ঢাকা , বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

কুরআনময় জীবন

  • সূর্যোদয় ডেস্ক:
  • আপডেট সময় ১০:০৭:৪২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৭ জুন ২০২৩
  • ১১১৭ বার পড়া হয়েছে

ইসলামী ঘরানার পরিবার থেকে দ্বীন নিয়ে বেড়ে ওঠা অতি সহজ। বৈরী পরিবেশ থেকে দ্বীন নিয়ে বেড়ে ওঠা একটু কঠিন। আমাদের দেশে বড় বড় আলেম হয়ে যারা গড়ে উঠেছেন, তাদের অধিকাংশ-আলেম পরিবার থেকে বেড়ে উঠেছেন। এর অন্যতম কারণ আলেম হয়ে বেড়ে ওঠার পেছনে তাদের মা-বাবার যথেষ্ট সাপোর্ট থাকা। সাথে আল্লাহর বিশেষ মেহেরবানি।
আমি আমার জীবনের সূচনালগ্ন থেকে বৈরী এক পরিবেশে বেড়ে উঠেছি। যখন আমার মাদরাসার পড়ালেখার পেছনে কেবল মা-ই সমর্থন জানিয়েছিলেন। এমনকি আমার বাবাও কওমি মাদরাসায় পড়ালেখা করানোর ঘোর বিরোধী ছিলেন। (আল্লাহ রাব্বুল আলামিন তাদের দু’জনকে সুস্থতার সাথে দীর্ঘ হায়াত দান করুন) এলাকাবাসীর কথা বাদ-ই দিলাম! যারা আজ অবধি আমার বিরোধিতা করে চলছে।

কখনোই তাদের কাছ থেকে সাপোর্ট পাইনি; বরং তাদের নেতিবাচক মনোভাবই প্রতিফলিত হয়েছে। (ইসলাম প্রিয় যুবক ভায়েরা সম্পূর্ণ-ই আলাদা) এটি আমাকে আজ পর্যন্ত ইসলামের ওপর অটল-অবিচল থাকার সহায়ক ভূমিকা পালন করেছে। আলহামদুলিল্লাহ। কারণ আমি যখনই নিজ এলাকায় গেছি, তাদের নেতিবাচক মনোভাবের সম্মুখীন হয়েছি। যা আমাকে কুরে কুরে খেয়েছে এবং ভালো আলেম হওয়ার ইন্ধন জুগিয়েছে। হয়তো আল্লাহরই বিশেষ মেহেরবানি যে, তিনি আমাকে তাদের মাধ্যমে সদা-সর্বদা অনুপ্রাণিত করেছেন। আমার এলাকার মানুষ-তাদের কাউকে আমি খারাপ বলছি না; বরং বলছি, তাদের অধিকাংশ পীর-মুরিদির সাথে জড়িয়ে আছে। ফলে তারা পীর সাহেবের বাতলানো আমল করে যাচ্ছেন। যা আমাদেও শেখা আমল আখলাকের সাথে সাংঘর্ষিক! যা আমরা শত চেষ্টা করেও তাদের বুঝাতে পারছি না; বরং যতই তাদের বুঝাতে চেষ্টা করেছি, ততই তাদের ঘোর সমালোচনার রোষানলে পড়েছি!

এবার বলি আমার হিফজ জীবন পাড়ি দেয়ার কথা। কুরআনুল কারিম মুখস্থকরণ আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের বিশেষ এক অনুগ্রহ; যা তিনি তাঁর বিশেষ বান্দাদের দিয়ে করিয়ে থাকেন। কুরআন হিফজ পড়ে ধরে রাখতে পারা তাঁর আরেক বড় নিয়ামত। যা কেবল কুরআন মুখস্থ করে ভুলে যাওয়া ব্যক্তিরাই অনুধাবন করতে পারেন। যে বিষয়ে হাদিসে নববীতে অনেক ধমকিও এসেছে। কুরআন হিফজ করা কোনো ফরজ বিধান নয় যে, তা না করলে জবাবদিহির কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে!
তবে তার বিশেষ মর্যাদা ও বিশেষ ফজিলত রয়েছে; যা কেবল কুরআনে হাফেজ সাহেবরাই পাবেন।

যুগের সাথে তাল মিলিয়ে সব কিছুরই পরিবর্তন হচ্ছে। কুরআনে কারিমের তিলাওয়াতের মান আগেরকার সময়ের তিলাওয়াতের মতো নেই; বরং এখনকার সময়ের তিলাওয়াতের মধ্যে অনেক অনেক পরিবর্তন এসেছে। যা বর্তমান সময়ের আন্তর্জাতিক পর্যায়ের প্রতিযোগিতাগুলোই বলে দিচ্ছে। এর পরও অনেক মাদরাসা কুরআন তিলাওয়াতের গুণগত মানের দিক থেকে অনেক বেশি পিছিয়ে রয়েছে; যা আমাদের জন্য ভাববার বিষয়!

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

আজকের সূর্যোদয়

আজকের সূর্যোদয় প্রত্রিকায় আপনাদের স্বাগতম। ‍আমাদের নিউজ পড়ুন এবং বিজ্ঞাপন দিয়ে আমাদের পাশে থাকুন।

বরিশালে মুজিবিয়ানের ৮৭ নেতাকে খুঁজছে গোয়েন্দা সংস্থা

কুরআনময় জীবন

আপডেট সময় ১০:০৭:৪২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৭ জুন ২০২৩

ইসলামী ঘরানার পরিবার থেকে দ্বীন নিয়ে বেড়ে ওঠা অতি সহজ। বৈরী পরিবেশ থেকে দ্বীন নিয়ে বেড়ে ওঠা একটু কঠিন। আমাদের দেশে বড় বড় আলেম হয়ে যারা গড়ে উঠেছেন, তাদের অধিকাংশ-আলেম পরিবার থেকে বেড়ে উঠেছেন। এর অন্যতম কারণ আলেম হয়ে বেড়ে ওঠার পেছনে তাদের মা-বাবার যথেষ্ট সাপোর্ট থাকা। সাথে আল্লাহর বিশেষ মেহেরবানি।
আমি আমার জীবনের সূচনালগ্ন থেকে বৈরী এক পরিবেশে বেড়ে উঠেছি। যখন আমার মাদরাসার পড়ালেখার পেছনে কেবল মা-ই সমর্থন জানিয়েছিলেন। এমনকি আমার বাবাও কওমি মাদরাসায় পড়ালেখা করানোর ঘোর বিরোধী ছিলেন। (আল্লাহ রাব্বুল আলামিন তাদের দু’জনকে সুস্থতার সাথে দীর্ঘ হায়াত দান করুন) এলাকাবাসীর কথা বাদ-ই দিলাম! যারা আজ অবধি আমার বিরোধিতা করে চলছে।

কখনোই তাদের কাছ থেকে সাপোর্ট পাইনি; বরং তাদের নেতিবাচক মনোভাবই প্রতিফলিত হয়েছে। (ইসলাম প্রিয় যুবক ভায়েরা সম্পূর্ণ-ই আলাদা) এটি আমাকে আজ পর্যন্ত ইসলামের ওপর অটল-অবিচল থাকার সহায়ক ভূমিকা পালন করেছে। আলহামদুলিল্লাহ। কারণ আমি যখনই নিজ এলাকায় গেছি, তাদের নেতিবাচক মনোভাবের সম্মুখীন হয়েছি। যা আমাকে কুরে কুরে খেয়েছে এবং ভালো আলেম হওয়ার ইন্ধন জুগিয়েছে। হয়তো আল্লাহরই বিশেষ মেহেরবানি যে, তিনি আমাকে তাদের মাধ্যমে সদা-সর্বদা অনুপ্রাণিত করেছেন। আমার এলাকার মানুষ-তাদের কাউকে আমি খারাপ বলছি না; বরং বলছি, তাদের অধিকাংশ পীর-মুরিদির সাথে জড়িয়ে আছে। ফলে তারা পীর সাহেবের বাতলানো আমল করে যাচ্ছেন। যা আমাদেও শেখা আমল আখলাকের সাথে সাংঘর্ষিক! যা আমরা শত চেষ্টা করেও তাদের বুঝাতে পারছি না; বরং যতই তাদের বুঝাতে চেষ্টা করেছি, ততই তাদের ঘোর সমালোচনার রোষানলে পড়েছি!

এবার বলি আমার হিফজ জীবন পাড়ি দেয়ার কথা। কুরআনুল কারিম মুখস্থকরণ আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের বিশেষ এক অনুগ্রহ; যা তিনি তাঁর বিশেষ বান্দাদের দিয়ে করিয়ে থাকেন। কুরআন হিফজ পড়ে ধরে রাখতে পারা তাঁর আরেক বড় নিয়ামত। যা কেবল কুরআন মুখস্থ করে ভুলে যাওয়া ব্যক্তিরাই অনুধাবন করতে পারেন। যে বিষয়ে হাদিসে নববীতে অনেক ধমকিও এসেছে। কুরআন হিফজ করা কোনো ফরজ বিধান নয় যে, তা না করলে জবাবদিহির কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে!
তবে তার বিশেষ মর্যাদা ও বিশেষ ফজিলত রয়েছে; যা কেবল কুরআনে হাফেজ সাহেবরাই পাবেন।

যুগের সাথে তাল মিলিয়ে সব কিছুরই পরিবর্তন হচ্ছে। কুরআনে কারিমের তিলাওয়াতের মান আগেরকার সময়ের তিলাওয়াতের মতো নেই; বরং এখনকার সময়ের তিলাওয়াতের মধ্যে অনেক অনেক পরিবর্তন এসেছে। যা বর্তমান সময়ের আন্তর্জাতিক পর্যায়ের প্রতিযোগিতাগুলোই বলে দিচ্ছে। এর পরও অনেক মাদরাসা কুরআন তিলাওয়াতের গুণগত মানের দিক থেকে অনেক বেশি পিছিয়ে রয়েছে; যা আমাদের জন্য ভাববার বিষয়!