ঢাকা , মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

মাদকের সাথে জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হবে : র‌্যাব ডিজি

র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) মহাপরিচালক (ডিজি) এম. খুরশীদ হোসেন বলেছেন, মাদকের সাথে জড়িতদের ছাড় দেয়া হবে না। সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে।

তিনি বলেন, যিনিই মাদক কেনাবেচার সাথে জড়িত থাকবেন, তিনি জনপ্রতিনিধি কিংবা যতই প্রভাবশালী হোক, কাউকেই ছাড় দেয়া হবে না। তাদেরকে অবশ্যই আইনের আওতায় আনা হবে।

আজ রোববার বেলা ১১টায় রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে আহত পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) উত্তম কুমার রায়কে দেখতে এসে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

এর আগে তিনি আহত র‌্যাব সদস্য এসআই উত্তম রায়কে শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটের ১৪ তলার কেবিনে দেখতে যান। সেখানে র‌্যাব ডিজি তার হতে নগদ ৫০ হাজার টাকা ও ফলমূল তুলে দেন। পাশাপাশি তার চিকিৎসার ব্যাপারেও খোঁজ-খবর নেন।

মেহেরপুর জেলার গাংনী থানা এলাকায় মাদক বিক্রেতাদের হামলায় আহত হন উত্তম কুমার।

মাদকের বিরুদ্ধে সবাইকে একসাথে এগিয়ে আসার আহবান জানিয়ে র‌্যাব ডিজি বলেন, ‘এই মাদকের ছোবল থেকে আমাদের সন্তানদের বাঁচাতে না পারলে আগামীতে চাকরি দেয়ার মতো কোনো লোক খুঁজে পাওয়া যাবে না।’

তিনি বলেন, ‘এরকম মাদক, জঙ্গি ও সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার অভিযানে গিয়ে আমাদের ৩৩ জন সহকর্মী জীবন দিয়েছেন ও এক হাজারের বেশি সহকর্মীর অঙ্গহানি হয়।’

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে র‌্যাব ডিজি বলেন, ‘গত ৩০ মে মেহেরপুরের গাংনী থানা এলাকায় র‌্যাব-১২ এর মাদকবিরোধী অভিযানকালে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে র‌্যাব সদস্য উত্তম কুমার রায় আহত হন। পরে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে মেহেরপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়। বার্ন ইনস্টিটিউটের চিকিৎসকদের আন্তরিক চিকিৎসায় বর্তমানে তিনি অনেকটা সুস্থ। আগামী কয়েকদিনের মধ্যে তাকে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেয়া হবে বলেও জানান তিনি।

র‌্যাব ডিজি বলেন, ইতোমধ্যে এই ঘটনায় তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এখনো অভিযান চলছে। জঙ্গি ও মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান চলবে। মাদকের বিরুদ্ধে সবাইকে সচেতন হতে হবে। এর বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।

শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ডা. রায়হানা আউয়াল, ইনস্টিটিউটের জাতীয় সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন, র‌্যাব-৩ এর কমান্ডিং অফিসার (অধিনায়ক) লে. কর্নেল আরিফ মহিউদ্দিন, র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার প্রধান কমান্ডার খন্দকার আল মঈনসহ র‌্যাবের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

সূত্র : বাসস

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

আজকের সূর্যোদয়

আজকের সূর্যোদয় প্রত্রিকায় আপনাদের স্বাগতম। ‍আমাদের নিউজ পড়ুন এবং বিজ্ঞাপন দিয়ে আমাদের পাশে থাকুন।

বরিশালে মুজিবিয়ানের ৮৭ নেতাকে খুঁজছে গোয়েন্দা সংস্থা

মাদকের সাথে জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হবে : র‌্যাব ডিজি

আপডেট সময় ০৪:৪০:১২ অপরাহ্ন, রবিবার, ৪ জুন ২০২৩

র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) মহাপরিচালক (ডিজি) এম. খুরশীদ হোসেন বলেছেন, মাদকের সাথে জড়িতদের ছাড় দেয়া হবে না। সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে।

তিনি বলেন, যিনিই মাদক কেনাবেচার সাথে জড়িত থাকবেন, তিনি জনপ্রতিনিধি কিংবা যতই প্রভাবশালী হোক, কাউকেই ছাড় দেয়া হবে না। তাদেরকে অবশ্যই আইনের আওতায় আনা হবে।

আজ রোববার বেলা ১১টায় রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে আহত পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) উত্তম কুমার রায়কে দেখতে এসে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

এর আগে তিনি আহত র‌্যাব সদস্য এসআই উত্তম রায়কে শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটের ১৪ তলার কেবিনে দেখতে যান। সেখানে র‌্যাব ডিজি তার হতে নগদ ৫০ হাজার টাকা ও ফলমূল তুলে দেন। পাশাপাশি তার চিকিৎসার ব্যাপারেও খোঁজ-খবর নেন।

মেহেরপুর জেলার গাংনী থানা এলাকায় মাদক বিক্রেতাদের হামলায় আহত হন উত্তম কুমার।

মাদকের বিরুদ্ধে সবাইকে একসাথে এগিয়ে আসার আহবান জানিয়ে র‌্যাব ডিজি বলেন, ‘এই মাদকের ছোবল থেকে আমাদের সন্তানদের বাঁচাতে না পারলে আগামীতে চাকরি দেয়ার মতো কোনো লোক খুঁজে পাওয়া যাবে না।’

তিনি বলেন, ‘এরকম মাদক, জঙ্গি ও সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার অভিযানে গিয়ে আমাদের ৩৩ জন সহকর্মী জীবন দিয়েছেন ও এক হাজারের বেশি সহকর্মীর অঙ্গহানি হয়।’

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে র‌্যাব ডিজি বলেন, ‘গত ৩০ মে মেহেরপুরের গাংনী থানা এলাকায় র‌্যাব-১২ এর মাদকবিরোধী অভিযানকালে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে র‌্যাব সদস্য উত্তম কুমার রায় আহত হন। পরে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে মেহেরপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়। বার্ন ইনস্টিটিউটের চিকিৎসকদের আন্তরিক চিকিৎসায় বর্তমানে তিনি অনেকটা সুস্থ। আগামী কয়েকদিনের মধ্যে তাকে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেয়া হবে বলেও জানান তিনি।

র‌্যাব ডিজি বলেন, ইতোমধ্যে এই ঘটনায় তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এখনো অভিযান চলছে। জঙ্গি ও মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান চলবে। মাদকের বিরুদ্ধে সবাইকে সচেতন হতে হবে। এর বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।

শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ডা. রায়হানা আউয়াল, ইনস্টিটিউটের জাতীয় সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন, র‌্যাব-৩ এর কমান্ডিং অফিসার (অধিনায়ক) লে. কর্নেল আরিফ মহিউদ্দিন, র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার প্রধান কমান্ডার খন্দকার আল মঈনসহ র‌্যাবের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

সূত্র : বাসস