বঙ্গবন্ধু হত্যার সঙ্গে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য তোফায়েল আহমেদ ও সাবেক চিফ হুইপ আ স ম ফিরোজকে অভিযুক্ত করেছেন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) পরিচালক হুমায়ুন কবির। জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে সোমবার আলোচনা সভার বক্তৃতায় তিনি এ অভিযোগ তোলেন। এ সময় সভায় উপস্থিত অতিথি ও শ্রোতারা বিব্রতকর অবস্থায় পড়েন।
পরিস্থিতি সামাল দিতে হুমায়ুনকে বারবার থামানোর চেষ্টা করেন উপাচার্য অধ্যাপক ছাদেকুল আরেফিন। আলোচনা সভা শেষে ওই বক্তব্য নিয়ে কর্মকর্তাদের মধ্যে ধাক্কাধাক্কি হয়। প্রত্যক্ষদর্শী একাধিক সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের জীবনানন্দ দাশ হলরুমে এ সভার আয়োজন করে কর্মকর্তা পরিষদ। এতে পরিকল্পনা ও উন্নয়ন দপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত পরিচালক হুমায়ুন কবির বক্তব্যে বলেন, ‘আমাদের ভেতরে মোশতাকরা আছে।
এই মোশতাকদের চিহ্নিত করুন। ১৫ আগস্ট আমাদের রক্ষীবাহিনীর প্রধান কে ছিল আপনারা কি জানেন? তোফায়েল আহমেদ। এখন তিনি বলেন, আমি ছিলাম না। হত্যার পর বরিশালে উৎসব করেছিল আ স ম ফিরোজ।’
সভায় উপস্থিত একাধিক কর্মকর্তা জানান, মঞ্চে বসা উপাচার্য কয়েকবার এ ধরনের বক্তব্য দিতে নিষেধ করেন। সভার শেষ পর্যায়ে ওই বক্তব্যে ক্ষুব্ধ শাখা কর্মকর্তা মনিরুজ্জামানের সঙ্গে পরিচালক হুমায়ুনের ধাক্কাধাক্কি হয়।
পটুয়াখালী-২ (বাউফল) আসনে সাতবার নির্বাচিত এমপি আ স ম ফিরোজ। হুমায়ুনের বাড়িও বাউফলে। সংগঠনের সভাপতি বাহাউদ্দিন গোলাপের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় উপাচার্য ছাড়াও আ স ম ফিরোজের জামাতা উপাচার্যের প্রটোকল কর্মকর্তা দিদার হোসেনও উপস্থিত ছিলেন। পরিচালকের বক্তব্যে তিনি বিব্রতকর অবস্থায় পড়েন। শিক্ষক সমিতির সভাপতি আরিফ হোসেন বলেন, হুমায়ুন কবিরের বক্তব্য স্পর্শকাতর।
এ নিয়ে তিনি কোনো মন্তব্য করব না। হুমায়ুন কবির সম্প্রতি ইউজিসির অনুমোদন ছাড়াই পরিচালক পদে দায়িত্ব পান। এ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে। সমকাল