রাজধানীর শ্যামপুর এলাকায় একটি এজেন্সি ৫৩৮ জন হজযাত্রীর টাকা নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় শ্যামপুরের জুরাইন এলাকায় এজেন্সির সামনে বিক্ষোভ করছেন ভুক্তভোগীরা।
বুধবার (১৪ জুন) দুপুরে এই রিপোর্ট লেখার সময় শ্যামপুর থানা এলাকার জুরাইনে ওই এজেন্সির সামনে বিক্ষোভ করছেন ভুক্তভোগী হজযাত্রীরা। শ্যামপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. নজরুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, শ্যামপুরের জুরাইন এলাকার একটি হজ এজেন্সি ৫৩৮ জন হজযাত্রীর টাকা নিয়ে পালিয়ে গেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এমন অভিযোগে থানা পুলিশের দুটি টিম ঘটনাস্থলে গেছে। তবে এখন পর্যন্ত লিখিত অভিযোগ পাইনি আমরা।
ওসি বলেন, পাঁচশ বেশি হজযাত্রীর কাছ থেকে টাকা নিলেও মাত্র কয়েকজনের ভিসা লাগিয়েছেন ওই এজেন্সিতে। সাধারণ হজযাত্রীরা অনেক আশা নিয়ে এই প্রতিষ্ঠানের কাছে টাকা দেয়। তারা যদি প্রতারিত হয় তাহলে আমরা যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করব। এজেন্সির মূল মালিক পলাতক রয়েছেন। শুধুমাত্র প্রতিষ্ঠানের কয়েকজনকে পাওয়া গেছে তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
এ বিষয়ে শ্যামপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শিহাব উদ্দিন বলেন, এজেন্সিটির নাম এসএন ট্রাভেলস। এজেন্সিটির অফিসে ভুক্তভোগীরা এখন উপস্থিত রয়েছেন। ঘটনাস্থলে পুলিশসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিও রয়েছেন। ভুক্তভোগীরা আপাতত কোনো আইনি প্রক্রিয়ায় যেতে চাইছেন না। তারা আসলে চাইছেন যেকোনোভাবে যেন তাদের হজে পাঠানোর বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়। ভুক্তভোগীরা এখন এই এজেন্সির অফিস থেকে চলে যাবেন বলে তাদের সঙ্গে কথা বলে জানতে পেরেছি।
তারা এ বিষয়ে আলোচনা করতে কিছুক্ষণের মধ্যে হজ এজেন্সিজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (হাব) অফিসে যাবেন। এজেন্সিটির মালিক পলাতক রয়েছেন বলেও জানান তিনি।