কুয়াকাটায় যাতায়াতের বিকল্প সড়কটি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। সংস্কার না হওয়ায় এই সড়কে সৃষ্টি হয়েছে বড় বড় গর্তের। এছাড়াও প্রায়ই সময় বিকল হচ্ছে যানবাহন। ঘটেছে দুর্ঘটনা। যাতে প্রাণ হারিয়েছেন অনেকেই। সড়কের এমন বেহাল দশায় প্রতিনিয়ত দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে পর্যটকসহ জেলার কলাপাড়া উপজেলার ৬ ইউনিয়নের প্রায় ২ লাখ মানুষকে।
পটুয়াখালীর কলাপাড়া থেকে বালিয়াতলী হয়ে পর্যটন কেন্দ্র কুয়াকাটায় যাতায়াতের বিকল্প সড়কের দৈর্ঘ্য ৩৩ কিলোমিটার। এই সড়ক দিয়ে প্রতিনিয়ত যাতায়াত করে হাজারো পর্যটক। এছাড়া এই সড়ক দিয়ে চলাচল করে লালুয়া, বালিয়াতলী, ডালবুগঞ্জ, মিঠাগঞ্জ, ধুলাসার ও লতাচাপলী ইউনিয়নের প্রায় ২ লাখ মানুষ। দীর্ঘ দিন মেরামত না হওয়ায় বড় বালিয়াতলী থেকে আলীপুর বাজার পর্যন্ত এই সড়কের ২৫ কিলোমিটার সৃষ্টি হয়েছে বড় বড় গর্তের। সড়কের অনেক স্থান দেবে গেছে। অনেক স্থানের আবার কার্পেটিং উঠে গেছে। তারপরও কোনো উপায় না পেয়ে এই সড়ক দিয়ে চলাচল করতে বাধ্য হচ্ছে যানবাহন। ফলে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন সাধারন মানুষজন।
গত বছরের ২৪ সেপ্টেম্বর এই সড়কে ট্রলি ও অটোরিক্সার মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত হয়েছে একই পরিবারের ৩ জন। বর্তমানে বেশি ভোগান্তি পোহাচ্ছে যানবাহন চালক ও কৃষকরা।
বালিয়াতলী গ্রামের কৃষক ফরিদ শিকদার বলেন, ‘আমাদের জমি কোনো সময় অনাবাদি থাকে না। বছরের ১২ মাসই ধান থেকে শুরু করে কোনো না কোনো সবজি ফলাই আমরা। বর্তমানে আমরা তরমুজের চারা রোপণ করেছি। কিন্তু আমাদের প্রধান সমস্যা সড়ক। এই সড়কে মালামাল পরিবহন করতে আমাদের দ্বিগুণ ভাড়া গুনতে হয়। অনেক সময় অনেক যানবাহন আসতেই চায় না।’
ধুলাস্বার বাজারের অটোচালক রহিম গাজী বলেন, ‘জীবিকার তাদিগে চলাচল করলেও এই সড়ক এখন মরন ফাঁদে পরিণত হয়েছে। ওই সড়কে যাতায়াত করায় প্রতিমাসে আমাদের গাড়ির কোনো না কোনো সমস্যা হয়। সড়কের বেশির ভাগ স্থানে বড় বড় গর্ত হয়েছে। ইতোমধ্যে অনেকে এই সড়ক দিয়ে যাতায়াত করতে গিয়ে প্রাণ হারিয়েছেন। আমরা সড়কটি মেরামতের দাবি জানাচ্ছি।’
কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শংকর চন্দ্র বৈদ্য বলেন, ‘কুয়াকাটার বিকল্প এই সড়কের ১১ কিলোমিটারের সংস্কারের কাজ শুরু হয়েছে। আশা করছি যাচাই বাছাই শেষে বাকি সড়কের সংস্কার কাজও খুব তাড়াতাড়ি শুরু হবে।’