ঢাকা , সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

ত্যাগী ও পোড় খাওয়া নেতাদের মূল্যায়নের চিন্তা আ’লীগের

ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ১৫, ১৮, ১৯ ও ২০ নং ওয়ার্ড এবং ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট থানার ক্যান্টনমেন্ট এলাকা নিয়ে গঠিত এ আসনে আগামী ১৭ জুলাই ভোট হবে। রাজধানীর এ অভিজাত এলাকায় আওয়ামী লীগের মনোনয়ন কে পাচ্ছেন তা নিয়ে তৃণমূলে নানা জল্পনা কল্পনা চলছে। এ দিকে নমিনেশন কনফার্ম হওয়ার আশা নিয়ে ব্যাপক দৌড়ঝাঁপ করছেন মনোনয়নপ্রত্যাশীরা। শীর্ষ নেতাদের সুনজর পাওয়ার জন্য নানা চেষ্টা তদবিরও করছেন কেউ কেউ। এ তালিকায় আছেন ব্যবসায়ী, শিল্পপতি, অভিনেতা ও রাজনীতিবিদসহ বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ। তবে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন একেবারে সন্নিকটে থাকায় ওই আসনের উপনির্বাচনে নির্বাচিত এমপির মেয়াদ হবে সীমিত। তারপরও ত্যাগী ও পোড় খাওয়া নেতাদের মধ্য থেকে কাউকে কাউকে মূল্যায়নের চিন্তা করছে আওয়ামী লীগ।

ঢাকা-১৪ আসনের এমপি আসলামুল হক ২০২১ সালের ৪ এপ্রিল মৃত্যুবরণ করায় আসনটি শূন্য হয়ে যায়। ওই আসনের উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পান শাহ আলী থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রবীণ রাজনীতিক আগা খান মিন্টু। তার প্রতিদ্বন্দ্বী তিনজন প্রার্থী তাদের মনোনয়ন প্রত্যাহার করায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় তিনি এমপি নির্বাচিত হন। এর আগে ২০২০ সালের ৯ জুলাই ঢাকা-১৮ আসনের এমপি অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন মৃত্যুবরণ করায় শূন্য আসনে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাবিব হাসানকে মনোনয়ন দেয় আওয়ামী লীগ। তিনিও এমপি নির্বাচিত হন। একই বছরে ঢাকা-৫ আসনের এমপি হাবিবুর রহমান মোল্লার মৃত্যুতে আসনটি শূন্য হয়ে পড়ে। ওই আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পান যাত্রাবাড়ী থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি কাজী মনিরুল ইসলাম মনু। তিনিও এমপি নির্বাচিত হন।

ঢাকা-৫, ১৪ ও ১৮ আসনের মতো ঢাকা-১৭ আসনেও তৃণমূল থেকে উঠে আসা রাজনীতিবিদদের মধ্য থেকে মূল্যায়ন চায় স্থানীয় আওয়ামী লীগ। সে ক্ষেত্রে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মুক্তিযোদ্ধা এম এ কাদের খান মনোনয়ন পাওয়ার তালিকার প্রথম দিকে রয়েছেন। তৃণমূল থেকে উঠে আসা আওয়ামী লীগের এই রাজনীতিক গুলশান থানা আওয়ামী লীগসহ মহানগরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে বিভিন্ন সময়ে দায়িত্ব পালন করেছেন। সত্তরের দশক থেকে ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত থাকা কাদের খান ১৯৮৬ থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত অবিভক্ত ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের ৭২ নম্বর ওয়ার্ডের (বর্তমান গুলশান-বনানী) সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে ১৯৬৯ সালে আইয়ুববিরোধী গণ আন্দোলনের সময় তিনি কারাবরণ করেন। ২০০৭ সালের ওয়ান-ইলেভেন এর সময় নেত্রীর মুক্তির জন্য ২৫ লাখ স্বাক্ষর সংরক্ষণ কর্মসূচি ও আন্দোলনে নেতৃত্বের অগ্রভাগে থেকে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন বলে কাদের খান জানান। ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এই আসন থেকে প্রথমে দলীয় মনোনয়ন পান তিনি। পরবর্তীতে চিত্রনায়ক ফারুকের মনোনয়ন চূড়ান্ত করা হলে নেত্রীর নির্দেশে তিনি তা প্রত্যাহার করে নেন। অতীতে মনোনয়ন বঞ্চিত হলেও তৃণমূলের ত্যাগী ও পরীক্ষিত নেতা হিসেবে এবার তিনি মনোনয়ন পাওয়ার ব্যাপারে অগ্রাধিকার পাবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের আরেক সহসভাপতি মো: ওয়াকিল উদ্দিনও মনোনয়ন পাওয়ার ব্যাপারে বেশ আশাবাদী। পরপর তিনবার চেষ্টা করেও তিনি মনোনয়ন পাননি। এবার দল তাকে মূল্যায়ন করবে বলে তিনি মনে করেন। এ ছাড়াও গুলশান থানা আওয়ামী লীগের মো: সুলতান হোসেন ও বনানী থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি এ কে এম জসিম উদ্দিনও দলীয় মনোনয়ন চান।
অবশ্য ঢাকা-১০ আসনটি ২০১৯ সালের ২৯ ডিসেম্বর ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মেয়রপ্রার্থী হিসেবে শেখ ফজলে নূর তাপসকে মনোনয়ন দেয়ার পর একাদশ জাতীয় সংসদ থেকে তিনি পদত্যাগ করেন। শেখ তাপসের ছেড়ে দেয়া আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়ে এমপি নির্বাচিত হন ব্যবসায়ী শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন। তিনি ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই ও বিজিএমইএর সভাপতি ছিলেন। এরই ধারাবাহিকতায় ব্যবসায়ী এবং শিল্পপতিরাও প্রত্যাশা করছেন তাদের মধ্যে থেকে কাউকে মনোনয়ন দেয়া হবে। এই তালিকায় এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি মো: জসিম উদ্দিন ও সাবেক সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম আলোচনায় রয়েছেন। ফজলে ফাহিম আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিমের ছেলে ও যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য। এর বাইরে এই আসনের সাবেক এমপি বিএনএফের আবুল কালাম আজাদও মনোনয়ন পেতে আগ্রহী বলে জানা গেছে।

এ দিকে চিত্রনায়ক আকবর হোসেন পাঠান ফারুক গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের টিকিট নিয়ে এমপি নির্বাচিত হন। তার মৃত্যুতে এই আসনটি শূন্য ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। অভিনয়শিল্পী হিসেবে চলচ্চিত্র জগতের সাথে নিবিড় সম্পর্ক থাকার সুবাদে ফারুকের অবর্তমানে তার অসমাপ্ত কাজগুলো সম্পূর্ণ করার জন্য অভিনয়শিল্পীরাও দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার প্রত্যাশা করছেন। এ তালিকায় রয়েছেন, চিত্রনায়ক ফেরদৌস, নাট্য অভিনেতা সিদ্দিকুর রহমান। তবে অভিনয় জগৎ থেকে এ আসনে চিত্রনায়ক ফারুকের মতো অভিজ্ঞতাসম্পন্ন কেউ এই আসনে হাল ধরতে পারবেন এমনটি মনে করেন না স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। এ প্রসঙ্গে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান নয়া দিগন্তকে বলেন, এখানে কে দলীয় মনোনয়ন পাবে, কাকে মনোনয়ন দেয়া হবে এটা নেত্রী সিদ্ধান্ত নেবেন। নেত্রীর সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত। তারপরও বলব, ঢাকা-১৭ রাজধানীর একটি গুরুত্বপূর্ণ আসন। এ আসনে স্থানীয় আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে যাদের দীর্ঘদিনের সম্পৃক্ততা আছে তাদের মধ্যে থেকে একজনকে মনোনয়ন দিলে ভালো হয়। তার কারণ হলো অন্য পেশার লোকজন দলের লোকজনের খোঁজখবর তেমন রাখেন না, দুঃখকষ্ট বোঝেন না। স্থানীয় নেতাকর্মীদের দেখভাল করার জন্য, দুঃখকষ্ট বোঝার জন্য হলেও ওই এলাকার রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত দলের কাউকে মনোনয়ন দেয়া প্রয়োজন আমি মনে করি।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

আজকের সূর্যোদয়

আজকের সূর্যোদয় প্রত্রিকায় আপনাদের স্বাগতম। ‍আমাদের নিউজ পড়ুন এবং বিজ্ঞাপন দিয়ে আমাদের পাশে থাকুন।

বরিশালে মুজিবিয়ানের ৮৭ নেতাকে খুঁজছে গোয়েন্দা সংস্থা

ত্যাগী ও পোড় খাওয়া নেতাদের মূল্যায়নের চিন্তা আ’লীগের

আপডেট সময় ১০:০৬:৩৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৩ জুন ২০২৩

ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ১৫, ১৮, ১৯ ও ২০ নং ওয়ার্ড এবং ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট থানার ক্যান্টনমেন্ট এলাকা নিয়ে গঠিত এ আসনে আগামী ১৭ জুলাই ভোট হবে। রাজধানীর এ অভিজাত এলাকায় আওয়ামী লীগের মনোনয়ন কে পাচ্ছেন তা নিয়ে তৃণমূলে নানা জল্পনা কল্পনা চলছে। এ দিকে নমিনেশন কনফার্ম হওয়ার আশা নিয়ে ব্যাপক দৌড়ঝাঁপ করছেন মনোনয়নপ্রত্যাশীরা। শীর্ষ নেতাদের সুনজর পাওয়ার জন্য নানা চেষ্টা তদবিরও করছেন কেউ কেউ। এ তালিকায় আছেন ব্যবসায়ী, শিল্পপতি, অভিনেতা ও রাজনীতিবিদসহ বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ। তবে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন একেবারে সন্নিকটে থাকায় ওই আসনের উপনির্বাচনে নির্বাচিত এমপির মেয়াদ হবে সীমিত। তারপরও ত্যাগী ও পোড় খাওয়া নেতাদের মধ্য থেকে কাউকে কাউকে মূল্যায়নের চিন্তা করছে আওয়ামী লীগ।

ঢাকা-১৪ আসনের এমপি আসলামুল হক ২০২১ সালের ৪ এপ্রিল মৃত্যুবরণ করায় আসনটি শূন্য হয়ে যায়। ওই আসনের উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পান শাহ আলী থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রবীণ রাজনীতিক আগা খান মিন্টু। তার প্রতিদ্বন্দ্বী তিনজন প্রার্থী তাদের মনোনয়ন প্রত্যাহার করায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় তিনি এমপি নির্বাচিত হন। এর আগে ২০২০ সালের ৯ জুলাই ঢাকা-১৮ আসনের এমপি অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন মৃত্যুবরণ করায় শূন্য আসনে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাবিব হাসানকে মনোনয়ন দেয় আওয়ামী লীগ। তিনিও এমপি নির্বাচিত হন। একই বছরে ঢাকা-৫ আসনের এমপি হাবিবুর রহমান মোল্লার মৃত্যুতে আসনটি শূন্য হয়ে পড়ে। ওই আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পান যাত্রাবাড়ী থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি কাজী মনিরুল ইসলাম মনু। তিনিও এমপি নির্বাচিত হন।

ঢাকা-৫, ১৪ ও ১৮ আসনের মতো ঢাকা-১৭ আসনেও তৃণমূল থেকে উঠে আসা রাজনীতিবিদদের মধ্য থেকে মূল্যায়ন চায় স্থানীয় আওয়ামী লীগ। সে ক্ষেত্রে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মুক্তিযোদ্ধা এম এ কাদের খান মনোনয়ন পাওয়ার তালিকার প্রথম দিকে রয়েছেন। তৃণমূল থেকে উঠে আসা আওয়ামী লীগের এই রাজনীতিক গুলশান থানা আওয়ামী লীগসহ মহানগরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে বিভিন্ন সময়ে দায়িত্ব পালন করেছেন। সত্তরের দশক থেকে ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত থাকা কাদের খান ১৯৮৬ থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত অবিভক্ত ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের ৭২ নম্বর ওয়ার্ডের (বর্তমান গুলশান-বনানী) সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে ১৯৬৯ সালে আইয়ুববিরোধী গণ আন্দোলনের সময় তিনি কারাবরণ করেন। ২০০৭ সালের ওয়ান-ইলেভেন এর সময় নেত্রীর মুক্তির জন্য ২৫ লাখ স্বাক্ষর সংরক্ষণ কর্মসূচি ও আন্দোলনে নেতৃত্বের অগ্রভাগে থেকে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন বলে কাদের খান জানান। ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এই আসন থেকে প্রথমে দলীয় মনোনয়ন পান তিনি। পরবর্তীতে চিত্রনায়ক ফারুকের মনোনয়ন চূড়ান্ত করা হলে নেত্রীর নির্দেশে তিনি তা প্রত্যাহার করে নেন। অতীতে মনোনয়ন বঞ্চিত হলেও তৃণমূলের ত্যাগী ও পরীক্ষিত নেতা হিসেবে এবার তিনি মনোনয়ন পাওয়ার ব্যাপারে অগ্রাধিকার পাবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের আরেক সহসভাপতি মো: ওয়াকিল উদ্দিনও মনোনয়ন পাওয়ার ব্যাপারে বেশ আশাবাদী। পরপর তিনবার চেষ্টা করেও তিনি মনোনয়ন পাননি। এবার দল তাকে মূল্যায়ন করবে বলে তিনি মনে করেন। এ ছাড়াও গুলশান থানা আওয়ামী লীগের মো: সুলতান হোসেন ও বনানী থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি এ কে এম জসিম উদ্দিনও দলীয় মনোনয়ন চান।
অবশ্য ঢাকা-১০ আসনটি ২০১৯ সালের ২৯ ডিসেম্বর ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মেয়রপ্রার্থী হিসেবে শেখ ফজলে নূর তাপসকে মনোনয়ন দেয়ার পর একাদশ জাতীয় সংসদ থেকে তিনি পদত্যাগ করেন। শেখ তাপসের ছেড়ে দেয়া আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়ে এমপি নির্বাচিত হন ব্যবসায়ী শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন। তিনি ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই ও বিজিএমইএর সভাপতি ছিলেন। এরই ধারাবাহিকতায় ব্যবসায়ী এবং শিল্পপতিরাও প্রত্যাশা করছেন তাদের মধ্যে থেকে কাউকে মনোনয়ন দেয়া হবে। এই তালিকায় এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি মো: জসিম উদ্দিন ও সাবেক সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম আলোচনায় রয়েছেন। ফজলে ফাহিম আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিমের ছেলে ও যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য। এর বাইরে এই আসনের সাবেক এমপি বিএনএফের আবুল কালাম আজাদও মনোনয়ন পেতে আগ্রহী বলে জানা গেছে।

এ দিকে চিত্রনায়ক আকবর হোসেন পাঠান ফারুক গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের টিকিট নিয়ে এমপি নির্বাচিত হন। তার মৃত্যুতে এই আসনটি শূন্য ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। অভিনয়শিল্পী হিসেবে চলচ্চিত্র জগতের সাথে নিবিড় সম্পর্ক থাকার সুবাদে ফারুকের অবর্তমানে তার অসমাপ্ত কাজগুলো সম্পূর্ণ করার জন্য অভিনয়শিল্পীরাও দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার প্রত্যাশা করছেন। এ তালিকায় রয়েছেন, চিত্রনায়ক ফেরদৌস, নাট্য অভিনেতা সিদ্দিকুর রহমান। তবে অভিনয় জগৎ থেকে এ আসনে চিত্রনায়ক ফারুকের মতো অভিজ্ঞতাসম্পন্ন কেউ এই আসনে হাল ধরতে পারবেন এমনটি মনে করেন না স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। এ প্রসঙ্গে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান নয়া দিগন্তকে বলেন, এখানে কে দলীয় মনোনয়ন পাবে, কাকে মনোনয়ন দেয়া হবে এটা নেত্রী সিদ্ধান্ত নেবেন। নেত্রীর সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত। তারপরও বলব, ঢাকা-১৭ রাজধানীর একটি গুরুত্বপূর্ণ আসন। এ আসনে স্থানীয় আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে যাদের দীর্ঘদিনের সম্পৃক্ততা আছে তাদের মধ্যে থেকে একজনকে মনোনয়ন দিলে ভালো হয়। তার কারণ হলো অন্য পেশার লোকজন দলের লোকজনের খোঁজখবর তেমন রাখেন না, দুঃখকষ্ট বোঝেন না। স্থানীয় নেতাকর্মীদের দেখভাল করার জন্য, দুঃখকষ্ট বোঝার জন্য হলেও ওই এলাকার রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত দলের কাউকে মনোনয়ন দেয়া প্রয়োজন আমি মনে করি।