ঢাকা , সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

কাশফুলের নৈসর্গিক সৌন্দর্যে সেজেছে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়

  • সূর্যোদয় ডেস্ক:
  • আপডেট সময় ০৭:১৫:০১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২ অক্টোবর ২০২৩
  • ১১২৭ বার পড়া হয়েছে

প্রকৃতি অনেক রঙে সাজে। কখনো সাদা রঙে, কখনো কালো মেঘ, আবার কখনো সৌন্দর্যের কোনো প্রতীক নিয়ে হাজির হয় প্রকৃতির মাঝে। যেখানে নির্মল দখিনের বাতাসে, পাখির ডাকে, নদীর কলকল ধ্বনিতে মানুষের মাঝে প্রাণশক্তি সঞ্চার করে। প্রতিবছর শরৎকাল ও ভাদ্র মাসের মাঝামাঝিতে এমন সৌন্দর্যের প্রতীক নিয়ে কাশফুলে ভরে ওঠে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরো ক্যাম্পাস জুড়ে। সবুজের মাঝে কাশফুলের সৌন্দর্যকে বিমোহিত করে তোলে শিক্ষার্থীদের।

নীল আকাশের সাদা মেঘের ভেলায়, কাশফুলে অনেকে নিজেকে হারিয়ে ফেলে। বসন্তের থোকায় থোকায় যেমন ফুল ফোটে, গাছে জাগে কচি পাতা। ঠিক তেমনি বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় সৌন্দর্যের কাছে শিক্ষার্থীরা নতুন করে উদ্যমী হয় ও নিজেদের পরিস্ফুটিত করে। মনে-প্রাণে আনন্দের গান ও মনকে পুলকিত করে রাখে কাশফুলের সৌন্দর্যকে ঘিরে। শরতের সবচেয়ে বড় অনুষঙ্গ কাশফুল। আকাশের সাদা মেঘের সঙ্গে কাশফুলের মৃদু বাতাসে দোল খাওয়া প্রকৃতিতে শুধুই মুগ্ধতা ছড়ায়।

শরৎ তোমার অরুণ আলোর অঞ্জলি, ছড়িয়ে গেল ছাপিয়ে মোহন অঙ্গুলি’ এভাবেই শরতের সৌন্দর্য উপস্থাপন করেছেন কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। কবি নির্মলেন্দু গুণ তার একটি কবিতায় লিখেছিলেন- ‘শরত রানী যেন কাশের বোরখাখানি খুলে, কাশবনের ওই আড়াল থেকে নাচছে দুলে দুলে।’ ঋতুচক্রের পরিক্রমায় বর্ষার পরেই আগমন ঘটে প্রকৃতির রানী শরতের। মায়াবী শরতের স্নিগ্ধ জ্যোৎস্নার ভালোলাগা হৃদয়কে ছুঁয়ে যায় না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া ভার।

বরিশাল বিশ্যবিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের দ্বিতীয়বর্ষের শিক্ষার্থী মোশাহিদ আনসারী বলেন, কোনো নির্দিষ্ট অনুষ্ঠানকে ঘিরে ক্যাম্পাসকে কৃত্রিমভাবে সাজানো হয়। তবে আমাদের ক্যাম্পাস প্রকৃতির কিছু ছোঁয়াতে সেজে থাকে। কখনো কালো মেঘে ছেয়ে যাওয়া, আবার শরৎকালের কাশফুলের সমারোহে সাজে পুরো ক্যাম্পাস।

বিশ্ববিদ্যালয়ের বন্ধের দিনেও দেখা মিলে দর্শনার্থীদের। বিকেল নামলেই একঝাঁক বালক-বালিকে এই সৌন্দর্যের দেখতে আসে আমাদের ক্যাম্পাসে। নদীর পাশে, মহাসড়কের গা ঘেঁষে অবস্থান হওয়ায় সৌন্দর্যের ঘ্রাণে মেতে ওঠে সবাই। সর্বদা আমেজ লেগেই থাকে।বিকাল হলেই বিভিন্ন টংয়ে চা ও প্রকৃতির সুবাতাস নিতে বেরিয়ে পড়ে শিক্ষার্থীরা।

পশ্চিম আকাশে সূর্য যাওয়ার পূর্বক্ষণে বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন মেরিন একাডেমি রোডে ভিড় বাড়ে শিক্ষার্থীদের। স্নিগ্ধের আলোয়, কাশফুলের সৌন্দর্যে প্রিয়তমাকে নিয়ে আসে, কেউবা বন্ধুদের সঙ্গে যায়। অনেকে পরিবার নিয়েও ঘুরতে আসে। হালকা বাতাসে কাশফুলের দোলের মাঝে যেন নিজেকে হারিয়ে ফেলে কিছু সময়ের জন্যে ।

অনুভূতিগুলো অনেকে ক্যামেরাবন্দি করে ফেলে। কাশফুল অন্য ফুলের মতো গন্ধ না থাকলেও সকলের পছন্দের একটা ফুল বিশেষ করে মেয়েদের। এটিও প্রিয়জনের জন্য উপহারণস্বরূপ দেওয়া যায়। বন্ধু তার বন্ধুকে বা বান্ধবিকে, প্রিয়তমাকে, স্বামী তার স্ত্রীকে কাশফুল দিয়ে রোমাঞ্চকর পরিস্থিতি করে তোলে।

মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষার্থী হাদিউজ্জামান সুজন জানান, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস শরৎকাল আসলেই মাতিয়ে তোলে কাশফুলে। শরতের কাশফুল মানে শুভ্রতা। কাশফুলের ছোঁয়ায় ক্যাম্পাস নতুনরূপে সেজেছে। ক্যাম্পাসের এমন নবরূপে আমাদের মুগ্ধ করে। আমরা অনেক মেয়েরা নিজেকে সাজিয়ে কাশফুলের সঙ্গে মিশে ক্যামেরাবন্দি করে রাখি।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

আজকের সূর্যোদয়

আজকের সূর্যোদয় প্রত্রিকায় আপনাদের স্বাগতম। ‍আমাদের নিউজ পড়ুন এবং বিজ্ঞাপন দিয়ে আমাদের পাশে থাকুন।

বরিশালে মুজিবিয়ানের ৮৭ নেতাকে খুঁজছে গোয়েন্দা সংস্থা

কাশফুলের নৈসর্গিক সৌন্দর্যে সেজেছে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়

আপডেট সময় ০৭:১৫:০১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২ অক্টোবর ২০২৩

প্রকৃতি অনেক রঙে সাজে। কখনো সাদা রঙে, কখনো কালো মেঘ, আবার কখনো সৌন্দর্যের কোনো প্রতীক নিয়ে হাজির হয় প্রকৃতির মাঝে। যেখানে নির্মল দখিনের বাতাসে, পাখির ডাকে, নদীর কলকল ধ্বনিতে মানুষের মাঝে প্রাণশক্তি সঞ্চার করে। প্রতিবছর শরৎকাল ও ভাদ্র মাসের মাঝামাঝিতে এমন সৌন্দর্যের প্রতীক নিয়ে কাশফুলে ভরে ওঠে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরো ক্যাম্পাস জুড়ে। সবুজের মাঝে কাশফুলের সৌন্দর্যকে বিমোহিত করে তোলে শিক্ষার্থীদের।

নীল আকাশের সাদা মেঘের ভেলায়, কাশফুলে অনেকে নিজেকে হারিয়ে ফেলে। বসন্তের থোকায় থোকায় যেমন ফুল ফোটে, গাছে জাগে কচি পাতা। ঠিক তেমনি বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় সৌন্দর্যের কাছে শিক্ষার্থীরা নতুন করে উদ্যমী হয় ও নিজেদের পরিস্ফুটিত করে। মনে-প্রাণে আনন্দের গান ও মনকে পুলকিত করে রাখে কাশফুলের সৌন্দর্যকে ঘিরে। শরতের সবচেয়ে বড় অনুষঙ্গ কাশফুল। আকাশের সাদা মেঘের সঙ্গে কাশফুলের মৃদু বাতাসে দোল খাওয়া প্রকৃতিতে শুধুই মুগ্ধতা ছড়ায়।

শরৎ তোমার অরুণ আলোর অঞ্জলি, ছড়িয়ে গেল ছাপিয়ে মোহন অঙ্গুলি’ এভাবেই শরতের সৌন্দর্য উপস্থাপন করেছেন কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। কবি নির্মলেন্দু গুণ তার একটি কবিতায় লিখেছিলেন- ‘শরত রানী যেন কাশের বোরখাখানি খুলে, কাশবনের ওই আড়াল থেকে নাচছে দুলে দুলে।’ ঋতুচক্রের পরিক্রমায় বর্ষার পরেই আগমন ঘটে প্রকৃতির রানী শরতের। মায়াবী শরতের স্নিগ্ধ জ্যোৎস্নার ভালোলাগা হৃদয়কে ছুঁয়ে যায় না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া ভার।

বরিশাল বিশ্যবিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের দ্বিতীয়বর্ষের শিক্ষার্থী মোশাহিদ আনসারী বলেন, কোনো নির্দিষ্ট অনুষ্ঠানকে ঘিরে ক্যাম্পাসকে কৃত্রিমভাবে সাজানো হয়। তবে আমাদের ক্যাম্পাস প্রকৃতির কিছু ছোঁয়াতে সেজে থাকে। কখনো কালো মেঘে ছেয়ে যাওয়া, আবার শরৎকালের কাশফুলের সমারোহে সাজে পুরো ক্যাম্পাস।

বিশ্ববিদ্যালয়ের বন্ধের দিনেও দেখা মিলে দর্শনার্থীদের। বিকেল নামলেই একঝাঁক বালক-বালিকে এই সৌন্দর্যের দেখতে আসে আমাদের ক্যাম্পাসে। নদীর পাশে, মহাসড়কের গা ঘেঁষে অবস্থান হওয়ায় সৌন্দর্যের ঘ্রাণে মেতে ওঠে সবাই। সর্বদা আমেজ লেগেই থাকে।বিকাল হলেই বিভিন্ন টংয়ে চা ও প্রকৃতির সুবাতাস নিতে বেরিয়ে পড়ে শিক্ষার্থীরা।

পশ্চিম আকাশে সূর্য যাওয়ার পূর্বক্ষণে বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন মেরিন একাডেমি রোডে ভিড় বাড়ে শিক্ষার্থীদের। স্নিগ্ধের আলোয়, কাশফুলের সৌন্দর্যে প্রিয়তমাকে নিয়ে আসে, কেউবা বন্ধুদের সঙ্গে যায়। অনেকে পরিবার নিয়েও ঘুরতে আসে। হালকা বাতাসে কাশফুলের দোলের মাঝে যেন নিজেকে হারিয়ে ফেলে কিছু সময়ের জন্যে ।

অনুভূতিগুলো অনেকে ক্যামেরাবন্দি করে ফেলে। কাশফুল অন্য ফুলের মতো গন্ধ না থাকলেও সকলের পছন্দের একটা ফুল বিশেষ করে মেয়েদের। এটিও প্রিয়জনের জন্য উপহারণস্বরূপ দেওয়া যায়। বন্ধু তার বন্ধুকে বা বান্ধবিকে, প্রিয়তমাকে, স্বামী তার স্ত্রীকে কাশফুল দিয়ে রোমাঞ্চকর পরিস্থিতি করে তোলে।

মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষার্থী হাদিউজ্জামান সুজন জানান, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস শরৎকাল আসলেই মাতিয়ে তোলে কাশফুলে। শরতের কাশফুল মানে শুভ্রতা। কাশফুলের ছোঁয়ায় ক্যাম্পাস নতুনরূপে সেজেছে। ক্যাম্পাসের এমন নবরূপে আমাদের মুগ্ধ করে। আমরা অনেক মেয়েরা নিজেকে সাজিয়ে কাশফুলের সঙ্গে মিশে ক্যামেরাবন্দি করে রাখি।