ঢাকা , সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

কুলিয়ারচরে ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় কৃষককে পিটিয়ে হত্যা

  • সূর্যোদয় ডেস্ক:
  • আপডেট সময় ০৬:২০:২৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ জানুয়ারী ২০২৩
  • ১১৩০ বার পড়া হয়েছে

কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরে ইভটিজিংয়ের বিচার দেয়ায় আবু বকর (৫৭) নামে এক কৃষককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় উত্তেজিত এলাকাবাসী অভিযুক্তদের তিনটি ঘরে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে।

বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে উপজেলার রামদী ইউনিয়নের মুজরাই মধ্যপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত আবু বকর মুজরাই মধ্যপাড়া গ্রামের আব্দুস সোবহানের ছেলে।

নিহতের স্বজন ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, কয়েক দিন আগে একটি দুর্ঘটনায় আহত স্থানীয় বীর কাশিমনগর এফইউ উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা মোছা: হাসিনা বেগমকে মুজরাই মধ্যপাড়া গ্রামে একসাথে দেখতে যায় ওই বিদ্যালয়ের দুই ছাত্র ও দুই ছাত্রী। এ সময় রাস্তায় ছাত্রীদের অশ্লীল ভাষায় কথাবার্তা বলে ইভটিজিং করে ওই গ্রামের বখাটে রবি মিয়ার ছেলে বাবুল ও আলমের ছেলে রিসাদসহ কয়েকজন।

এ ঘটনার পর শিক্ষার্থীরা বিষয়টি হাসিনা বেগমকে জানান। হাসিনা বেগম বিষয়টি আবু বকরের স্ত্রী আনিছা বেগমকে জানান। আনিছা বেগম বিষয়টি নিয়ে রিসাদের বাবা আলমের নিকট বিচার দেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে আলমের ছেলে রিসাদ, সালামের ছেলে পারভেজ ও রবি মিয়ার ছেলে বাবুল আরো কয়েকজন নিয়ে কৃষক আবুবকরের বাড়িতে গিয়ে আনিছা বেগমকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে তাকে খুঁজতে থাকে। এ সময় আবু বকর বাড়িতে এসে আনিছাকে খুঁজার কারণ জিজ্ঞেস করলে তারা আবু বকরকে এলোপাতাড়ি মারতে থাকে।

এতে আবুবকরের ভাতিজা সজিব বাধা দিতে গেলে তাকেও মারধোর করে বখাটেরা। পরে অচেতন অবস্থায় আবুবকরকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে ভাগলপুর জহুরুল ইসলাম মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ সংবাদ এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে নিহত আবুবকরের হিতাকাঙ্ক্ষীরা উত্তেজিত হয়ে রিসাদ, বাবুল ও পারভেজদের বসতঘরে ও জিনিসপত্রে আগুন ধরিয়ে দেয়।

এ ঘটনায় নিহতের ছেলে আয়ুর্বেদিক ডাক্তার মো: বায়েজিদ মিয়া (৩০), নিহতের বোন শামসুন্নাহার (৪৫), চাচাতো ভাই মো: জীবন মিয়া (৫৫) ও ছোট ভাইয়ের স্ত্রী সেলিনাসহ (৪৫) এলাকাবাসী এ হত্যাকাণ্ডের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে সুষ্ঠু বিচারের দাবি জানান।

অপরদিকে রিসাদের বোন রকসী আক্তার বলেন, আবু বকরের বাড়ির লোকজন প্রথমে নগদ টাকা স্বর্ণালঙ্কার ও জিনিসপত্র লুটপাট করে। পরে এসব বসতঘরে আগুন ধরিয়ে দেন তারা। এতে তাদের অর্ধকোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতির হয়।

এ ব্যাপারে কুলিয়ারচর থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা আবু বকরের নিহতের ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, তার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কিশোরগঞ্জ জেলা সদর আধুনিক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

আজকের সূর্যোদয়

আজকের সূর্যোদয় প্রত্রিকায় আপনাদের স্বাগতম। ‍আমাদের নিউজ পড়ুন এবং বিজ্ঞাপন দিয়ে আমাদের পাশে থাকুন।

বরিশালে মুজিবিয়ানের ৮৭ নেতাকে খুঁজছে গোয়েন্দা সংস্থা

কুলিয়ারচরে ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় কৃষককে পিটিয়ে হত্যা

আপডেট সময় ০৬:২০:২৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ জানুয়ারী ২০২৩

কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরে ইভটিজিংয়ের বিচার দেয়ায় আবু বকর (৫৭) নামে এক কৃষককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় উত্তেজিত এলাকাবাসী অভিযুক্তদের তিনটি ঘরে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে।

বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে উপজেলার রামদী ইউনিয়নের মুজরাই মধ্যপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত আবু বকর মুজরাই মধ্যপাড়া গ্রামের আব্দুস সোবহানের ছেলে।

নিহতের স্বজন ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, কয়েক দিন আগে একটি দুর্ঘটনায় আহত স্থানীয় বীর কাশিমনগর এফইউ উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা মোছা: হাসিনা বেগমকে মুজরাই মধ্যপাড়া গ্রামে একসাথে দেখতে যায় ওই বিদ্যালয়ের দুই ছাত্র ও দুই ছাত্রী। এ সময় রাস্তায় ছাত্রীদের অশ্লীল ভাষায় কথাবার্তা বলে ইভটিজিং করে ওই গ্রামের বখাটে রবি মিয়ার ছেলে বাবুল ও আলমের ছেলে রিসাদসহ কয়েকজন।

এ ঘটনার পর শিক্ষার্থীরা বিষয়টি হাসিনা বেগমকে জানান। হাসিনা বেগম বিষয়টি আবু বকরের স্ত্রী আনিছা বেগমকে জানান। আনিছা বেগম বিষয়টি নিয়ে রিসাদের বাবা আলমের নিকট বিচার দেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে আলমের ছেলে রিসাদ, সালামের ছেলে পারভেজ ও রবি মিয়ার ছেলে বাবুল আরো কয়েকজন নিয়ে কৃষক আবুবকরের বাড়িতে গিয়ে আনিছা বেগমকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে তাকে খুঁজতে থাকে। এ সময় আবু বকর বাড়িতে এসে আনিছাকে খুঁজার কারণ জিজ্ঞেস করলে তারা আবু বকরকে এলোপাতাড়ি মারতে থাকে।

এতে আবুবকরের ভাতিজা সজিব বাধা দিতে গেলে তাকেও মারধোর করে বখাটেরা। পরে অচেতন অবস্থায় আবুবকরকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে ভাগলপুর জহুরুল ইসলাম মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ সংবাদ এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে নিহত আবুবকরের হিতাকাঙ্ক্ষীরা উত্তেজিত হয়ে রিসাদ, বাবুল ও পারভেজদের বসতঘরে ও জিনিসপত্রে আগুন ধরিয়ে দেয়।

এ ঘটনায় নিহতের ছেলে আয়ুর্বেদিক ডাক্তার মো: বায়েজিদ মিয়া (৩০), নিহতের বোন শামসুন্নাহার (৪৫), চাচাতো ভাই মো: জীবন মিয়া (৫৫) ও ছোট ভাইয়ের স্ত্রী সেলিনাসহ (৪৫) এলাকাবাসী এ হত্যাকাণ্ডের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে সুষ্ঠু বিচারের দাবি জানান।

অপরদিকে রিসাদের বোন রকসী আক্তার বলেন, আবু বকরের বাড়ির লোকজন প্রথমে নগদ টাকা স্বর্ণালঙ্কার ও জিনিসপত্র লুটপাট করে। পরে এসব বসতঘরে আগুন ধরিয়ে দেন তারা। এতে তাদের অর্ধকোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতির হয়।

এ ব্যাপারে কুলিয়ারচর থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা আবু বকরের নিহতের ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, তার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কিশোরগঞ্জ জেলা সদর আধুনিক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি।