ঢাকা , সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

সরকার পতনে আন্দোলনের রোডম্যাপ বিএনপির

  • মঈন উদ্দিন খান
  • আপডেট সময় ০৯:৪৭:০১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৪ জুন ২০২৩
  • ১১৩১ বার পড়া হয়েছে

-টার্গেটে সেপ্টেম্বর
-জনগণকে ব্যাপকভাবে মাঠে নামানোর চিন্তা

আসছে সেপ্টেম্বরকে টার্গেট করে আন্দোলনের চূড়ান্ত রোডম্যাপ কষছে বিএনপি। এর আগে জুলাইয়ের মাঝামাঝিতে শুরু হবে এক দফার আন্দোলন। বিএনপির নীতিনির্ধারকরা বলেছেন, সরকার নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি মেনে না নিলে এক দফার আন্দোলন সেপ্টেম্বরে গিয়ে চূড়ান্ত পথ বেছে নেবে। আর ওই আন্দোলনে জনগণকে ব্যাপকভাবে মাঠে নামানো হবে।

ঈদুল আজহার পরে শুরু হচ্ছে বিএনপির চূড়ান্ত ধাপের আন্দোলন। এই আন্দোলনকে নতুন মাত্রা দেয়ার নানা পরিকল্পনা করছে দলটি। দলটির প্রাথমিক চিন্তা অনুযায়ী, দাবি আদায়ে বিগত কয়েক মাস ধরে যে ধরনের কর্মসূচি ছিল চূড়ান্ত আন্দোলনের প্রথম ধাপে আবারো সেগুলোই পালন করা হবে, তবে তা আরো জোরালো ও ব্যাপক শোডাউনের মাধ্যমে পালিত হবে। তবে বাধ্য না হলে সাংঘর্ষিক কোনো কর্মসূচিতে যাবে না দলটি।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বিএনপি আপাতত অন্য কোনো দিকে তাদের মনোযোগ ডাইভার্ট করতে চায় না। সে কারণে ঈদের পরে দল ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের কমিটি গঠন-পুনর্গঠন প্রক্রিয়াও আর খুব বেশি গুরুত্ব পাবে না। একমাত্র আন্দোলনই হবে তখন দলটির মূল ফোকাস। আর খুব অল্প সময়ের মধ্যেই সে আন্দোলনকে চূড়ান্ত পর্যায়ে নিয়ে যেতে চান নীতিনির্ধারকরা। চূড়ান্ত সেই আন্দোলনে নামতে ইতোমধ্যে দলের সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

এ দিকে যুগপতের শরিকদের সাথে আলোচনা করে চূড়ান্ত আন্দোলনের পরিকল্পনা সাজাচ্ছে বিএনপি। তবে এর পাশাপাশি সরকারের অবস্থানও খুব সতর্কভাবে পর্যবেক্ষণ করছে দলটির হাইকমান্ড। আওয়ামী লীগ কিভাবে আগামী নির্বাচন করতে চায়, তাদের এজেন্ডা কী, বিএনপিকে নির্বাচনে আনতে তাদের কোনো তৎপরতা আছে কি না- এসব দিকে দৃষ্টি রাখছে দলটি। এ ছাড়া মার্কিন ভিসা নীতির পর বিচারালয়, পুলিশ, প্রশাসনের কর্মকাণ্ডে কোনো পরিবর্তন এসেছে কিনা অর্থাৎ নেতাদের মামলার ক্ষেত্রে রায় কেমন হচ্ছে, জামিন দেয়ার ক্ষেত্রে আদালতের অবস্থান কী, মাঠে পুলিশের ভূমিকা কেমন- দাফতরিকভাবে এগুলোও খুব সতর্কভাবে পর্যবেক্ষণ করছে বিএনপি। এসব কর্মকাণ্ড দেখে দলটির কর্মসূচিও পুনর্বিন্যাস হবে।

জানা গেছে, বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপর সরকারের হামলা-মামলা, গ্রেফতার, অত্যাচার-নির্যাতনের মাত্রা বেড়ে গেলে, দলটি তখন তাদের চূড়ান্ত আন্দোলনও এগিয়ে নিয়ে আসবে। আগামী সেপ্টেম্বর-অক্টোবরের মধ্যেই রাজপথে চূড়ান্ত ফয়সালা করতে চায় দলটি। এক দফার আন্দোলন প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, এক দফা আন্দোলনের চাহিদা সব জায়গায় আছে। মূলত ১০ দফার দাবিগুলোই এক দফার মধ্যে আসবে। এটার আলাদা কোনো বৈশিষ্ট্য নেই। এক দফার আন্দোলনের মানে হলো ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের পতন। চলমান আন্দোলনে নেতাকর্মীদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষও সম্পৃক্ত হয়েছে। আশা করি, এক দফার আন্দোলনে তাদের অংশগ্রহণ আরো বাড়বে। জনসম্পৃক্ত আন্দোলনের মধ্য দিয়েই সরকারের পতন ঘটবে।

আওয়ামী লীগ সরকারের পদত্যাগ, সংসদ বিলুপ্ত, নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন, বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তিসহ ১০ দফার ভিত্তিতে গত ২৪ ডিসেম্বর থেকে যুগপৎ আন্দোলন শুরু করে শেখ হাসিনা সরকারের অধীনে নির্বাচনে না যাওয়ার ঘোষণা দেয়া বিএনপি। ঈদুল ফিতরের আগ পর্যন্ত যুগপৎভাবে নানা কর্মসূচি পালিত হয়। ওই সময় পর্যন্ত গণমিছিল, গণ-অবস্থান, মিছিল, বিক্ষোভ সমাবেশ, গণসমাবেশ, মানববন্ধন, পদযাত্রার মতো শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করা হয়। তবে ঈদের পর থেকে বিএনপি এককভাবে কর্মসূচি করছে। আর বিএনপির কর্মসূচির মধ্যেই ঢাকাসহ দেশের ছয়টি বড় শহরে ১১ দফার ভিত্তিতে ‘তারুণ্যের সমাবেশ’ করছে দলটির প্রধান তিন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদল। আন্দোলনে তরুণদের সম্পৃক্ত করতে এ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। গত ১৪ জুন চট্টগ্রামে কর্মসূচির মধ্য দিয়ে তারুণ্যের এই সমাবেশ শুরু হয়েছে। আগামী ২২ জুলাই ঢাকায় সমাবেশের মধ্য দিয়ে তা শেষ হবে। আর ঢাকায় তারুণ্যের ওই সমাবেশ ঘিরে সরকারকে বড় ধাক্কা দেয়ার পরিকল্পনা রয়েছে বিএনপির।

এ দিকে ঈদের পর থেকে বিএনপির পাশাপাশি যুগপতের শরিক দল ও জোটগুলোও কর্মসূচি নিয়ে রাজপথে রয়েছে। যুগপতের ধারায় দলীয় ব্যানারে কর্মসূচি পালন করছে তারা। জুলাইয়ের দ্বিতীয় সপ্তাহে এক দফার যৌথ ঘোষণার পর পুনরায় মাঠে গড়াতে পারে যুগপৎ আন্দোলন।
বিএনপি নেতারা মনে করছেন, আগামী নির্বাচনকে ঘিরে সরকার এখন পর্যন্ত সংলাপের বিষয়টি প্রত্যাখ্যান করে এলেও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ আন্তর্জাতিক মহলের চাপে ঈদের পরে বিএনপিকে সংলাপের আহ্বান জানানো হতে পারে। তবে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দলটির নীতিগত সিদ্ধান্ত হচ্ছে- নির্দলীয়-নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন বা এ ধরনের সুনির্দিষ্ট এজেন্ডা ছাড়া সরকারের সাথে এবার কোনো সংলাপে যাবে না বিএনপি। কারণ, সংলাপ নিয়ে বিএনপির অতীত অভিজ্ঞতা সুখকর নয়। তা ছাড়া এজেন্ডাবিহীন কোনো সংলাপে না যেতে দলটির কেন্দ্রের ওপর তৃণমূলের ব্যাপক চাপ রয়েছে।

তারা আরো মনে করছেন, দশম ও একাদশ সংসদ নির্বাচনের পরিপ্রেক্ষিতে আগামী নির্বাচনকে ঘিরে আন্তর্জাতিক মহলের অবস্থান স্পষ্ট। তারা বাংলাদেশে একটি অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন চায়। এর অংশ হিসেবে গত ২৪ মে বাংলাদেশের জন্য মার্কিন ভিসানীতি ঘোষণা করা হয়েছে। গণতান্ত্রিক বিশ্বের এই অবস্থান সামনে আরো শক্তিশালী হবে। নির্বাচন যাতে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয়, সেজন্য তাদের পক্ষ থেকে আগামীতে আরো পদক্ষেপ আসতে পারে। কারণ নির্বাচন নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক করতে তারাও সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপ গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে।
তবে দলটির নেতাদের ধারণা, কোনো ধরনের সমঝোতা ছাড়া যদি দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়, তাহলে দেশে একটি বিশৃঙ্খল পরিবেশ সৃষ্টি হতে পারে। সেক্ষেত্রে যেকোনো পরিস্থিতির উদ্ভব হতে পারে, যার দায় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগকেই নিতে হবে।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

আজকের সূর্যোদয়

আজকের সূর্যোদয় প্রত্রিকায় আপনাদের স্বাগতম। ‍আমাদের নিউজ পড়ুন এবং বিজ্ঞাপন দিয়ে আমাদের পাশে থাকুন।

বরিশালে মুজিবিয়ানের ৮৭ নেতাকে খুঁজছে গোয়েন্দা সংস্থা

সরকার পতনে আন্দোলনের রোডম্যাপ বিএনপির

আপডেট সময় ০৯:৪৭:০১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৪ জুন ২০২৩

-টার্গেটে সেপ্টেম্বর
-জনগণকে ব্যাপকভাবে মাঠে নামানোর চিন্তা

আসছে সেপ্টেম্বরকে টার্গেট করে আন্দোলনের চূড়ান্ত রোডম্যাপ কষছে বিএনপি। এর আগে জুলাইয়ের মাঝামাঝিতে শুরু হবে এক দফার আন্দোলন। বিএনপির নীতিনির্ধারকরা বলেছেন, সরকার নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি মেনে না নিলে এক দফার আন্দোলন সেপ্টেম্বরে গিয়ে চূড়ান্ত পথ বেছে নেবে। আর ওই আন্দোলনে জনগণকে ব্যাপকভাবে মাঠে নামানো হবে।

ঈদুল আজহার পরে শুরু হচ্ছে বিএনপির চূড়ান্ত ধাপের আন্দোলন। এই আন্দোলনকে নতুন মাত্রা দেয়ার নানা পরিকল্পনা করছে দলটি। দলটির প্রাথমিক চিন্তা অনুযায়ী, দাবি আদায়ে বিগত কয়েক মাস ধরে যে ধরনের কর্মসূচি ছিল চূড়ান্ত আন্দোলনের প্রথম ধাপে আবারো সেগুলোই পালন করা হবে, তবে তা আরো জোরালো ও ব্যাপক শোডাউনের মাধ্যমে পালিত হবে। তবে বাধ্য না হলে সাংঘর্ষিক কোনো কর্মসূচিতে যাবে না দলটি।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বিএনপি আপাতত অন্য কোনো দিকে তাদের মনোযোগ ডাইভার্ট করতে চায় না। সে কারণে ঈদের পরে দল ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের কমিটি গঠন-পুনর্গঠন প্রক্রিয়াও আর খুব বেশি গুরুত্ব পাবে না। একমাত্র আন্দোলনই হবে তখন দলটির মূল ফোকাস। আর খুব অল্প সময়ের মধ্যেই সে আন্দোলনকে চূড়ান্ত পর্যায়ে নিয়ে যেতে চান নীতিনির্ধারকরা। চূড়ান্ত সেই আন্দোলনে নামতে ইতোমধ্যে দলের সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

এ দিকে যুগপতের শরিকদের সাথে আলোচনা করে চূড়ান্ত আন্দোলনের পরিকল্পনা সাজাচ্ছে বিএনপি। তবে এর পাশাপাশি সরকারের অবস্থানও খুব সতর্কভাবে পর্যবেক্ষণ করছে দলটির হাইকমান্ড। আওয়ামী লীগ কিভাবে আগামী নির্বাচন করতে চায়, তাদের এজেন্ডা কী, বিএনপিকে নির্বাচনে আনতে তাদের কোনো তৎপরতা আছে কি না- এসব দিকে দৃষ্টি রাখছে দলটি। এ ছাড়া মার্কিন ভিসা নীতির পর বিচারালয়, পুলিশ, প্রশাসনের কর্মকাণ্ডে কোনো পরিবর্তন এসেছে কিনা অর্থাৎ নেতাদের মামলার ক্ষেত্রে রায় কেমন হচ্ছে, জামিন দেয়ার ক্ষেত্রে আদালতের অবস্থান কী, মাঠে পুলিশের ভূমিকা কেমন- দাফতরিকভাবে এগুলোও খুব সতর্কভাবে পর্যবেক্ষণ করছে বিএনপি। এসব কর্মকাণ্ড দেখে দলটির কর্মসূচিও পুনর্বিন্যাস হবে।

জানা গেছে, বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপর সরকারের হামলা-মামলা, গ্রেফতার, অত্যাচার-নির্যাতনের মাত্রা বেড়ে গেলে, দলটি তখন তাদের চূড়ান্ত আন্দোলনও এগিয়ে নিয়ে আসবে। আগামী সেপ্টেম্বর-অক্টোবরের মধ্যেই রাজপথে চূড়ান্ত ফয়সালা করতে চায় দলটি। এক দফার আন্দোলন প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, এক দফা আন্দোলনের চাহিদা সব জায়গায় আছে। মূলত ১০ দফার দাবিগুলোই এক দফার মধ্যে আসবে। এটার আলাদা কোনো বৈশিষ্ট্য নেই। এক দফার আন্দোলনের মানে হলো ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের পতন। চলমান আন্দোলনে নেতাকর্মীদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষও সম্পৃক্ত হয়েছে। আশা করি, এক দফার আন্দোলনে তাদের অংশগ্রহণ আরো বাড়বে। জনসম্পৃক্ত আন্দোলনের মধ্য দিয়েই সরকারের পতন ঘটবে।

আওয়ামী লীগ সরকারের পদত্যাগ, সংসদ বিলুপ্ত, নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন, বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তিসহ ১০ দফার ভিত্তিতে গত ২৪ ডিসেম্বর থেকে যুগপৎ আন্দোলন শুরু করে শেখ হাসিনা সরকারের অধীনে নির্বাচনে না যাওয়ার ঘোষণা দেয়া বিএনপি। ঈদুল ফিতরের আগ পর্যন্ত যুগপৎভাবে নানা কর্মসূচি পালিত হয়। ওই সময় পর্যন্ত গণমিছিল, গণ-অবস্থান, মিছিল, বিক্ষোভ সমাবেশ, গণসমাবেশ, মানববন্ধন, পদযাত্রার মতো শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করা হয়। তবে ঈদের পর থেকে বিএনপি এককভাবে কর্মসূচি করছে। আর বিএনপির কর্মসূচির মধ্যেই ঢাকাসহ দেশের ছয়টি বড় শহরে ১১ দফার ভিত্তিতে ‘তারুণ্যের সমাবেশ’ করছে দলটির প্রধান তিন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদল। আন্দোলনে তরুণদের সম্পৃক্ত করতে এ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। গত ১৪ জুন চট্টগ্রামে কর্মসূচির মধ্য দিয়ে তারুণ্যের এই সমাবেশ শুরু হয়েছে। আগামী ২২ জুলাই ঢাকায় সমাবেশের মধ্য দিয়ে তা শেষ হবে। আর ঢাকায় তারুণ্যের ওই সমাবেশ ঘিরে সরকারকে বড় ধাক্কা দেয়ার পরিকল্পনা রয়েছে বিএনপির।

এ দিকে ঈদের পর থেকে বিএনপির পাশাপাশি যুগপতের শরিক দল ও জোটগুলোও কর্মসূচি নিয়ে রাজপথে রয়েছে। যুগপতের ধারায় দলীয় ব্যানারে কর্মসূচি পালন করছে তারা। জুলাইয়ের দ্বিতীয় সপ্তাহে এক দফার যৌথ ঘোষণার পর পুনরায় মাঠে গড়াতে পারে যুগপৎ আন্দোলন।
বিএনপি নেতারা মনে করছেন, আগামী নির্বাচনকে ঘিরে সরকার এখন পর্যন্ত সংলাপের বিষয়টি প্রত্যাখ্যান করে এলেও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ আন্তর্জাতিক মহলের চাপে ঈদের পরে বিএনপিকে সংলাপের আহ্বান জানানো হতে পারে। তবে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দলটির নীতিগত সিদ্ধান্ত হচ্ছে- নির্দলীয়-নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন বা এ ধরনের সুনির্দিষ্ট এজেন্ডা ছাড়া সরকারের সাথে এবার কোনো সংলাপে যাবে না বিএনপি। কারণ, সংলাপ নিয়ে বিএনপির অতীত অভিজ্ঞতা সুখকর নয়। তা ছাড়া এজেন্ডাবিহীন কোনো সংলাপে না যেতে দলটির কেন্দ্রের ওপর তৃণমূলের ব্যাপক চাপ রয়েছে।

তারা আরো মনে করছেন, দশম ও একাদশ সংসদ নির্বাচনের পরিপ্রেক্ষিতে আগামী নির্বাচনকে ঘিরে আন্তর্জাতিক মহলের অবস্থান স্পষ্ট। তারা বাংলাদেশে একটি অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন চায়। এর অংশ হিসেবে গত ২৪ মে বাংলাদেশের জন্য মার্কিন ভিসানীতি ঘোষণা করা হয়েছে। গণতান্ত্রিক বিশ্বের এই অবস্থান সামনে আরো শক্তিশালী হবে। নির্বাচন যাতে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয়, সেজন্য তাদের পক্ষ থেকে আগামীতে আরো পদক্ষেপ আসতে পারে। কারণ নির্বাচন নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক করতে তারাও সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপ গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে।
তবে দলটির নেতাদের ধারণা, কোনো ধরনের সমঝোতা ছাড়া যদি দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়, তাহলে দেশে একটি বিশৃঙ্খল পরিবেশ সৃষ্টি হতে পারে। সেক্ষেত্রে যেকোনো পরিস্থিতির উদ্ভব হতে পারে, যার দায় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগকেই নিতে হবে।