ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) ভর্তিতে পোষ্য কোটায় নির্ধারিত নম্বর নির্ধারণ, বিভিন্ন দপ্তরে কর্মকর্তা কর্তৃক শিক্ষার্থী হেনস্তা বন্ধ ও ই-ব্যাংকিং সেবা চালু করাসহ ছয় দফা দাবিতে আন্দোলন করেছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
আজ শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবনের সামনে প্রায় অর্ধশত শিক্ষার্থী নিয়ে আন্দোলন করা হয়। আন্দোলন শেষে উপাচার্য কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে প্রশাসনের কাছে শিক্ষার্থীরা তাদের দাবি তুলে ধরেন। দাবিগুলো যৌক্তিক ও ইতোমধ্যেই সমস্যাগুলোর সমাধানের চেষ্টা চলমান, যা প্রায় শেষের দিকে বলে জানিয়েছেন উপাচার্য।
শিক্ষার্থীদের ছয় দফা দাবিগুলো হলো- ১. পোষ্য কোটায় নির্ধারিত নম্বর নির্ধারণ করা, ২. বিভিন্ন দপ্তরে কর্মকর্তা কর্তৃক শিক্ষার্থীদের হেনস্তা বন্ধ, ৩. প্রশাসন ভবনে সার্টিফিকেট উত্তোলনের সময় ভোগান্তি নিরসন, ৪. দ্রুত ই-ব্যাংকিং চালু ৫. পরিবহনে ভোগান্তি ৬. নিরবিচ্ছিন্ন ইন্টারনেট সেবা প্রদান।
আইন বিভাগের শিক্ষার্থী কামাল হোসেন শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো তুলে ধরে বলেন, ‘পোষ্যকোটায় ভর্তিতে নম্বর নির্ধারণ করতে হবে। প্রশাসন ভবনে আমরা যে পরিমাণ হেনস্তা ও ভোগান্তির শিকার হই তা বন্ধ করতে হবে। ব্যাংকিং খাতে যে ভোগান্তি সেটি কমাতে দ্রুত ব্যাংক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে তা সমাধান করতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা আসলে বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলন করতে এসেছি, না পড়াশোনা করতে এসেছি। আমাদের প্রতিটি সমস্যা সমাধান করতে হলে আন্দোলন ছাড়া সমাধান হয় না কেনো?’
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আব্দুস সালাম বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের আজকের এই দাবিগুলো আমার মনে দোলা দিয়েছে। আমি আশ্বাস দিচ্ছিনা, তবে এতটুকু বলছি ই-ব্যাংকিং সেবার কাজ প্রায় শেষের দিকে। কর্মকর্তাদের দ্বারা ভোগান্তির শিকার বিষয়টা শুনলাম। সবার সঙ্গে কথা বলে দেখি। ইতোমধ্যেই সমস্যাগুলোর সমাধানের চেষ্টা চলমান, যা প্রায় শেষের দিকে।’