মৃতদেহে লেগে থাকা ছোট্ট একটি চুল ১৫ বছরের কিশোরী রাজিয়া খাতুনের হত্যারহস্য উদ্ঘাটনে বড় ভূমিকা রাখল। ডিএনএ পরীক্ষায় দেখা গেছে, রাজিয়ার গলায় লেগে থাকা চুলটি হাসান শেখের, যাকে সন্দেহভাজন হিসেবে আগেই আটক করা হয়েছে।
মাগুরার শ্রীপুরের শ্রীকোল গ্রামের মিকিজ শেখের মেয়ে রাজিয়া খাতুন ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ত। গত ১৭ মার্চ স্থানীয় কুমার নদের পাড়ে রসুন খেত দেখতে গিয়ে নিখোঁজ হন তিনি। পরের দিন একটি বাঁশবাগানে গলায় ওড়না পেঁচানো অবস্থায় তার গলা কাটা লাশ পাওয়া যায়। এ ঘটনায় মিকিজ শেখ শ্রীপুর থানায় মামলা করেন। মামলায় স্থানীয় হাসান শেখসহ ৪ জনকে পুলিশ সন্দেহভাজন হিসেবে আটক করে। এখন হাসান শেখকে প্রধান আসামি করে মামলার অভিযোগপত্র দাখিলের প্রস্তুতি নিচ্ছেন তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির পরিদর্শক নিকুন্জ কুমার কুণ্ডু।
জানা গেছে, নসিমনচালক হাসান শেখ ঘটনার আগে রাজিয়া খাতুনের বাড়ির আশপাশে সন্দেহজনকভাবে ঘোরাঘুরি করতেন। তার এ ঘোরাঘুরি রাজিয়ার পরিবারকে চিন্তিত করে তুলেছিল। পুলিশ জানায়, আলামত হিসেবে চুলটি তাদের কাছে বেশ গুরুত্বপূর্ণ আলামত মনে হয়েছিল। এ কারণে চুলটি ডিএনএ ল্যাবরেটরিতে পাঠানো হয়।
মামলার বাদী মিকিজ শেখ আমাদের সময়কে বলেন, ‘হাসান শেখের সঙ্গে আরও লোকজন জড়িত। কিন্তু মামলা দায়েরের পর শ্রীপুর থানা পুলিশ তাদের বিরুদ্বে ব্যবস্থা নেয়নি। কারণ হাসান শেখসহ তারা আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে চলাফেরা করেন। অথচ এরা এক সময় বিএনপি করত।’ রাজিয়া খাতুন হত্যা মামলাটি প্রথমে শ্রীপুর থানা পুলিশ তদন্ত করে। পরে অধিকতর তদন্তের জন্য সিআইডিতে পাঠানো হয়।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির পরিদর্শক নিকুন্জ কুমার বলেন, ‘ডিএনএ পরীক্ষার প্রতিবেদন পাওয়ার জন্য আমরা অপেক্ষায় ছিলাম। প্রতিবেদন হাতে পেয়েছি। আশা করি দ্রুত তদন্ত কাজ শেষ করতে পারব।’
সিআইডির ডিএনএ ল্যাবরেটরির সহকারী ডিএনএ এনালিস্ট নুসরাত ইয়াসমীন আমাদের সময়কে বলেন, ‘আমরা আলামত পরীক্ষা করে একজন পুরুষের ডিএন প্রোফাইলের সঙ্গে মিল পেয়েছি। এ প্রতিবেদন তদন্ত কর্মকর্তার কাছে পাঠানো হয়েছে। তিনি এ ব্যাপারে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন।’