ঢাকা , সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

জামালপুরে বন্যার পানি বিপৎসীমার উপরে

  • সূর্যোদয় ডেস্ক:
  • আপডেট সময় ০৫:৫০:৩৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১ সেপ্টেম্বর ২০২৩
  • ১১২২ বার পড়া হয়েছে

জামালপুরের ইসলামপুরের বন্যার পানি বিপৎসীমার ২৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে

উজানের পাহড়ী ঢলে জামালপুরে যমুনা-ব্রহ্মপুত্র, দশআনী, জিনজিরাম ও ঝিনাইসহ সবকটি নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে।

যমুনার পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় বাহাদুরাবাদ ঘাট পয়েন্টে বন্যার পানি বিপৎসীমার ২৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় জেলার নতুন নতুন অঞ্চলে পানি প্রবেশ করতে শুরু করছে। এতে জেলার নদীর তীরবর্তী উপজেলা গুলোতে বন্যা পরিস্থিতি মারাত্মক অবনতির দিকে যাচ্ছে।

যমুনার শাখা আলাই নদীর মোহনা ইসলামপুরের দক্ষিণ চিনাডুলীর দেওয়ান পাড়া নামকস্থানে উম্মুক্ত থাকায় বন্যার পানি হু হু করে প্রবেশ করছে মেলান্দহ উপজেলার দিকে। ফলে মেলান্দহের কুলিয়া ও মাহমুদপুর ইউনিয়নসহ কয়েকটি ইউনিয়নে বন্যার আশঙ্কা রয়েছে।

জেলার সবকটি নদনদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় জেলায় বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হতে পারে বলে মনে করছেন অভিজ্ঞ মহল ।

যমুনার বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় যমুনার তীরবর্তী দুই উপজেলা বিশেষ করে ইসলামপুর ও দেওয়ানগঞ্জের নিম্নাঞ্চলসহ নতুন নতুন গ্রাম দ্রুত প্লাবিত হচ্ছে।

ইতোমধ্যে ইসলামপুর উপজেলার যমুনা তীরবর্তী ছয়টি এবং দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চলসহ ৩০টিরও অধিক গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।

জামালপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের সর্বশেষ সূত্র মতে, যমুনার পানি বাহাদুরাবাদ ঘাট পয়েন্টে বিপৎসীমার ২৬ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

এদিকে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ না থাকায় যমুনার পানি বাড়লেই ইসলামপুর উপজেলায় দেখা দেয় ভয়াবহ বন্যা। বন্যায় ইতোমধ্যে উপজেলার চিনাডুলী ইউনিয়নের গিলাবাড়ি, পশ্চিম বামনা, বিরেমারা, সিংভাঙা ও ডেবরাইপেচ এবং পার্থশী ইউনিয়নের পূর্ব ঢে়ংগাড় গড়, পশ্চিম ঢে়ংগাড় গড়, সুরের পাড় এবং সাপধরী ইউনিয়নের বিশটির অধিক গ্রামের অন্তত ১০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে ।

এছাড়া দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার চিকাজানী ইউনিয়নসহ পৌর এলাকায়ও বন্যার পানি প্রবেশ করতে শুরু করেছে।

এতে জেলার প্রায় ২০ হাজার মানুষ পানি বন্দী হয়ে মানবের জীবন যাপন করছে।

বন্যার পানির নিচে একের পর এক তলিয়ে যাচ্ছে রোপন আমনসহ বিভিন্ন শাক সব্জীর খেত ও বীজ তলা ।

নদনদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় ইসলামপুর-মাহমুদপুর আমতলী-ঢেংগার গড়, উলিলা-পচাবহলা সড়কসহ বেশ কয়েকটি সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার উপক্রম হয়ে পড়েছে।

জামালপুর পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্র জানা যায়, গত ২৪ ঘণ্টায় যমুনার পানি ৯ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বাহাদুরাবাদ ঘাট পয়েন্ট বিপৎসীমার ২৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

 

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

আজকের সূর্যোদয়

আজকের সূর্যোদয় প্রত্রিকায় আপনাদের স্বাগতম। ‍আমাদের নিউজ পড়ুন এবং বিজ্ঞাপন দিয়ে আমাদের পাশে থাকুন।

বরিশালে মুজিবিয়ানের ৮৭ নেতাকে খুঁজছে গোয়েন্দা সংস্থা

জামালপুরে বন্যার পানি বিপৎসীমার উপরে

আপডেট সময় ০৫:৫০:৩৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১ সেপ্টেম্বর ২০২৩

জামালপুরের ইসলামপুরের বন্যার পানি বিপৎসীমার ২৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে

উজানের পাহড়ী ঢলে জামালপুরে যমুনা-ব্রহ্মপুত্র, দশআনী, জিনজিরাম ও ঝিনাইসহ সবকটি নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে।

যমুনার পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় বাহাদুরাবাদ ঘাট পয়েন্টে বন্যার পানি বিপৎসীমার ২৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় জেলার নতুন নতুন অঞ্চলে পানি প্রবেশ করতে শুরু করছে। এতে জেলার নদীর তীরবর্তী উপজেলা গুলোতে বন্যা পরিস্থিতি মারাত্মক অবনতির দিকে যাচ্ছে।

যমুনার শাখা আলাই নদীর মোহনা ইসলামপুরের দক্ষিণ চিনাডুলীর দেওয়ান পাড়া নামকস্থানে উম্মুক্ত থাকায় বন্যার পানি হু হু করে প্রবেশ করছে মেলান্দহ উপজেলার দিকে। ফলে মেলান্দহের কুলিয়া ও মাহমুদপুর ইউনিয়নসহ কয়েকটি ইউনিয়নে বন্যার আশঙ্কা রয়েছে।

জেলার সবকটি নদনদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় জেলায় বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হতে পারে বলে মনে করছেন অভিজ্ঞ মহল ।

যমুনার বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় যমুনার তীরবর্তী দুই উপজেলা বিশেষ করে ইসলামপুর ও দেওয়ানগঞ্জের নিম্নাঞ্চলসহ নতুন নতুন গ্রাম দ্রুত প্লাবিত হচ্ছে।

ইতোমধ্যে ইসলামপুর উপজেলার যমুনা তীরবর্তী ছয়টি এবং দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চলসহ ৩০টিরও অধিক গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।

জামালপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের সর্বশেষ সূত্র মতে, যমুনার পানি বাহাদুরাবাদ ঘাট পয়েন্টে বিপৎসীমার ২৬ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

এদিকে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ না থাকায় যমুনার পানি বাড়লেই ইসলামপুর উপজেলায় দেখা দেয় ভয়াবহ বন্যা। বন্যায় ইতোমধ্যে উপজেলার চিনাডুলী ইউনিয়নের গিলাবাড়ি, পশ্চিম বামনা, বিরেমারা, সিংভাঙা ও ডেবরাইপেচ এবং পার্থশী ইউনিয়নের পূর্ব ঢে়ংগাড় গড়, পশ্চিম ঢে়ংগাড় গড়, সুরের পাড় এবং সাপধরী ইউনিয়নের বিশটির অধিক গ্রামের অন্তত ১০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে ।

এছাড়া দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার চিকাজানী ইউনিয়নসহ পৌর এলাকায়ও বন্যার পানি প্রবেশ করতে শুরু করেছে।

এতে জেলার প্রায় ২০ হাজার মানুষ পানি বন্দী হয়ে মানবের জীবন যাপন করছে।

বন্যার পানির নিচে একের পর এক তলিয়ে যাচ্ছে রোপন আমনসহ বিভিন্ন শাক সব্জীর খেত ও বীজ তলা ।

নদনদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় ইসলামপুর-মাহমুদপুর আমতলী-ঢেংগার গড়, উলিলা-পচাবহলা সড়কসহ বেশ কয়েকটি সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার উপক্রম হয়ে পড়েছে।

জামালপুর পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্র জানা যায়, গত ২৪ ঘণ্টায় যমুনার পানি ৯ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বাহাদুরাবাদ ঘাট পয়েন্ট বিপৎসীমার ২৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।