চলতি বছর ভোলার লালমোহনে আখের বাম্পার ফলন হয়েছে। বাজারে আখের দাম ভালো হওয়ায় এবং কাক্সিক্ষত ফলন পেয়ে মুখে হাসি ফুটেছে আখ চাষিদের। বর্তমানে বাজারে আখ বিক্রি শুরু হয়েগেছে। কোন কোন কৃষক আখ ক্ষেতেই বেপারীদের কাছে পুরো আখ ক্ষেত একত্রে বিক্রি করে দিয়েছেন। লাভজনক হওয়ার কারণে এ বছর লালমোহন উপজেলায় গত বছরের তুলনায় আখের চাষ অনেক বেড়েছে। চলতি বছরে উপজেলার সবচেয়ে বেশি আখ চাষ করেছেন লালমোহন ইউনিয়নের কৃষকগণ।
উপজেলা কৃষি অফিসের তথ্যমতে, লালমোহন উপজেলায় এ বছর আখ চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৩৮ হেক্টর জমি। কৃষকগণ সে লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করেছেন। এ বছর লালমোহনে আখের আবাদ হয়েছে ৩৮ হেক্টর জমিতে। গত বছর এই উপজেলায় ৩৫ হেক্টর জমিতে আখ চাষ হয়েছিল। লালমোহনের ৭ ইউনিয়নের মধ্যে চলতি বছর সবচেয়ে বেশি আখ চাষ করেছেন লালমোহন ইউনিয়নের কৃষকরা। লালমোহন উপজেলাতে কৃষকরা আইএসডি ১৬ ও ১৮ এবং ২০৮ জাতের আখ চাষ করেছেন।
উপজেলার লালমোহন ইউনিয়নের উত্তর ফুলবাগিচা এলাকার মো. আব্দুস শহিদ। গত ১৫ বছর ধরে তিনি নিয়মিত আখ চাষ করছেন। এ বছরও ১২ শতাংশ জমিতে আখ চাষ করেছেন তিনি। কৃষক শহিদ বলেন, এ বছর আখের ফলন অনেক ভালো হয়েছে। এবছর আখ চাষে তার খরচ হয়েছে ২০ হাজার টাকা। তবে ফলন ভালো হওয়ায় বাজারে অন্তত ৬০ হাজার টাকায় এসব আখ বিক্রি করতে পারবো ইনশাআল্লাহ।
ওই এলাকার আরেক আখ চাষি মো. আবুল কালাম বলেন, গত ত্রিশ বছর ধরে আখ চাষ করছেন তিনি। এ বছরও ৩২ শতাংশ জমিতে আখ চাষ করেছেন তিনি। যেখানে কীটনাশক ও শ্রমিকসহ ৫৫ হাজার টাকার মতো ব্যয় হয়েছে। এ বছর তার আখের ফলন ভালো হয়েছে। আশানরূপ ফলন পেয়ে খুশি তিনি। এবছর অন্তত দেড় লক্ষ টাকার আখ বিক্রি করতে পারবেন বলে আশা আখ চাষি আবুল কালামের।
এ বিষয়ে লালমোহন উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মো. আহসান উল্যাহ জানান, আবহাওয়া ভালো থাকায় কৃষকরা এবার আখের বাম্পার ফলন পেয়েছেন। বাজারেও আখের ব্যাপক চাহিদা। তাই আশা করছি- কৃষকরা তাদের আখ বিক্রি করে ন্যায্য মূল্য পাবেন।
এ কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা আরো বলেন, উপজেলা কৃষি অফিস সব সময় কৃষকদের কল্যাণে কাজ করছে। কৃষকরা যেন কম খরচ ও কম পরিশ্রমে ভালো ফলন পান সে জন্য তাদের যেকোনো প্রয়োজনে পাশে দাঁড়াচ্ছে কৃষি অফিস। আমরা চাই; কৃষকরা মৌসূমী ফসলসহ বিভিন্ন ফসল উৎপাদনে আগ্রহী হোক। সে জন্য তাদের সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে কৃষি অফিস থেকে ।