কুয়াকাটা সৈকতে গত এক বছরে ৮৩৯৫ কেজি ছেঁড়া জালের বর্জ্য ফেলা হয়েছে। ওয়ার্ল্ডফিশ ইউএসএইড ইকোফিশ-২ একটিভিটি ২০২২ সালের এক সমীক্ষায় এ তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে। প্রতিবেদনে জানা যায়, ছেড়া জাল সমূদ্র সৈকতে ফেলার ফলে কুয়াকাটা সৈকত এলাকার পরিবেশ জীববৈচিত্র হুমকির মুখে পড়েছে। বাড়ছে ক্রমশ দূষণের মাত্রা।
ইকোফিশের গবেষক সাগরিকা স্মৃতি জানিয়েছেন, জীববৈচিত্র সংরক্ষণ এবং সাগর দূষণ কমানোর লক্ষ্যে ইউএসএআইডির অর্থায়নে পরিচালিত ওয়ার্ল্ডফিশ বাংলাদেশের ইকোফিশ-২ অ্যক্টিভিটি কলাপাড়ায় যুবদের নিয়ে ব্লু-গার্ড গঠণ করা হয়েছে। এর সদস্যদের সমুদ্র সৈকত পরিষ্কার এবং সামুদ্রিক জীব-বৈচিত্র সংরক্ষণের বিভিন্ন বিষয় প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। প্লাস্টিক রিসাইক্লিং কার্যক্রমের সঙ্গে স্থানীয়ভাবে যুক্তরা ব্লু-গার্ড সদস্যদের কাছ থেকে সংগৃহীত প্লাস্টিক সামগ্রী সংগ্রহ করেন।
তিনি আরও জানিয়েছেন, ব্লু-গার্ড সদস্যদের এমন উদ্যোগের ফলে কলাপাড়ার উপকূলীয় ইকোসিস্টেম সুরক্ষার মাধ্যমে জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে সহায়ক হয়েছে। এ কাজে দেশের উপকূলের বিভিন্ন এলাকায় আরও ১০০ জনকে যুক্ত করা হয়েছে, যার মধ্যে ২০ ভাগ নারী রয়েছেন। ইকোফিশের এমন উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন কলাপাড়ার সচেতন মানুষ।
স্থাণীয়রা জানিয়েছেন, মৎস্যজীবি সম্প্রদায়ের কয়েকজন যুবক কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত এবং আশেপাশের এলাকা থেকে ২০২২ সালে সপ্তাহে এক দিন করে বছরের ৪৮ দিনে মোট ১০৯৩ কেজি ছেঁড়া জালের বর্জ্য অপসারণ করেছেন। যেখানে প্রতিদিন ২৩ কেজি করে ছেঁড়া জাল অপসারণ করা হয়। এছাড়া প্লাস্টিকের বোতল, পলিথিনের ব্যাগ, চিপস-চানাচুর-বিস্কুটের মোড়ক, ডাবের খোসাও অপসারণ করা হয়েছে।
ব্লু-গার্ড মোঃ মানিক মিয়া জানান, জীবিকার প্রয়োজনে তারা নদী ও সাগরের ওপর নির্ভরশীল কিন্তু বিপজ্জনক ছেঁড়াজাল, প্লাস্টিকসহ বিভিন্ন ধরনের ময়লা-আবর্জনার কারণে সামুদ্রিক জীব-বৈচিত্র ধংশ হয়ে যাচ্ছে। এসব আবর্জনা অপসারণ করে সৈকতসহ সাগর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে তাঁরা ইকোফিশের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন।