ঢাকা , বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

দোয়া কবুলের সময়

আমাদের প্রিয় নবী হজরত মুহাম্মাদ সা: বলেছেন, ‘দোয়াই ইবাদত’। আল্লাহ তায়ালা মানুষ সৃষ্টি করেছেন। মানুষের প্রয়োজনীয় অনেক কিছু মানুষ না চাইতেই আল্লাহর কাছ থেকে পেয়ে থাকে। এটি আল্লাহর অশেষ রহমত। আর মানুষের প্রয়োজনীয় এমন অনেক কিছু আছে যার জন্য মানুষকে আল্লাহর কাছে সর্বদা চাইতেই হয়, এই চাওয়ার নামই হচ্ছে দোয়া। মানুষ তার দৈনন্দিন জীবনে অনেক বিপদ-আপদ অনেক সমস্যার সম্মুখীন হয়, যার থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া করে। এই দোয়া হাত তুলে করতে হবে এমন কোনো কথা নেই, যখন যা দরকার ছোট-বড় সব প্রয়োজনের জন্য আল্লাহর কাছে একাগ্রচিত্তে চাওয়াই দোয়া। আল্লাহ বলেন- ‘তোমরা আমার কাছে চাও আমি তোমাদেরকে দেবো’। আল্লাহর কাছে বান্দা কিছু চাইলে আল্লাহ তাতে খুশি হন, হাদিসে আছে ‘আল্লাহর কাছে দোয়া অপেক্ষা অধিক প্রিয় জিনিস আর কিছুই নেই’। অতএব দোয়া থেকে বিরত থাকা কোনো বুদ্ধিমানের কাজ নয়। আল্লাহ তায়ালা দিন-রাতের কিছু মুহূর্ত ঠিক করে রেখেছেন যখন দোয়া কবুল হয়।
আজান ও ইকামতের সময় : হজরত আনাস রা: থেকে বর্ণিত- রাসূল সা: বলেন, ‘আজান ও ইকামতের মধ্যবর্তী সময়ের দোয়া ফিরিয়ে দেয়া হয় না’। (তিরমিজি-১৯৬)
রাতের শেষ-তৃতীয়াংশে : প্রতিটি রাতের শেষ- তৃতীয়াংশে দোয়া কবুল হয়। আবু হোরায়রা রা: থেকে বর্ণিত- হাদিসে ইরশাদ হচ্ছে, ‘প্রত্যেক দিন রাতের শেষ-তৃতীয়াংশে আল্লাহ সবচেয়ে নিচের আসমানে নেমে আসেন এবং বলেন, কে আমাকে ডাকছ, আমি তোমার ডাকে সাড়া দেবো। কে আছ আমার কাছে চাইছ, আমি তাকে তা দেবো। কে আছ আমার কাছে ক্ষমা প্রার্থনাকারী, আমি তোমাকে ক্ষমা করে দেবো।’ (মুসলিম-১২৬৩)

শেষরাতে : জাবের রা: থেকে বর্ণিত- রাসূল সা: ইরশাদ করেন, ‘শেষ রাতের যেকোনো সময় কোনো মুসলিমের এমনটি হয় না যে, সে পৃথিবী বা পরকালের জন্য আল্লাহর কাছে কিছু চাইল আর তাকে তা দেয়া হলো না। আর এটি প্রতিটি রাতেই ঘটে।’ (মুসলিম-১২৫৯)
সিজদার সময় : রাসূল সা: বলেন, ‘যে সময়টাতে বান্দা আল্লাহর সবচেয়ে নিকটবর্তী অবস্থায় থাকে তা হলো সিজদার সময়। তোমরা সে সময় আল্লাহর কাছে বেশি চাও।’ (মুসলিম-৭৪৪)

ফরজ সালাতের পর : আবু উমামা রা: থেকে বর্ণিত- রাসূল সা:-কে জিজ্ঞেস করা হলো, ইয়া রাসূলুল্লাহ! কোন সময়ের দোয়া দ্রুত কবুল হয়? তিনি বলেন, ‘রাতের শেষ সময়ে এবং ফরজ সালাতের পরে।’ (তিরমিজি-৩৪২১)
বৃষ্টি ও আজানের সময় : রাসূল সা: বলেন, ‘দুই সময়ের দোয়া ফেরানো হয় না। আজানের সময়ের দোয়া ও বৃষ্টি পড়ার সময়কার দোয়া।’ (আবু দাউদ-২১৭৮)

লেখক :

  • মো: লোকমান হেকিম

গবেষক ও সাংবাদিক

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

আজকের সূর্যোদয়

আজকের সূর্যোদয় প্রত্রিকায় আপনাদের স্বাগতম। ‍আমাদের নিউজ পড়ুন এবং বিজ্ঞাপন দিয়ে আমাদের পাশে থাকুন।

বরিশালে মুজিবিয়ানের ৮৭ নেতাকে খুঁজছে গোয়েন্দা সংস্থা

দোয়া কবুলের সময়

আপডেট সময় ১০:৪০:২০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ জুন ২০২৩

আমাদের প্রিয় নবী হজরত মুহাম্মাদ সা: বলেছেন, ‘দোয়াই ইবাদত’। আল্লাহ তায়ালা মানুষ সৃষ্টি করেছেন। মানুষের প্রয়োজনীয় অনেক কিছু মানুষ না চাইতেই আল্লাহর কাছ থেকে পেয়ে থাকে। এটি আল্লাহর অশেষ রহমত। আর মানুষের প্রয়োজনীয় এমন অনেক কিছু আছে যার জন্য মানুষকে আল্লাহর কাছে সর্বদা চাইতেই হয়, এই চাওয়ার নামই হচ্ছে দোয়া। মানুষ তার দৈনন্দিন জীবনে অনেক বিপদ-আপদ অনেক সমস্যার সম্মুখীন হয়, যার থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া করে। এই দোয়া হাত তুলে করতে হবে এমন কোনো কথা নেই, যখন যা দরকার ছোট-বড় সব প্রয়োজনের জন্য আল্লাহর কাছে একাগ্রচিত্তে চাওয়াই দোয়া। আল্লাহ বলেন- ‘তোমরা আমার কাছে চাও আমি তোমাদেরকে দেবো’। আল্লাহর কাছে বান্দা কিছু চাইলে আল্লাহ তাতে খুশি হন, হাদিসে আছে ‘আল্লাহর কাছে দোয়া অপেক্ষা অধিক প্রিয় জিনিস আর কিছুই নেই’। অতএব দোয়া থেকে বিরত থাকা কোনো বুদ্ধিমানের কাজ নয়। আল্লাহ তায়ালা দিন-রাতের কিছু মুহূর্ত ঠিক করে রেখেছেন যখন দোয়া কবুল হয়।
আজান ও ইকামতের সময় : হজরত আনাস রা: থেকে বর্ণিত- রাসূল সা: বলেন, ‘আজান ও ইকামতের মধ্যবর্তী সময়ের দোয়া ফিরিয়ে দেয়া হয় না’। (তিরমিজি-১৯৬)
রাতের শেষ-তৃতীয়াংশে : প্রতিটি রাতের শেষ- তৃতীয়াংশে দোয়া কবুল হয়। আবু হোরায়রা রা: থেকে বর্ণিত- হাদিসে ইরশাদ হচ্ছে, ‘প্রত্যেক দিন রাতের শেষ-তৃতীয়াংশে আল্লাহ সবচেয়ে নিচের আসমানে নেমে আসেন এবং বলেন, কে আমাকে ডাকছ, আমি তোমার ডাকে সাড়া দেবো। কে আছ আমার কাছে চাইছ, আমি তাকে তা দেবো। কে আছ আমার কাছে ক্ষমা প্রার্থনাকারী, আমি তোমাকে ক্ষমা করে দেবো।’ (মুসলিম-১২৬৩)

শেষরাতে : জাবের রা: থেকে বর্ণিত- রাসূল সা: ইরশাদ করেন, ‘শেষ রাতের যেকোনো সময় কোনো মুসলিমের এমনটি হয় না যে, সে পৃথিবী বা পরকালের জন্য আল্লাহর কাছে কিছু চাইল আর তাকে তা দেয়া হলো না। আর এটি প্রতিটি রাতেই ঘটে।’ (মুসলিম-১২৫৯)
সিজদার সময় : রাসূল সা: বলেন, ‘যে সময়টাতে বান্দা আল্লাহর সবচেয়ে নিকটবর্তী অবস্থায় থাকে তা হলো সিজদার সময়। তোমরা সে সময় আল্লাহর কাছে বেশি চাও।’ (মুসলিম-৭৪৪)

ফরজ সালাতের পর : আবু উমামা রা: থেকে বর্ণিত- রাসূল সা:-কে জিজ্ঞেস করা হলো, ইয়া রাসূলুল্লাহ! কোন সময়ের দোয়া দ্রুত কবুল হয়? তিনি বলেন, ‘রাতের শেষ সময়ে এবং ফরজ সালাতের পরে।’ (তিরমিজি-৩৪২১)
বৃষ্টি ও আজানের সময় : রাসূল সা: বলেন, ‘দুই সময়ের দোয়া ফেরানো হয় না। আজানের সময়ের দোয়া ও বৃষ্টি পড়ার সময়কার দোয়া।’ (আবু দাউদ-২১৭৮)

লেখক :

  • মো: লোকমান হেকিম

গবেষক ও সাংবাদিক