সারাদেশে ক্রমবর্ধমান বায়ুদূষণ কমাতে চার দফা দাবি ও তিন পর্যায়ে ১৫ দফা সুপারিশ করেছে পরিবেশবাদী সংগঠনগুলো। গতকাল সোমবার সকালে শাহবাগ জাতীয় জাদুঘরের সামনে বায়ুদূষণ কমাতে জরুরি ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে আয়োজিত মানববন্ধনে তারা এসব দাবি ও সুপারিশ করে।
বায়ুদূষণ অধ্যয়ন কেন্দ্র (ক্যাপস্) এই মানববন্ধনের আয়োজন করে। এ ছাড়াও পরিবেশবিদরা বায়ুদূষণ কমাতে স্বল্পমেয়াদি পাঁচটি, মধ্যমেয়াদি চারটি ও দীর্ঘমেয়াদি ছয়টি নীতিমালা সুপারিশ করেন। বক্তারা বলেন, এসব দাবি ও নীতিমালা নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে পর্যালোচনা করে গ্রহণ করলে বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণ করা যাবে।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন ক্যাপস্-এর প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আহমদ কামরুজ্জমান মজুমদার, বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) যুগ্ম সম্পাদক স্থপতি ইকবাল হাবিব, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নগর ও আঞ্চলিক পরিকল্পনা বিভাগের শিক্ষক ও ইনস্টিটিউট ফর প্ল্যানিং অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (আইপিডি) নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক ড. আদিল মোহাম্মদ খান, বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) যুগ্ম সম্পাদক আলমগীর কবিরসহ আরও অনেকে। কামরুজ্জমান মজুমদার
বলেন, সাম্প্রতিককালে বাংলাদেশের পরিবেশদূষণ এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, বিভিন্ন শহর ধীরে ধীরে বসবাসের যোগ্যতা হারাচ্ছে। সারাদেশে প্রবহমান তীব্র দাবদাহের পেছনে জলবায়ু পরিবর্তনের পাশাপাশি বায়ুদূষণও দায়ী।
ইকবাল হাবিব বলেন, বায়ুদূষণের জন্য আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম শারীরিক প্রতিবন্ধী হয়ে বেড়ে উঠবে। এই জায়গা থেকে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে আমরা দায়বদ্ধ। নিশ্চয়ই আমরা ঘুরে দাঁড়াব।
আদিল মোহাম্মদ খান বলেন, বাংলাদেশে বায়ুদূষণ এখন একটি উদ্বেগজনক জায়গায় আছে। অথচ রাষ্ট্র এখানে নির্বিকার।