ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

জোরেশোরে চলছে পায়রা সমুদ্রবন্দরের উন্নয়নকাজ, মার্চেই খুলছে টার্মিনাল

  • সূর্যোদয় ডেস্ক:
  • আপডেট সময় ০৪:০৪:১৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৩
  • ১৩৫৮ বার পড়া হয়েছে

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্বোধনের পর থেকে দ্রুত এগোচ্ছে পায়রা সমুদ্রবন্দরের প্রায় ১২ হাজার কোটি টাকার উন্নয়নকাজ। সেখানে চলছে ক্যাপিটাল ড্রেজিং, প্রথম জেটি, ৬ লেনের সংযোগ সড়ক ও ব্রিজ নির্মাণের কর্মযজ্ঞ। বন্দর চেয়ারম্যান জানান, আগামী মার্চ-এপ্রিলের মধ্যে টার্মিনাল খুলে দেয়া হবে।

জোরেশোরে পটুয়াখালীর পায়রা সমুদ্রবন্দরের উন্নয়নকাজ চলছে। গত ২৭ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্মাণকাজের উদ্বোধনের পর থেকে শুরু হয় এ কর্মযজ্ঞ।

লালুয়া ইউনিয়নে ৪ হাজার ৫ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হচ্ছে বন্দরের প্রথম জেটি। ৬৫০ মিটার মূল জেটি এবং ৩২৫ বর্গমিটার ব্যাকআপ ইয়ার্ডের কাজ শেষ হলে ২০০ মিটার দীর্ঘ তিনটি মাদারভ্যাসেল জাহাজ নিয়মিত কনটেইনার খালাস করতে পারবে।

এদিকে সাড়ে পাাঁচ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে বঙ্গোপসাগর হতে জেটি পর্যন্ত রামনাবাদ চ্যানেলে ৭৫ কিলোমিটার দীর্ঘ ও ১০০ মিটার প্রস্থ ক্যাপিটাল ড্রেজিংয়ের কাজ চলছে। এর ফলে ১০ মিটার গভীরতার একটি চ্যানেল সৃষ্টি হবে।

এ ছাড়া টার্মিনালের সঙ্গে নিরবচ্ছিন্ন যোগাযোগ করতে ৬ দশমিক ৩৫ কিলোমিটার দীর্ঘ ৬ লেনের সড়কের নির্মাণকাজ চলমান রয়েছে। এটি নির্মাণে ব্যয় হবে ৬৫৫ কোটি টাকা। সেই সঙ্গে আন্ধারমানিক নদীর ওপর ৭৪০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হচ্ছে ১ দশমিক ১২ কিলোমিটার দীর্ঘ একটি আধুনিক সেতু।

পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল মোহাম্মাদ সোহায়েল বলেন, টার্মিনাল, জেটি, সড়ক ও অন্যান্য অফিসের ভবনগুলো দ্রুতগতিতে নির্মিত হচ্ছে। এসবের নির্মাণকাজ বেগবান করা হয়েছে। আমরা আশা করছি, এ বছরের ডিসেম্বরে সব কাজ শেষ হয়ে যাবে। তবে আগামী মার্চ-এপ্রিলের মধ্যে আমাদের টার্মিনাল খুলে দেয়া হবে। সেখানে আমরা জাহাজে মালামাল ওঠানামা শুরু করে দেব।

তিনি বলেন, একই সঙ্গে ক্যাপিটাল ও মেইনটেন্যান্স ড্রেজিং কাজ চলমান রয়েছে। আমরা আশা করছি, চলতি বছরের মে মাসে ক্যাপিটাল ড্রেজিংয়ের কাজ শেষ করতে পারব। তখন এটি বাংলাদেশের সবচেয়ে গভীরতম বন্দর হিসেবে আত্মপ্রকাশ করবে। সেই সঙ্গে ২০২৪ সালের এপ্রিল পর্যন্ত আমরা এর মেইনটেন্যান্স ড্রেজিং চালিয়ে যাব। মেইনটেন্যান্স ড্রেজিং হচ্ছে একটি চলমান প্রক্রিয়া; এটি প্রতিবছরই লাগে। এখানে মূল বিষয় হচ্ছে, ক্যাপিটাল ড্রেজিং এবং এটি অনেক চ্যালেঞ্জিং। এটি করতে যেয়ে আমাদের কয়েক বছর দেশি-বিদেশি বিষেশজ্ঞ নিয়ে স্ট্যাডি করতে হয়েছে। ফলে এটি বাংলাদেশের একক সর্ববৃহৎ ড্রেজিং প্রকল্প।

এ বিষয়ে পটুয়াখালী-৪ সংসদ সদস্য মহিবুর রহমান বলেন, বন্দর ঘিরে শিল্পকারখানা গড়ে ওঠায় এ অঞ্চলের মানুষের আর্থসামাজিক অবস্থার আমূল পরিবর্তন হবে।

উল্লেখ্য, গভীরতা বাড়ানোর কারণে জেটিতে সরাসরি মাদার ভ্যাসেল ভিড়তে পারবে। ফলে লাগবে না লাইটার জাহাজের সাহায্য। এতে দেশের অন্য সব বন্দরের তুলনায় এখানে পণ্যপরিবহনে খরচ কমে আসবে।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

আজকের সূর্যোদয়

আজকের সূর্যোদয় প্রত্রিকায় আপনাদের স্বাগতম। ‍আমাদের নিউজ পড়ুন এবং বিজ্ঞাপন দিয়ে আমাদের পাশে থাকুন।

বরিশালে মুজিবিয়ানের ৮৭ নেতাকে খুঁজছে গোয়েন্দা সংস্থা

জোরেশোরে চলছে পায়রা সমুদ্রবন্দরের উন্নয়নকাজ, মার্চেই খুলছে টার্মিনাল

আপডেট সময় ০৪:০৪:১৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৩

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্বোধনের পর থেকে দ্রুত এগোচ্ছে পায়রা সমুদ্রবন্দরের প্রায় ১২ হাজার কোটি টাকার উন্নয়নকাজ। সেখানে চলছে ক্যাপিটাল ড্রেজিং, প্রথম জেটি, ৬ লেনের সংযোগ সড়ক ও ব্রিজ নির্মাণের কর্মযজ্ঞ। বন্দর চেয়ারম্যান জানান, আগামী মার্চ-এপ্রিলের মধ্যে টার্মিনাল খুলে দেয়া হবে।

জোরেশোরে পটুয়াখালীর পায়রা সমুদ্রবন্দরের উন্নয়নকাজ চলছে। গত ২৭ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্মাণকাজের উদ্বোধনের পর থেকে শুরু হয় এ কর্মযজ্ঞ।

লালুয়া ইউনিয়নে ৪ হাজার ৫ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হচ্ছে বন্দরের প্রথম জেটি। ৬৫০ মিটার মূল জেটি এবং ৩২৫ বর্গমিটার ব্যাকআপ ইয়ার্ডের কাজ শেষ হলে ২০০ মিটার দীর্ঘ তিনটি মাদারভ্যাসেল জাহাজ নিয়মিত কনটেইনার খালাস করতে পারবে।

এদিকে সাড়ে পাাঁচ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে বঙ্গোপসাগর হতে জেটি পর্যন্ত রামনাবাদ চ্যানেলে ৭৫ কিলোমিটার দীর্ঘ ও ১০০ মিটার প্রস্থ ক্যাপিটাল ড্রেজিংয়ের কাজ চলছে। এর ফলে ১০ মিটার গভীরতার একটি চ্যানেল সৃষ্টি হবে।

এ ছাড়া টার্মিনালের সঙ্গে নিরবচ্ছিন্ন যোগাযোগ করতে ৬ দশমিক ৩৫ কিলোমিটার দীর্ঘ ৬ লেনের সড়কের নির্মাণকাজ চলমান রয়েছে। এটি নির্মাণে ব্যয় হবে ৬৫৫ কোটি টাকা। সেই সঙ্গে আন্ধারমানিক নদীর ওপর ৭৪০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হচ্ছে ১ দশমিক ১২ কিলোমিটার দীর্ঘ একটি আধুনিক সেতু।

পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল মোহাম্মাদ সোহায়েল বলেন, টার্মিনাল, জেটি, সড়ক ও অন্যান্য অফিসের ভবনগুলো দ্রুতগতিতে নির্মিত হচ্ছে। এসবের নির্মাণকাজ বেগবান করা হয়েছে। আমরা আশা করছি, এ বছরের ডিসেম্বরে সব কাজ শেষ হয়ে যাবে। তবে আগামী মার্চ-এপ্রিলের মধ্যে আমাদের টার্মিনাল খুলে দেয়া হবে। সেখানে আমরা জাহাজে মালামাল ওঠানামা শুরু করে দেব।

তিনি বলেন, একই সঙ্গে ক্যাপিটাল ও মেইনটেন্যান্স ড্রেজিং কাজ চলমান রয়েছে। আমরা আশা করছি, চলতি বছরের মে মাসে ক্যাপিটাল ড্রেজিংয়ের কাজ শেষ করতে পারব। তখন এটি বাংলাদেশের সবচেয়ে গভীরতম বন্দর হিসেবে আত্মপ্রকাশ করবে। সেই সঙ্গে ২০২৪ সালের এপ্রিল পর্যন্ত আমরা এর মেইনটেন্যান্স ড্রেজিং চালিয়ে যাব। মেইনটেন্যান্স ড্রেজিং হচ্ছে একটি চলমান প্রক্রিয়া; এটি প্রতিবছরই লাগে। এখানে মূল বিষয় হচ্ছে, ক্যাপিটাল ড্রেজিং এবং এটি অনেক চ্যালেঞ্জিং। এটি করতে যেয়ে আমাদের কয়েক বছর দেশি-বিদেশি বিষেশজ্ঞ নিয়ে স্ট্যাডি করতে হয়েছে। ফলে এটি বাংলাদেশের একক সর্ববৃহৎ ড্রেজিং প্রকল্প।

এ বিষয়ে পটুয়াখালী-৪ সংসদ সদস্য মহিবুর রহমান বলেন, বন্দর ঘিরে শিল্পকারখানা গড়ে ওঠায় এ অঞ্চলের মানুষের আর্থসামাজিক অবস্থার আমূল পরিবর্তন হবে।

উল্লেখ্য, গভীরতা বাড়ানোর কারণে জেটিতে সরাসরি মাদার ভ্যাসেল ভিড়তে পারবে। ফলে লাগবে না লাইটার জাহাজের সাহায্য। এতে দেশের অন্য সব বন্দরের তুলনায় এখানে পণ্যপরিবহনে খরচ কমে আসবে।