স্ত্রীর সঙ্গে অবৈধ সম্পর্কের সন্দেহে বন্ধুকে ডেকে নিয়ে মারধরের পর তার গলা কেটে রক্তপান করেছেন এক বন্ধু। এই ঘটনার পর বন্ধুকে হত্যাচেষ্টার দায়ে ওই নারীর স্বামীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ভারতের দক্ষিণপশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্য কর্ণাটকে রোমহর্ষক এই ঘটনা ঘটেছে বলে সোমবার দেশটির সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
তবে ওই ব্যক্তি বেঁচে গেছেন এবং বর্তমানে রাজ্যের একটি হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনা কর্ণাটকের চিক্কাবাল্লাপুর এলাকায় ঘটেছে। হত্যাচেষ্টার এই ঘটনার দৃশ্য মোবাইল ফোনে ধারণ করেন স্থানীয় এক প্রত্যক্ষদর্শী।
রাজ্য পুলিশ বলেছে, স্ত্রীর সাথে বন্ধু মারেশের অবৈধ সম্পর্ক আছে বলে সন্দেহ করতেন বিজয়। পরে এই বিষয়ে কথা বলার জন্য মারেশকে ডেকে নেন তিনি।
সাক্ষাতের পর দুজনের মধ্যে বাগবিতণ্ডা শুরু হয়। এর এক পর্যায়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে বন্ধু মাহেশের গলা কেটে দেন ওই নারীর স্বামী। প্রত্যক্ষদর্শীর মোবাইল ফোনে ধারণ করা ভিডিওতে দেখা যায়, বিজয় মাটিতে হাঁটু গেড়ে তার বন্ধুকে চেপে ধরে আছেন। এ সময় মাহেশের গলা থেকে গড়িয়ে পড়া রক্ত পান করতে দেখা যায় বিজয়কে।
কাটা গলা নিয়ে মাটিতে পড়ে থাকা মাহেশকে একের পর এক প্রশ্নও করেন বিজয়। আহত অব্স্থায় পড়ে থাকা মাহেশকে কিল-ঘুষিও মারেন তিনি।
রোমহর্ষক এই ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যাওয়ার পর বিজয়কে গ্রেপ্তার করেছে রাজ্য পুলিশ। পরে রাজ্যের কেনচারলাহালি পুলিশ স্টেশনে বিজয়ের বিরুদ্ধে বন্ধুকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়।
রাজ্যের কর্মকর্তারা বলেছেন, আহত মাহেশ বর্তমানে একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। সূত্র: এনডিটিভি।