রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলার মধুপুর ইউনিয়নের সরদারপাড়া গ্রামে স্বামীর বাড়িতে উঠতে গিয়ে বেধড়ক মারধরের শিকার হয়েছেন প্রিয়াংকা সেন নামে এক নববধূ। তার সঙ্গে থাকা আরও একজন এ ঘটনায় আহত হয়েছেন।
স্ত্রীর মর্যাদা চেয়ে মঙ্গলবার প্রিয়াংকা সেন স্বামীর বাড়িতে উঠতে চান। কিন্তু কয়েক দফায় মারধরের শিকার হন তিনি ও তার সঙ্গী। পরে গুরুতর আহতাবস্থায় দুজনকে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং পরে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
প্রিয়াংকা সেন এইচএসসি পরিক্ষার্থী, এই শিক্ষার্থী রংপুর সদর উপজেলার পানপাবাজার গঙ্গাদাস এলাকার দীনবন্ধু সেনের কন্যা। আর তার স্বামী সঞ্জয় চন্দ্র রায়। তিনি পুলিশের কনস্টেবল। বদরগঞ্জ উপজেলার মধুপুর ইউনিয়নের সরদারপাড়া গ্রামের খিতেন চন্দ্রের পুত্র সঞ্জয় চন্দ্র রায়।
প্রাথমিক তদন্তের উদ্ধৃতি দিয়ে বদরগঞ্জ থানার এসআই ইউনুস আলী জানান, প্রায় বছর দুয়েক প্রেমের সম্পর্ক ছিল সঞ্জয় চন্দ্র রায় ও প্রিয়াংকা সেনের। চলতি বছরের ৪ আগস্ট তাদের বিয়ে হয়। হিন্দুরীতি অনুযায়ী রেজিস্ট্রি ছাড়াও এফিডেভিটও হয় তাদের বিয়ের। কিন্তু বিয়ের পর শ্বশুর বাড়ি থেকে ঢাকায় কর্মস্থলে গিয়ে প্রিয়াংকার সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয় তার স্বামী। জোর করে তাদের মধ্য বিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করেন সঞ্জয়।
তিনি আরও জানান, মঙ্গলবার পরীক্ষা শেষে মা ও অন্যদের নিয়ে সঞ্জয়ের গ্রামের বাড়িতে গিয়ে ওঠার চেষ্টা করেন প্রিয়াংকা। ঘরে না তুলে তার শ্বশুর, শাশুড়ি ও ননদসহ অন্যরা মিলে প্রিয়াংকা ও তার সঙ্গে যাওয়া সবাইকে মারধর করতে থাকে। পরে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ আর প্রিয়াংকাকে মাটিতে আহতাবস্থায় দেখতে পায়। এর পর তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন প্রিয়াংকা ও তার পরিবার এ ঘটনায় হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে। এদিকে বদরগঞ্জ হাসপাতালের আবাসিক অফিসার ডা. মুন্না জানান, প্রিয়াংকার মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে জানান বদরগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) শফিকুল ইসলাম।