রতি তার শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার দাবি কতটা গ্রহণযোগ্য হবে?

আমরা যারা আরবি ভাষার অর্থ জানি না তারা যদি কুরআনের অর্থ জানার চেষ্টা না করে শুধুই তিলাওয়াত করি- আলহামদুলিল্লাহ, তাহলেও অফুরন্ত সওয়াব হবে নিঃসন্দেহে। কিন্তু তাতে কুরআন নাজিলের মূল উদ্দেশ্য বা কুরআন পড়ার হক কতটুকু আদায় হবে তা কি কখনো ভেবে দেখেছি?

আল্লাহ কুরআনকে নাজিল করেছেন কুরআনের শিক্ষাকে জানা ও বোঝার জন্য। কুরআনের শিক্ষাকে যদি না-ই জানি, না-ই বুঝি তাহলে কুরআন থেকে কী করে হেদায়াত নেয়া সম্ভব? এ প্রসঙ্গে আল্লাহ বলেন- ‘এটি কী করে সম্ভব হতে পারে, যে ব্যক্তি তোমার আল্লাহর এই কিতাবকে, যা তিনি তোমার প্রতি নাজিল করেছেন, সত্য বলে জানে; আর যে ব্যক্তি এ মহাসত্য সম্পর্কে অজ্ঞ-অন্ধ; তারা দু’জনই সমান হতে পারে? উপদেশ তো বুদ্ধিমান লোকেরাই কবুল করে থাকে।’ (সূরা রা’দ-২০)
আজকে আমরা আল্লাহর ঐশী গ্রন্থ না বোঝার কারণেই কুরআনকে সঠিক মর্যাদা দিতে পারছি না। আল্লাহর হুকুমকে বাদ দিয়ে মানুষের হুকুমের অধীনে চলে গেছি সবাই! অথচ এ সম্পর্কে আমাদের ভাবাবেগটা পর্যন্ত যেন আজ মরে গেছে। যেমনটি আল্লাহ বলেছেন- ‘আমি যদি এই কুরআনকে কোনো পাহাড়ের উপরও নাজিল করতাম, তাহলেও তুমি দেখতে যে, সে পাহাড় আল্লাহর ভয়ে কেমন বিদীর্ণ হয়ে যাচ্ছে! এই দৃষ্টান্তগুলো আমি এ জন্য দিই, যেন লোকেরা নিজেদের অবস্থা সম্পর্কে চিন্তাভাবনা করে।’ (সূরা হাশর-২১)

মহাগ্রন্থ আল কুরআন এমন একটি ব্যতিক্রমধর্মী গ্রন্থ যার শাব্দিক অর্থ না জানা সত্ত্বে¡ও শত কোটি মানুষ পরম আবেগ, আনন্দ ও তৃপ্তির সাথে প্রতিদিন তিলাওয়াত করছে। অপরিসীম সওয়াব লাভ করছে। আধ্যাত্মিকভাবে অশেষ উপকৃতও হচ্ছে। এটিও বরকতপূর্ণ এই ঐশী গ্রন্থের একটি অন্যতম মোজেজা। তবে, শুধু তিলাওয়াত করে সওয়াব কামাইয়ের জন্যই কি এ মহাগ্রন্থটি অবতীর্ণ হয়েছে?

ইসলাম জীবনমুখী ও বুদ্ধিবৃত্তিক একটি পূর্ণাঙ্গ বাস্তবিক জীবনবিধান। মূর্খতা ও বৈরাগ্যবাদের সাথে ইসলামের কোনো রকমের সম্পর্ক নেই। তাই আমাদেরকে আত্মজিজ্ঞাসা করতে হবে। চিন্তা-গবেষণা ও বিবেক-বুদ্ধিকে কাজে লাগাতে হবে। কারণ যারা জ্ঞান-বিমুখ তারা আল্লাহর সৃষ্টি সম্পর্কে কী করে ভাববে? কী করে চিন্তা-গবেষণা করবে?
যেমনটি আল্লাহ রাব্বুল আলামিন বলেছেন- ‘…তাদের অন্তর আছে কিন্তু তারা তার সাহায্যে চিন্তাভাবনা করে না; তাদের চোখ আছে কিন্তু তা দিয়ে তারা দেখে না; তাদের শ্রবণশক্তি আছে কিন্তু তা দিয়ে তারা শোনে না। তারা আসলে জন্তু-জানোয়ারের মতো; বরং তার চেয়েও বেশি বিভ্রান্ত। এরা চরম গাফিলতির মধ্যে নিমগ্ন।’ (সূরা আ’রাফ-১৭৯)

অন্যত্র আল্লাহ তায়ালা বলেন- ‘…তাদের মতো হয়ে যেয়ো না, যারা বলে, আমরা শুনলাম কিন্তু আসলে তারা শোনে না। নিশ্চিত জেনো, আল্লাহর কাছে নিকৃষ্টতম পশু, বধির ও বোবা হচ্ছে সেসব মানুষ, যারা নিজেদের বিবেক ও বুদ্ধিকে কাজে লাগায় না…।’ (সূরা আনফাল : ২০-২৩)
বিশ্বব্যাপী আজ মুসলমানদের যে বিপর্যয় তা আল্লাহর কালামকে তার ন্যায্য ও কাক্সিক্ষত মর্যাদা না দেয়ার কারণে। আমরা যখন থেকে কুরআনকে ছেড়ে দিয়েছি, বিজয়ও তখন থেকেই আমাদেরকে ছেড়ে দিয়েছে।

লেখক :

  • আলী ওসমান শেফায়েত

শিক্ষক ও গবেষক

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

আজকের সূর্যোদয়

আজকের সূর্যোদয় প্রত্রিকায় আপনাদের স্বাগতম। ‍আমাদের নিউজ পড়ুন এবং বিজ্ঞাপন দিয়ে আমাদের পাশে থাকুন।

বরিশালে মুজিবিয়ানের ৮৭ নেতাকে খুঁজছে গোয়েন্দা সংস্থা

কুরআনের শিক্ষা জানা ও বোঝা

আপডেট সময় ০৯:৫৭:৩৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ মে ২০২৩

আমরা অনেকেই কুরআন পড়তে না পারলেও কুরআনের জন্য আমাদের অন্তরে সর্বোচ্চ সম্মান, শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার বিন্দুমাত্র কোনো ঘাটতি নেই। সালাত পড়ার জন্য কিছু সূরা মুখস্থ আছে। কুরআনখানি করে তার সওয়াব মৃত বাবা-মাকে পৌঁছাচ্ছি। কিন্তু কুরআন কি শুধু কয়েকটি সূরা মুখস্থের জন্য নাজিল হয়েছে? কুরআন কি মৃতের জন্য নাজিল হয়েছে? নাকি জীবিত মানুষের জন্য?

রমজান মাস কুরআনের মাস। যে মাস কুরআনের বরকতে এতটা বরকতময়। সেটি আল্লাহ কোন উদ্দেশ্যে নাজিল করেছেন। আমরা কি সেটি জানি? আসুন, একটু মনোযোগসহকারে জেনে নেই :
আল্লাহ রাব্বুল আলামিন ঘোষণা করেছেন- ‘রমজান সেই মাস, যে মাসে কুরআন নাজিল করা হয়েছে, যা সমগ্র মানবজাতির জন্য হেদায়াত, সুস্পষ্ট পথনির্দেশ এবং সত্য-মিথ্যার পার্থক্যকারী …’ (সূরা বাকারাহ-১৮৫)
আল্লাহ রাব্বুল আলামিন বলেন- ‘এ কিতাব আমি অবতীর্ণ করেছি, এটি বরকতপূর্ণ। অতএব তোমরা এর অনুসরণ করো এবং নিষিদ্ধ সীমা পরিহার করে চলো। তবেই তোমরা রহমতপ্রাপ্ত হবে।’ (সূরা আনআম-১৫৫)
‘(হে নবী!) এটি একটি বরকতময় কিতাব, যা আমি তোমার প্রতি নাজিল করেছি, যেন বুদ্ধিমান লোকেরা একে গভীরভাবে অধ্যয়ন ও চিন্তাভাবনা করে।’ (সূরা সোয়াদ-২৯)

কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে- আমরা যারা কুরআনের অর্থ জানি না কিংবা অর্থ বুঝি না, তারা কিভাবে কুরআনের নির্দেশনাকে ‘অনুসরণ’ করব? আর কিভাবেই বা কুরআনকে ‘গভীরভাবে অধ্যয়ন ও চিন্তাভাবনা’ করব?
আল্লাহ মাফ করুন। অর্থ না বোঝার কারণে আল্লাহর কালাম কুরআনকে আমরা একটি অত্যন্ত জটিল কঠিন অপরিচিত গ্রন্থ বানিয়ে ফেলেছি। অথচ আল্লাহ নিজেই বলেছেন- ‘নিঃসন্দেহে এ কুরআন এমন পথ প্রদর্শন করে, যা একেবারেই সহজ-সরল।’ (সূরা বনি ইসরাঈল-৯)

কেউ যদি নিয়মিতভাবে এমন একটি বই পড়ে যে বইটির ভাষা সে জানে না। কী লেখা আছে কিছুই বোঝে না। কিন্তু গ্রন্থটি সে খুবই শুদ্ধ করে পড়তে পারে। অথচ তার অর্থ কিছুই জানে না। জানার চেষ্টাও করে না। আবার সেই ব্যক্তি দাবি করে যে, সে ওই গ্রন্থকে এবং গ্রন্থের লেখককে সবচেয়ে বেশি ভালোবাসে। অথচ সেই লেখকের কোনো নির্দেশনাই বোঝে না। আবার না বোঝার কারণে মানতেও পারে না। এমতাবস্থায় ওই গ্রন্থ ও গ্রন্থ-প্রণেতার প্রতি তার শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার দাবি কতটা গ্রহণযোগ্য হবে?

আমরা যারা আরবি ভাষার অর্থ জানি না তারা যদি কুরআনের অর্থ জানার চেষ্টা না করে শুধুই তিলাওয়াত করি- আলহামদুলিল্লাহ, তাহলেও অফুরন্ত সওয়াব হবে নিঃসন্দেহে। কিন্তু তাতে কুরআন নাজিলের মূল উদ্দেশ্য বা কুরআন পড়ার হক কতটুকু আদায় হবে তা কি কখনো ভেবে দেখেছি?

আল্লাহ কুরআনকে নাজিল করেছেন কুরআনের শিক্ষাকে জানা ও বোঝার জন্য। কুরআনের শিক্ষাকে যদি না-ই জানি, না-ই বুঝি তাহলে কুরআন থেকে কী করে হেদায়াত নেয়া সম্ভব? এ প্রসঙ্গে আল্লাহ বলেন- ‘এটি কী করে সম্ভব হতে পারে, যে ব্যক্তি তোমার আল্লাহর এই কিতাবকে, যা তিনি তোমার প্রতি নাজিল করেছেন, সত্য বলে জানে; আর যে ব্যক্তি এ মহাসত্য সম্পর্কে অজ্ঞ-অন্ধ; তারা দু’জনই সমান হতে পারে? উপদেশ তো বুদ্ধিমান লোকেরাই কবুল করে থাকে।’ (সূরা রা’দ-২০)
আজকে আমরা আল্লাহর ঐশী গ্রন্থ না বোঝার কারণেই কুরআনকে সঠিক মর্যাদা দিতে পারছি না। আল্লাহর হুকুমকে বাদ দিয়ে মানুষের হুকুমের অধীনে চলে গেছি সবাই! অথচ এ সম্পর্কে আমাদের ভাবাবেগটা পর্যন্ত যেন আজ মরে গেছে। যেমনটি আল্লাহ বলেছেন- ‘আমি যদি এই কুরআনকে কোনো পাহাড়ের উপরও নাজিল করতাম, তাহলেও তুমি দেখতে যে, সে পাহাড় আল্লাহর ভয়ে কেমন বিদীর্ণ হয়ে যাচ্ছে! এই দৃষ্টান্তগুলো আমি এ জন্য দিই, যেন লোকেরা নিজেদের অবস্থা সম্পর্কে চিন্তাভাবনা করে।’ (সূরা হাশর-২১)

মহাগ্রন্থ আল কুরআন এমন একটি ব্যতিক্রমধর্মী গ্রন্থ যার শাব্দিক অর্থ না জানা সত্ত্বে¡ও শত কোটি মানুষ পরম আবেগ, আনন্দ ও তৃপ্তির সাথে প্রতিদিন তিলাওয়াত করছে। অপরিসীম সওয়াব লাভ করছে। আধ্যাত্মিকভাবে অশেষ উপকৃতও হচ্ছে। এটিও বরকতপূর্ণ এই ঐশী গ্রন্থের একটি অন্যতম মোজেজা। তবে, শুধু তিলাওয়াত করে সওয়াব কামাইয়ের জন্যই কি এ মহাগ্রন্থটি অবতীর্ণ হয়েছে?

ইসলাম জীবনমুখী ও বুদ্ধিবৃত্তিক একটি পূর্ণাঙ্গ বাস্তবিক জীবনবিধান। মূর্খতা ও বৈরাগ্যবাদের সাথে ইসলামের কোনো রকমের সম্পর্ক নেই। তাই আমাদেরকে আত্মজিজ্ঞাসা করতে হবে। চিন্তা-গবেষণা ও বিবেক-বুদ্ধিকে কাজে লাগাতে হবে। কারণ যারা জ্ঞান-বিমুখ তারা আল্লাহর সৃষ্টি সম্পর্কে কী করে ভাববে? কী করে চিন্তা-গবেষণা করবে?
যেমনটি আল্লাহ রাব্বুল আলামিন বলেছেন- ‘…তাদের অন্তর আছে কিন্তু তারা তার সাহায্যে চিন্তাভাবনা করে না; তাদের চোখ আছে কিন্তু তা দিয়ে তারা দেখে না; তাদের শ্রবণশক্তি আছে কিন্তু তা দিয়ে তারা শোনে না। তারা আসলে জন্তু-জানোয়ারের মতো; বরং তার চেয়েও বেশি বিভ্রান্ত। এরা চরম গাফিলতির মধ্যে নিমগ্ন।’ (সূরা আ’রাফ-১৭৯)

অন্যত্র আল্লাহ তায়ালা বলেন- ‘…তাদের মতো হয়ে যেয়ো না, যারা বলে, আমরা শুনলাম কিন্তু আসলে তারা শোনে না। নিশ্চিত জেনো, আল্লাহর কাছে নিকৃষ্টতম পশু, বধির ও বোবা হচ্ছে সেসব মানুষ, যারা নিজেদের বিবেক ও বুদ্ধিকে কাজে লাগায় না…।’ (সূরা আনফাল : ২০-২৩)
বিশ্বব্যাপী আজ মুসলমানদের যে বিপর্যয় তা আল্লাহর কালামকে তার ন্যায্য ও কাক্সিক্ষত মর্যাদা না দেয়ার কারণে। আমরা যখন থেকে কুরআনকে ছেড়ে দিয়েছি, বিজয়ও তখন থেকেই আমাদেরকে ছেড়ে দিয়েছে।

লেখক :

  • আলী ওসমান শেফায়েত

শিক্ষক ও গবেষক