ঢাকা , সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

প্রতারণার ফাঁদে সর্বস্বান্ত বিভিন্ন পেশার মানুষ

  • সূর্যোদয় ডেস্ক:
  • আপডেট সময় ১০:৫৩:১৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ অগাস্ট ২০২৩
  • ১১২৬ বার পড়া হয়েছে

অনলাইনে নানা প্রতারণার ফাঁদে পড়ছে বিভিন্ন পেশার মানুষ। রাতারাতি অতি মুনাফার প্রলোভনে পড়ে এসব মানুষ সর্বস্বান্ত হয়ে যাচ্ছে। যখনই শত শত কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে গা ঢাকা দিচ্ছে প্রতারক চক্র তখনই নড়েচড়ে বসছে নীতিনির্ধারকরা। এর সর্বশেষ শিকার অ্যাপভিত্তিক অনলাইন ট্রেডিং গ্রুপ ‘মেটাভার্স ফরেন এক্সচেঞ্জ (এমটিএফই)। এ অ্যাপভিত্তিক অনলাইনের প্রতারণার শিকার হয়েছে লাখ লাখ মানুষ। কি শিক্ষিত বা অশিক্ষিত, সব শ্রেণীর অতিমুনাফালোভী প্রায় সবশ্রেণীর মানুষ যেমন, ডাক্তার, আইনজীবী এবং সাংবাদিকসহ অন্যান্য পেশার মানুষও এ অনলাইন প্রতারণার শিকার হয়ে নিঃস্ব হয়েছেন। প্রাথমিক তথ্য মতে, ইতোমধ্যে এ চক্রটি বাংলাদেশ থেকে হাতিয়ে নিয়েছে প্রায় ১২ হাজার কোটি টাকার বৈদেশিক মুদ্রা। প্রতারক চক্রটিকে শনাক্ত করতে সমন্বিত উদ্যোগ নিয়েছে নীতিনির্ধারকরা। ইতোমধ্যে বাংলাদেশের আর্থিক গোয়েন্দা ইউনিট ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একাধিক টিম তদন্তে নেমে পড়েছে। তারা এ চক্রের সাথে কারা জড়িতছিল, কারা এর সুবিধাভোগী, প্রকৃত কত টাকা চক্রটি হাতিয়ে নিয়েছে তা শনাক্ত করতে মাঠে কাজ শুরু করেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের এক দায়িত্বশীল সূত্র গতকাল নয়া দিগন্তকে এ তথ্য জানিয়েছে।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মেজবাউল হক গতকাল নয়া দিগন্তকে জানিয়েছেন, অনলাইনের মাধ্যমে প্রতারণার ফাঁদে যাতে কেউ না পড়েন সেজন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে সচেতনার জন্য গত ২০১৫ সাল থেকে প্রচারণা চালিয়ে আসছে। বিভিন্ন সময় নানা বিজ্ঞাপন দেয়া হয়েছে। কিন্তু এর পরেও মানুষ অতি মুনাফার লোভে পড়ে এসব প্রতারকের শিকার হচ্ছেন। কেউ কেউ এ ধরনের ডিজিটাল প্ল্যাটফরমে বিনিয়োগ করছেন। একটিপর্যায়ে তারা প্রতারিত হচ্ছেন। তিনি বলেন, সর্বশেষ এমটিএফের মাধ্যমে যে প্রতারণার কথা শোনা যাচ্ছে, সে বিষয়ে মাঠে তদন্তে নেমেছে বাংলাদেশ আর্থিক গোয়েন্দা ইউনিট, সিআইডিসহ একাধিক টিম। তারাই সমন্বিত উদ্যোগ নিয়ে কাজ শুরু করেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, সর্বশেষ কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে গত ১০ আগস্ট এ ধরনের সমন্বিত পদক্ষেপ নিয়েছিল। বলা হয়েছিল, অনলাইনে জুয়া, গেমিং, বেটিং ও ক্রিপ্টো ট্রেডিং। এর মাধ্যমে এক দিকে যেমন কষ্টার্জিত বৈদেশিক মুদ্রা পাচার হচ্ছে, অপর দিকে সামাজিক অবক্ষয় ও যুবসমাজ ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। এমনি পরিস্থিতিতে অনলাইনের মাধ্যমে মুদ্রাপাচার প্রতিরোধে সমন্বিত উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। এ বিষয়ে ওই দিন বিএফআইইউ প্রধান মো: মাসুম বিশ্বাস নয়া দিগন্তকে বলেন, অনলাইনের মাধ্যমে মুদ্রাপাচার প্রতিরোধে বিএফআইইউ বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে। এরই অংশ হিসেবে অনলাইন গ্যাম্বলিং, গেমিং, বেটিং, ফরেক্স এবং ক্রিপ্টো ট্রেডিংয়ের মাধ্যমে অর্থ পাচার প্রতিরোধে সমন্বিত উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। অপরাধী যেই হোক না কেন তাদেরকে শনাক্ত করে কঠোর শাস্তি দিতে কোনো প্রকার কারপণ্য করা হবে না। তিনি বলেন, অপরাধীদের শনাক্ত করতে বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা মাঠে কাজ করবে। তাদের সহযোগিতা করবে বিটিআরসিসহ বিভিন্ন মোবাইল সংস্থা, এনএফআই সংস্থা।

এমটিএফে যেভাবে সর্বস্বান্ত মানুষ : জানা গেছে, অনলাইন ট্রেডিং গ্রুপ এমটিএফই। গুগল প্লে স্টোর থেকে এমটিএফই অ্যাপ নামিয়ে ব্যবহার করতে হয়। যেখানে অ্যাকাউন্ট চালু করার জন্য সর্বনিম্ন ২৬ ডলারের সমপরিমাণ টাকা বিনিয়োগ করতে হয়। অ্যাকাউন্ট খুলতে এখানে যাদের অ্যাকাউন্ট রয়েছে- এ রকম কারও একজনের রেফারেন্স লাগে। এখানে বিনিয়োগ করলে প্রতিদিন বিনিয়োগকৃত অর্থের বিপরীতে নির্দিষ্ট পরিমাণ ডলার পাওয়া যেত। আর এমন প্রলোভনে পা দিয়ে সর্বস্বান্ত হয়েছেন ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলার মানুষ। এর মধ্যে নওগাঁ, চাঁপাইনবাবগঞ্জসহ উত্তরাঞ্চলের মানুষ বেশি। জেলাগুলোতে এমটিএফই অ্যাপের কয়েকজন করে সিও পদধারীও কাজ করতেন। অন্যকে অ্যাকাউন্ট খুলে দেয়ার মাধ্যমে তারাও পেতেন মোটা অঙ্কের কমিশন। নওগাঁ শহর কিংবা গ্রাম সব জায়গায় ছড়িয়ে পড়েছিল ওই অ্যাপটি। যেখানে শুধু শিক্ষিত কিংবা অশিক্ষিতরাই নন, বিনিয়োগ করেছিলেন ব্যাংকার, শিক্ষক এমনকি গণমাধ্যমকর্মীও। কিন্তু উধাও হয়ে যায় গ্রুপটি।

অ্যাপটির মাধ্যমে যে কেউ বিনিয়োগ করতে পারেন। বিশেষ করে আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্যের বেচাকেনা, পণ্য কিনে মজুদ করা, সেগুলো আবার পরে বিক্রি, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শেয়ারে বিনিয়োগ, বিভিন্ন ধরনের মুদ্রা বা অন্যান্য ডিজিটাল মুদ্রায় বিনিয়োগ করা হয় বলে এটি থেকে প্রচারণা চালানো হয়। এতে বিনিয়োগ করলে ঘরে বসেই আকর্ষণীয় মুনাফা পাওয়ার সুযোগ রয়েছে। এই ধরনের প্রচারণায় বাংলাদেশের শহরের পাশাপাশি গ্রাম-গঞ্জের মানুষ এতে বিনিয়োগে হুমড়ি খেয়ে পড়েন। প্রায় ৭-৮ বছর থেকে এ ধরনের অ্যাপের মাধ্যমে বিনিয়োগের নামে প্রতারণা করা হচ্ছে। এতদিন এখানে বিনিয়োগ করে অনেকে কিছু মুনাফা পেলেও প্রতারণার বিষয়টি ব্যাপকভাবে সামনে আসেনি। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, গত দুই সপ্তাহ আগে এটি ফাঁস হয়েছে। অ্যাপ পরিচালনার প্রযুক্তি হালনাগাদ করার নামে প্রতারণা শুরু হয়। ব্যবহারকারীরা অ্যাপটি থেকে কোনো টাকা তুলতে পারছিলেন না। ফলে ব্যবহাকারীদের হিসাবের স্থিতি নেতিবাচক হয়ে যায়। তখনই এদের প্রতারণার বিষয়টি ফাঁস হয়।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

আজকের সূর্যোদয়

আজকের সূর্যোদয় প্রত্রিকায় আপনাদের স্বাগতম। ‍আমাদের নিউজ পড়ুন এবং বিজ্ঞাপন দিয়ে আমাদের পাশে থাকুন।

বরিশালে মুজিবিয়ানের ৮৭ নেতাকে খুঁজছে গোয়েন্দা সংস্থা

প্রতারণার ফাঁদে সর্বস্বান্ত বিভিন্ন পেশার মানুষ

আপডেট সময় ১০:৫৩:১৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ অগাস্ট ২০২৩

অনলাইনে নানা প্রতারণার ফাঁদে পড়ছে বিভিন্ন পেশার মানুষ। রাতারাতি অতি মুনাফার প্রলোভনে পড়ে এসব মানুষ সর্বস্বান্ত হয়ে যাচ্ছে। যখনই শত শত কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে গা ঢাকা দিচ্ছে প্রতারক চক্র তখনই নড়েচড়ে বসছে নীতিনির্ধারকরা। এর সর্বশেষ শিকার অ্যাপভিত্তিক অনলাইন ট্রেডিং গ্রুপ ‘মেটাভার্স ফরেন এক্সচেঞ্জ (এমটিএফই)। এ অ্যাপভিত্তিক অনলাইনের প্রতারণার শিকার হয়েছে লাখ লাখ মানুষ। কি শিক্ষিত বা অশিক্ষিত, সব শ্রেণীর অতিমুনাফালোভী প্রায় সবশ্রেণীর মানুষ যেমন, ডাক্তার, আইনজীবী এবং সাংবাদিকসহ অন্যান্য পেশার মানুষও এ অনলাইন প্রতারণার শিকার হয়ে নিঃস্ব হয়েছেন। প্রাথমিক তথ্য মতে, ইতোমধ্যে এ চক্রটি বাংলাদেশ থেকে হাতিয়ে নিয়েছে প্রায় ১২ হাজার কোটি টাকার বৈদেশিক মুদ্রা। প্রতারক চক্রটিকে শনাক্ত করতে সমন্বিত উদ্যোগ নিয়েছে নীতিনির্ধারকরা। ইতোমধ্যে বাংলাদেশের আর্থিক গোয়েন্দা ইউনিট ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একাধিক টিম তদন্তে নেমে পড়েছে। তারা এ চক্রের সাথে কারা জড়িতছিল, কারা এর সুবিধাভোগী, প্রকৃত কত টাকা চক্রটি হাতিয়ে নিয়েছে তা শনাক্ত করতে মাঠে কাজ শুরু করেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের এক দায়িত্বশীল সূত্র গতকাল নয়া দিগন্তকে এ তথ্য জানিয়েছে।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মেজবাউল হক গতকাল নয়া দিগন্তকে জানিয়েছেন, অনলাইনের মাধ্যমে প্রতারণার ফাঁদে যাতে কেউ না পড়েন সেজন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে সচেতনার জন্য গত ২০১৫ সাল থেকে প্রচারণা চালিয়ে আসছে। বিভিন্ন সময় নানা বিজ্ঞাপন দেয়া হয়েছে। কিন্তু এর পরেও মানুষ অতি মুনাফার লোভে পড়ে এসব প্রতারকের শিকার হচ্ছেন। কেউ কেউ এ ধরনের ডিজিটাল প্ল্যাটফরমে বিনিয়োগ করছেন। একটিপর্যায়ে তারা প্রতারিত হচ্ছেন। তিনি বলেন, সর্বশেষ এমটিএফের মাধ্যমে যে প্রতারণার কথা শোনা যাচ্ছে, সে বিষয়ে মাঠে তদন্তে নেমেছে বাংলাদেশ আর্থিক গোয়েন্দা ইউনিট, সিআইডিসহ একাধিক টিম। তারাই সমন্বিত উদ্যোগ নিয়ে কাজ শুরু করেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, সর্বশেষ কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে গত ১০ আগস্ট এ ধরনের সমন্বিত পদক্ষেপ নিয়েছিল। বলা হয়েছিল, অনলাইনে জুয়া, গেমিং, বেটিং ও ক্রিপ্টো ট্রেডিং। এর মাধ্যমে এক দিকে যেমন কষ্টার্জিত বৈদেশিক মুদ্রা পাচার হচ্ছে, অপর দিকে সামাজিক অবক্ষয় ও যুবসমাজ ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। এমনি পরিস্থিতিতে অনলাইনের মাধ্যমে মুদ্রাপাচার প্রতিরোধে সমন্বিত উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। এ বিষয়ে ওই দিন বিএফআইইউ প্রধান মো: মাসুম বিশ্বাস নয়া দিগন্তকে বলেন, অনলাইনের মাধ্যমে মুদ্রাপাচার প্রতিরোধে বিএফআইইউ বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে। এরই অংশ হিসেবে অনলাইন গ্যাম্বলিং, গেমিং, বেটিং, ফরেক্স এবং ক্রিপ্টো ট্রেডিংয়ের মাধ্যমে অর্থ পাচার প্রতিরোধে সমন্বিত উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। অপরাধী যেই হোক না কেন তাদেরকে শনাক্ত করে কঠোর শাস্তি দিতে কোনো প্রকার কারপণ্য করা হবে না। তিনি বলেন, অপরাধীদের শনাক্ত করতে বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা মাঠে কাজ করবে। তাদের সহযোগিতা করবে বিটিআরসিসহ বিভিন্ন মোবাইল সংস্থা, এনএফআই সংস্থা।

এমটিএফে যেভাবে সর্বস্বান্ত মানুষ : জানা গেছে, অনলাইন ট্রেডিং গ্রুপ এমটিএফই। গুগল প্লে স্টোর থেকে এমটিএফই অ্যাপ নামিয়ে ব্যবহার করতে হয়। যেখানে অ্যাকাউন্ট চালু করার জন্য সর্বনিম্ন ২৬ ডলারের সমপরিমাণ টাকা বিনিয়োগ করতে হয়। অ্যাকাউন্ট খুলতে এখানে যাদের অ্যাকাউন্ট রয়েছে- এ রকম কারও একজনের রেফারেন্স লাগে। এখানে বিনিয়োগ করলে প্রতিদিন বিনিয়োগকৃত অর্থের বিপরীতে নির্দিষ্ট পরিমাণ ডলার পাওয়া যেত। আর এমন প্রলোভনে পা দিয়ে সর্বস্বান্ত হয়েছেন ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলার মানুষ। এর মধ্যে নওগাঁ, চাঁপাইনবাবগঞ্জসহ উত্তরাঞ্চলের মানুষ বেশি। জেলাগুলোতে এমটিএফই অ্যাপের কয়েকজন করে সিও পদধারীও কাজ করতেন। অন্যকে অ্যাকাউন্ট খুলে দেয়ার মাধ্যমে তারাও পেতেন মোটা অঙ্কের কমিশন। নওগাঁ শহর কিংবা গ্রাম সব জায়গায় ছড়িয়ে পড়েছিল ওই অ্যাপটি। যেখানে শুধু শিক্ষিত কিংবা অশিক্ষিতরাই নন, বিনিয়োগ করেছিলেন ব্যাংকার, শিক্ষক এমনকি গণমাধ্যমকর্মীও। কিন্তু উধাও হয়ে যায় গ্রুপটি।

অ্যাপটির মাধ্যমে যে কেউ বিনিয়োগ করতে পারেন। বিশেষ করে আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্যের বেচাকেনা, পণ্য কিনে মজুদ করা, সেগুলো আবার পরে বিক্রি, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শেয়ারে বিনিয়োগ, বিভিন্ন ধরনের মুদ্রা বা অন্যান্য ডিজিটাল মুদ্রায় বিনিয়োগ করা হয় বলে এটি থেকে প্রচারণা চালানো হয়। এতে বিনিয়োগ করলে ঘরে বসেই আকর্ষণীয় মুনাফা পাওয়ার সুযোগ রয়েছে। এই ধরনের প্রচারণায় বাংলাদেশের শহরের পাশাপাশি গ্রাম-গঞ্জের মানুষ এতে বিনিয়োগে হুমড়ি খেয়ে পড়েন। প্রায় ৭-৮ বছর থেকে এ ধরনের অ্যাপের মাধ্যমে বিনিয়োগের নামে প্রতারণা করা হচ্ছে। এতদিন এখানে বিনিয়োগ করে অনেকে কিছু মুনাফা পেলেও প্রতারণার বিষয়টি ব্যাপকভাবে সামনে আসেনি। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, গত দুই সপ্তাহ আগে এটি ফাঁস হয়েছে। অ্যাপ পরিচালনার প্রযুক্তি হালনাগাদ করার নামে প্রতারণা শুরু হয়। ব্যবহারকারীরা অ্যাপটি থেকে কোনো টাকা তুলতে পারছিলেন না। ফলে ব্যবহাকারীদের হিসাবের স্থিতি নেতিবাচক হয়ে যায়। তখনই এদের প্রতারণার বিষয়টি ফাঁস হয়।