ঢাকা , মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

ঢাবি উপাচার্যের বাসভবনের সামনে ছাত্রীদের অবস্থান

  • সূর্যোদয় ডেস্ক:
  • আপডেট সময় ১০:৩৮:৪৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ অগাস্ট ২০২৩
  • ১১২৪ বার পড়া হয়েছে

তিন দফা দাবি আদায়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের বাসভবনের সামনে অবস্থান নিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রী হলের একদল ছাত্রী। আজ সোমবার দুপুর ১টার দিকে ছাত্রীরা অবস্থান নেন।

অবস্থান নেওয়া ছাত্রীরা জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্য ছাত্রী হলে ছয় মাস অতিথিকক্ষে থাকার পর বৈধ আসন পাওয়া গেলেও বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রী হলের চতুর্থ বর্ষের ছাত্রীরা এখনো অতিথিকক্ষে অবস্থান করছেন। এই হলের মূল ভবনের কক্ষগুলোতে প্রতিটিতে সাতজনকে আসন বরাদ্দ দেওয়া হয়। অতিরিক্ত বরাদ্দ দেওয়ার কারণে ছাত্রীদের বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়েছে হলটি।

কুয়েত মৈত্রী হলের আবাসিক ছাত্রী রাফিয়া রেহনুমা হৃদি বলেন, ‘মৈত্রী হল সবচেয়ে ছোট কিন্তু এলটমেন্ট সব হলেই একই রকম দেওয়া হচ্ছে। যে কারণে আমাদের হলে এতো আবাসন সংকট হচ্ছে। আমরা প্রত্যেকটা রুমে রুমে গিয়ে ছাত্রীদের মতামত নিয়েছি। ভিসি স্যার বলেছেন পরবর্তী বছর এলটমেন্ট কমিয়ে দেবে। কিন্তু আমরা এই বছরই সেটা কম চাচ্ছি। ৩০০ ছাত্রীকে এখনই অন্য হলে স্থানান্তর করা হোক যেখানে সক্ষমতা আছে।’

মৈত্রী হলের আবাসিক ছাত্রী মেহেরুন্নেসা মিম বলেন, ‘আমাদের গোসলের জন্যও রাত ১২টায় সিরিয়াল দিতে হয়। আমাকে যদি কেউ বলে যে তোমার কোন হল তাহলে দুঃখজনকভাবে তাদের বলতে হয় আমাদের কপাল খারাপ। আমাদের বই রাখার জায়গা নাই, কাপড় রোদে দেওয়ার জায়গা নাই, পড়াশোনার জায়গা হয় না।’

তাদের দাবিগুলো হলো- বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রী হল থেকে অন্তত ৩০০ জন ছাত্রকে অন্য হলে এক মাসের মধ্যে স্থানান্তরের মাধ্যমে বৈধ আসন নিশ্চিত করা, পরবর্তীকালে হলের আসন সংখ্যার সঙ্গে সমন্বয় রেখে নতুন ছাত্রীদের অ্যালটমেন্ট দেওয়া এবং হলের সার্বিক সংকট বিবেচনায় মূল ভবনের প্রতি কক্ষে ৬ জনের বেশি শিক্ষার্থী বরাদ্দ দিয়ে শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট না করা।

এর আগে, গতকাল রোববার বিকেলে একই দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন ছাত্রীরা। এর আগে, একই দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মো. আখতারুজ্জামানকে শতাধিক ছাত্রীর স্বাক্ষর-সংবলিত স্মারকলিপিও দেওয়া হয়।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

আজকের সূর্যোদয়

আজকের সূর্যোদয় প্রত্রিকায় আপনাদের স্বাগতম। ‍আমাদের নিউজ পড়ুন এবং বিজ্ঞাপন দিয়ে আমাদের পাশে থাকুন।

বরিশালে মুজিবিয়ানের ৮৭ নেতাকে খুঁজছে গোয়েন্দা সংস্থা

ঢাবি উপাচার্যের বাসভবনের সামনে ছাত্রীদের অবস্থান

আপডেট সময় ১০:৩৮:৪৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ অগাস্ট ২০২৩

তিন দফা দাবি আদায়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের বাসভবনের সামনে অবস্থান নিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রী হলের একদল ছাত্রী। আজ সোমবার দুপুর ১টার দিকে ছাত্রীরা অবস্থান নেন।

অবস্থান নেওয়া ছাত্রীরা জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্য ছাত্রী হলে ছয় মাস অতিথিকক্ষে থাকার পর বৈধ আসন পাওয়া গেলেও বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রী হলের চতুর্থ বর্ষের ছাত্রীরা এখনো অতিথিকক্ষে অবস্থান করছেন। এই হলের মূল ভবনের কক্ষগুলোতে প্রতিটিতে সাতজনকে আসন বরাদ্দ দেওয়া হয়। অতিরিক্ত বরাদ্দ দেওয়ার কারণে ছাত্রীদের বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়েছে হলটি।

কুয়েত মৈত্রী হলের আবাসিক ছাত্রী রাফিয়া রেহনুমা হৃদি বলেন, ‘মৈত্রী হল সবচেয়ে ছোট কিন্তু এলটমেন্ট সব হলেই একই রকম দেওয়া হচ্ছে। যে কারণে আমাদের হলে এতো আবাসন সংকট হচ্ছে। আমরা প্রত্যেকটা রুমে রুমে গিয়ে ছাত্রীদের মতামত নিয়েছি। ভিসি স্যার বলেছেন পরবর্তী বছর এলটমেন্ট কমিয়ে দেবে। কিন্তু আমরা এই বছরই সেটা কম চাচ্ছি। ৩০০ ছাত্রীকে এখনই অন্য হলে স্থানান্তর করা হোক যেখানে সক্ষমতা আছে।’

মৈত্রী হলের আবাসিক ছাত্রী মেহেরুন্নেসা মিম বলেন, ‘আমাদের গোসলের জন্যও রাত ১২টায় সিরিয়াল দিতে হয়। আমাকে যদি কেউ বলে যে তোমার কোন হল তাহলে দুঃখজনকভাবে তাদের বলতে হয় আমাদের কপাল খারাপ। আমাদের বই রাখার জায়গা নাই, কাপড় রোদে দেওয়ার জায়গা নাই, পড়াশোনার জায়গা হয় না।’

তাদের দাবিগুলো হলো- বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রী হল থেকে অন্তত ৩০০ জন ছাত্রকে অন্য হলে এক মাসের মধ্যে স্থানান্তরের মাধ্যমে বৈধ আসন নিশ্চিত করা, পরবর্তীকালে হলের আসন সংখ্যার সঙ্গে সমন্বয় রেখে নতুন ছাত্রীদের অ্যালটমেন্ট দেওয়া এবং হলের সার্বিক সংকট বিবেচনায় মূল ভবনের প্রতি কক্ষে ৬ জনের বেশি শিক্ষার্থী বরাদ্দ দিয়ে শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট না করা।

এর আগে, গতকাল রোববার বিকেলে একই দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন ছাত্রীরা। এর আগে, একই দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মো. আখতারুজ্জামানকে শতাধিক ছাত্রীর স্বাক্ষর-সংবলিত স্মারকলিপিও দেওয়া হয়।