ঢাকা , সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

আশুগঞ্জে দু’গোষ্ঠীর সংঘর্ষে আহত ৩০, বাড়িঘর ও দোকানপাট ভাঙচুর

  • সূর্যোদয় ডেস্ক:
  • আপডেট সময় ০৮:০৭:৪৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৪ জানুয়ারী ২০২৩
  • ১৩৫৬ বার পড়া হয়েছে

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে সিএনজিচালিত অটোরিক্সা গায়ে লাগা নিয়ে কথা কাটাকাটি ও সিএনজি ভাংচুরের জের ধরে গ্রামবাসীর মধ্যে দু‘দফা সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছে। এ সময় কয়েকটি বাড়িঘর ও দোকানপাট ভাঙচুর করা হয়েছে।

শুক্রবার রাতে এবং শনিবার সকালে আশুগঞ্জের দুর্গাপুর গ্রামের জারুর গোষ্ঠী (রাসেল চেয়ারম্যানের গোষ্ঠী) এবং বারঘরিয়া (মিজান মেম্বারের গোষ্ঠী) গোষ্ঠীর লোকজনের মধ্যে দু‘দফায় এ সংঘর্ষে ঘটে।

জানা গেছে, পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে অন্তত ২০ রাউন্ড টিয়ারশেল ও শর্টগানের গুলি ছুড়ে বেলা দেড়টার দিকে সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় পুলিশ তিনজনকে আটক করেছে। সংঘর্ষে গুরুতর আহতদের ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে ও অন্যদের স্থানীয় বিভিন্ন ক্লিনিকে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।

এদিকে সংঘর্ষ থামলেও এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। সংঘর্ষের খবর পেয়ে আশুগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ঘটনাস্থলে পৌঁছে বিবদামান গোষ্ঠির নেতৃবৃন্দকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার রাতে উপজেলার দুর্গাপুর গ্রামের বারঘরিয়া গোষ্ঠীর মুন্সি বাড়িতে ওয়াজ মাহফিল হয়। এতে রাস্তা প্রায় বন্ধ ও রাস্তার উপর কিছু দোকানপাট বসে। এ রাস্তায় জারুর বাড়ির মো: কুতুব মিয়ার ছেলে মো: রুহুল আমিন সিএনজি নিয়ে যেতে চাইলে একজনের গায়ে লাগে। এ নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়। রুহল আমিনকে মারধর ও তার সিএনজির কাচ ভাংচুর করে বারঘরিয়া গোষ্ঠীর লোকজন। রুহুল আমিন বাড়িতে এসে তার বাড়ির লোকজনকে জানালে তারা রাস্তায় দাঁড়িয়ে বারঘরিয়া গোষ্ঠির দুটি সিএনজি আটক করে।

এদিকে বারঘরিয়া গোষ্ঠীর সিএনজি ফেরত ও বিষয়টি সমাধানের লক্ষ্যে দুর্গাপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মো: রাসেল মিয়া তার পরিষদের সদস্য বারঘরিয়া গোষ্ঠীর মো: মিজান মিয়াকে বাড়িতে ডেকে আনেন। মিজান মেম্বার রাসেল চেয়ারম্যানের বাড়িতে এলে চেয়ারম্যানের সামনেই জারুর গোষ্ঠীর লোকজন তাকে পিটিয়ে আহত করে। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে বারঘরিয়া গোষ্ঠীর লোকজন দেশীয় দা-বল্লম নিয়ে জারুর গোষ্ঠীর লোকজনের উপর হামলা করলে জারুর গোষ্ঠীর লোকজনও পাল্টা হামলা করে।

খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে। কিন্তু পরের দিন শনিবার সকাল ১১টার দিকে আবার উভয় গোষ্ঠীর লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আবারো সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। প্রায় আড়াই ঘণ্টাব্যাপী এ সংঘর্ষে দুর্গাপুর গ্রামের অন্য গোষ্ঠীর লোকজন জারু গোষ্ঠী ও বারঘরিয়ার গোষ্ঠীর দলে বিভক্ত হয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।

এ ব্যাপারে আশুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: আজাদ রহমান বলেন, বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। পরবর্তী সংঘর্ষ এড়াতে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মেতায়েন করা হয়েছে।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

আজকের সূর্যোদয়

আজকের সূর্যোদয় প্রত্রিকায় আপনাদের স্বাগতম। ‍আমাদের নিউজ পড়ুন এবং বিজ্ঞাপন দিয়ে আমাদের পাশে থাকুন।

বরিশালে মুজিবিয়ানের ৮৭ নেতাকে খুঁজছে গোয়েন্দা সংস্থা

আশুগঞ্জে দু’গোষ্ঠীর সংঘর্ষে আহত ৩০, বাড়িঘর ও দোকানপাট ভাঙচুর

আপডেট সময় ০৮:০৭:৪৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৪ জানুয়ারী ২০২৩

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে সিএনজিচালিত অটোরিক্সা গায়ে লাগা নিয়ে কথা কাটাকাটি ও সিএনজি ভাংচুরের জের ধরে গ্রামবাসীর মধ্যে দু‘দফা সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছে। এ সময় কয়েকটি বাড়িঘর ও দোকানপাট ভাঙচুর করা হয়েছে।

শুক্রবার রাতে এবং শনিবার সকালে আশুগঞ্জের দুর্গাপুর গ্রামের জারুর গোষ্ঠী (রাসেল চেয়ারম্যানের গোষ্ঠী) এবং বারঘরিয়া (মিজান মেম্বারের গোষ্ঠী) গোষ্ঠীর লোকজনের মধ্যে দু‘দফায় এ সংঘর্ষে ঘটে।

জানা গেছে, পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে অন্তত ২০ রাউন্ড টিয়ারশেল ও শর্টগানের গুলি ছুড়ে বেলা দেড়টার দিকে সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় পুলিশ তিনজনকে আটক করেছে। সংঘর্ষে গুরুতর আহতদের ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে ও অন্যদের স্থানীয় বিভিন্ন ক্লিনিকে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।

এদিকে সংঘর্ষ থামলেও এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। সংঘর্ষের খবর পেয়ে আশুগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ঘটনাস্থলে পৌঁছে বিবদামান গোষ্ঠির নেতৃবৃন্দকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার রাতে উপজেলার দুর্গাপুর গ্রামের বারঘরিয়া গোষ্ঠীর মুন্সি বাড়িতে ওয়াজ মাহফিল হয়। এতে রাস্তা প্রায় বন্ধ ও রাস্তার উপর কিছু দোকানপাট বসে। এ রাস্তায় জারুর বাড়ির মো: কুতুব মিয়ার ছেলে মো: রুহুল আমিন সিএনজি নিয়ে যেতে চাইলে একজনের গায়ে লাগে। এ নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়। রুহল আমিনকে মারধর ও তার সিএনজির কাচ ভাংচুর করে বারঘরিয়া গোষ্ঠীর লোকজন। রুহুল আমিন বাড়িতে এসে তার বাড়ির লোকজনকে জানালে তারা রাস্তায় দাঁড়িয়ে বারঘরিয়া গোষ্ঠির দুটি সিএনজি আটক করে।

এদিকে বারঘরিয়া গোষ্ঠীর সিএনজি ফেরত ও বিষয়টি সমাধানের লক্ষ্যে দুর্গাপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মো: রাসেল মিয়া তার পরিষদের সদস্য বারঘরিয়া গোষ্ঠীর মো: মিজান মিয়াকে বাড়িতে ডেকে আনেন। মিজান মেম্বার রাসেল চেয়ারম্যানের বাড়িতে এলে চেয়ারম্যানের সামনেই জারুর গোষ্ঠীর লোকজন তাকে পিটিয়ে আহত করে। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে বারঘরিয়া গোষ্ঠীর লোকজন দেশীয় দা-বল্লম নিয়ে জারুর গোষ্ঠীর লোকজনের উপর হামলা করলে জারুর গোষ্ঠীর লোকজনও পাল্টা হামলা করে।

খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে। কিন্তু পরের দিন শনিবার সকাল ১১টার দিকে আবার উভয় গোষ্ঠীর লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আবারো সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। প্রায় আড়াই ঘণ্টাব্যাপী এ সংঘর্ষে দুর্গাপুর গ্রামের অন্য গোষ্ঠীর লোকজন জারু গোষ্ঠী ও বারঘরিয়ার গোষ্ঠীর দলে বিভক্ত হয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।

এ ব্যাপারে আশুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: আজাদ রহমান বলেন, বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। পরবর্তী সংঘর্ষ এড়াতে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মেতায়েন করা হয়েছে।