সুইডেনের স্টকহোমে তুর্কি দূতাবাসের সামনে উগ্রপন্থীদের পবিত্র কুরআন পোড়ানোর ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছে মুসলিম বিশ্বের বৃহৎ দুই সংগঠন অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কর্পোরেশন (ওআইসি) ও মুসলিম ওয়ার্ড লিগ (এমওএল) তথা রাবেতাতুল আলামিল ইসলামী।
রোববার আলআরাবিয়া এক প্রতিবেদনে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। সংবাদমাধ্যমটি জানায়, ওআইসি ও এমওএল সুইডিশ কর্তৃপক্ষের কাছে অতি দ্রুত অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়েছে।
ওআইসির সেক্রেটারি জেনারেল হুসাইন ইবরাহিম তালহা রোববার এক বিবৃতিতে বলেন, সুইডিশ কর্তৃপক্ষের সম্মতিতে দেশটির উগ্র ডানপন্থী কর্মীদের দ্বারা পবিত্র কুরআনের অনুলিপি পোড়ানোর মতো অবমাননা অত্যন্ত নিন্দনীয়। এটি অবশ্যই একটি উসকানিমূলক কাজ।
তিনি বলেন, এই উগ্রপন্থী কাজ মুসলমানদের নিশানা করে ঘটানো হচ্ছে। এর মাধ্যমে মুসলমানদের ধর্মীয় পবিত্র মূল্যবোধের ওপর আঘাত করা হচ্ছে এবং কুরআন পোড়ানোর ঘটনা এরও একটি উদাহরণ যে, আসলে ইসলামফোবিয়া, ঘৃণা, অসহিষ্ণুতা এবং সাম্প্রদায়িকতা কতটা বিপজ্জনক পর্যায়ে পৌঁছেছে।
হুসাইন ইবরাহিম তালহা সুইডিশ কর্তপক্ষকে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে অতি দ্রুত কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।
মুসলিম ওয়ার্ড লিগের পক্ষ থেকে নিন্দা জানিয়ে বলা হয়েছে, এরকম জঘন্য ও বর্বরোচিত কাজ মুসলমানদের কোনো ক্ষতি করবে না; বরং এটি তাদের ঈমান-আকিদা শানিত করার উপলক্ষ।
সংস্থাটির সেক্রেটারি জেনারেল ড. মোহাম্মদ আব্দুল কারিম আল ঈসা এমন কর্মকাণ্ডের ফলে আশু বিপদ সম্পর্কে সতর্ক করেছেন, যা ঘৃণাকে উস্কে দেয় এবং ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানে। তিনি বলেছেন, এ ধরনের বেপরোয়া আচরণ অন্যান্য অপরাধ ঘটানোর পাশাপাশি স্বাধীনতার ধারণা ও মানবিক মূল্যবোধেরও ব্যাপক ক্ষতির কারণ হয়।
সূত্র : আলআরাবিয়া