ঢাকায় অভিযান চালিয়ে অবৈধ ও মাত্রাতিরিক্ত লেনদেনের সাথে জড়িত ১৪ হুন্ডি ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে বাংলাদেশ পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। এছাড়া সারাদেশে এক হাজারের বেশি অবৈধ মানি এক্সচেঞ্জার সক্রিয় রয়েছে বলেও জানা যায়।
বুধবার রাজধানীর মালিবাগে সিআইডি সদর দফতরে সিআইডির অতিরিক্ত আইজিপি মোহাম্মদ আলী মিয়া গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, গুলশানের জেএমসিএইচ প্রাইভেট লিমিটেড, মোহাম্মদপুরের আলম অ্যান্ড ব্রাদার্স এবং আশকোনার তৈমুর মানি এক্সচেঞ্জের তিন মানি এক্সচেঞ্জারের বিরুদ্ধেও আইনি ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
বর্তমানে বাংলাদেশে ২৩৫টি লাইসেন্সপ্রাপ্ত বৈধ মানি এক্সচেঞ্জার রয়েছে। সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে এক হাজারের বেশি অবৈধ মানি এক্সচেঞ্জার সক্রিয় রয়েছে।
এছাড়া রাজধানীর মতিঝিল, গুলশান, উত্তরা এবং ঢাকা বিমানবন্দরের আশপাশসহ বিভিন্ন এলাকায় অনেক ভাসমান, অবৈধ ব্যবসা রয়েছে বলে জানান সিআইডি কর্মকর্তা।
সিআইডির একটি বিশেষ দল মঙ্গলবার ঢাকা মহানগরীর গুলশান-১, রিং রোড, মোহাম্মদপুর, আশকোনা, এবি মার্কেট ও উত্তরার চায়না মার্কেটে পাঁচটি স্থানে একযোগে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ দেশীয় মাদক ও বৈদেশিক মুদ্রাসহ ১৪ জনকে আটক করে।
অভিযানে তাদের কাছ থেকে এক কোটি ১১ লাক ১৯ হাজার ৮২৬ টাকা মূল্যের ১৯টি দেশের বৈদেশিক মুদ্রাসহ মোট এক কোটি ৯৯ লাখ ৬১ হাজার ৩৭৬ টাকা জব্দ করা হয়।
গ্রেফতাররা বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমতি ছাড়াই নিজস্ব কার্যালয় এবং রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ভাসমান কার্যক্রমের মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেন করে আসছেন।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতাররা স্বীকার করেছেন যে, উল্লিখিত প্রতিটি ব্যবসায় অবৈধভাবে প্রতিদিন প্রায় ৭০ থেকে ৭৫ লাখ টাকার বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেন হয়।
গ্রেফতারদের বিরুদ্ধে ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা দায়ের করা হবে বলে জানান ওই কর্মকর্তা।
সূত্র : ইউএনবি