ঢাকা , বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

সূরা ইখলাসের ফজিলত

  • সূর্যোদয় ডেস্ক:
  • আপডেট সময় ১১:২৫:২২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ অক্টোবর ২০২৩
  • ১১০৭ বার পড়া হয়েছে

কুরআন মাজিদের ১১৪টি সূরার মধ্যে সূরা ইখলাস ১১২তম সূরা। এতে রয়েছে চারটি আয়াত এবং একটি রুকু। কুরআন মাজিদের ছোট সূরাগুলোর মধ্যে এর স্থান দ্বিতীয়। সূরা ইখলাস ছোট হলেও এর মধ্যে সবচেয়ে সুন্দরভাবে তুলে ধরা হয়েছে আল্লাহ তায়ালার পরিচয়। কোনো কোনো কাফের মহানবী সা:-কে জিজ্ঞেস করেছিল, আপনি যে মাবুদের ইবাদত করেন তিনি কেমন? তার নাম-ধাম, বংশ-পরিচয় কী? তার পরিচিত তো বর্ণনা করুন। তারই উত্তরে সূরা ইখলাস নাজিল করা হয়েছে। তাই এই সূরার মাধ্যমে আল্লাহ তায়ালার সত্তার পরিচয় লাভ করা যায় এবং তাঁর ক্ষমতা সম্পর্কে জানা যায়। যারা আল্লাহ তায়ালাকে নিয়ে অমূলক প্রশ্ন করে তাদেরকেও দেয়া হয়েছে এতে সমুচিত জবাব। কুরআন মাজিদের প্রতিটি সূরার রয়েছে আলাদা বৈশিষ্ট্য ও ফজিলত। সেসব সূরার মধ্যে সূরা ইখলাস অন্যতম। হাদিস শরিফে সূরা ইখলাসের অসংখ্য ফজিলত বর্ণিত হয়েছে।

এক-তৃতীয়াংশের সমান : সূরা ইখলাস ছোট হওয়ার কারণে পড়তে খুবই সহজ। তাই অনায়াসে পড়া যায়। সূরা ইখলাস একবার তিলাওয়াত করলে তা কুরআন মাজিদের এক-তৃতীয়াংশের সমান হয়। একাধিক হাদিসে বিষয়টি বর্ণিত হয়েছে।
আবু সাঈদ খুদরি রা: থেকে বর্ণিত- নবীজী সা: বলেছেন, ‘তোমাদের কেউ কি এক রাতে কুরআনের এক-তৃতীয়াংশ তিলাওয়াত করা অসাধ্য মনে করো?’ এ প্রশ্ন তাদের জন্য কঠিন ছিল। এরপর তারা বলল, হে আল্লাহর রাসূল! আমাদের মধ্যে কার সাধ্য আছে যে, এটি পারবে? তখন তিনি বললেন, ‘সূরা ইখলাস কুরআনের তিন ভাগের এক ভাগ।’ (বুখারি-৫০১৫)

সূরা ইখলাস ছোট বলে ফজিলতের দিক থেকেও ছোট বিবেচনা করা যাবে না; বরং ফজিলতের দিক থেকে এটি অনন্য।
আবু সাঈদ খুদরি রা: থেকে বর্ণিত- এক ব্যক্তি এক সাহাবিকে দেখলেন, বারবার সূরা ইখলাস পড়ছেন। সকাল হলে ওই ব্যক্তি রাসূল সা:-এর সামনে বিষয়টি পেশ করলেন। লোকটি হয়তো ভেবেছিল, এই ছোট একটি সূরা বারবার পড়তে থাকা তেমন সওয়াবের কাজ নয়। তখন রাসূল সা: বললেন, ‘সেই সত্তার কসম, যার হাতে আমার প্রাণ। সূরা ইখলাস কুরআনের এক-তৃতীয়াংশের সমান।’ (আবু দাউদ-১৪৬১)

অন্য এক হাদিসে এসেছে, আবু হুরায়রা রা: থেকে বর্ণিত- নবীজী সা: বললেন, ‘তোমরা একত্র হও, আমি তোমাদের কাছে কুরআনের এক-তৃতীয়াংশ তিলাওয়াত করতে যাচ্ছি। তখন যাদের একত্র হওয়ার তারা একত্র হলো। এরপর রাসূল সা: হুজরা থেকে বের হয়ে এলেন এবং ‘কুল হুওয়াল্লাহু আহাদ’ (সূরা ইখলাস) তিলাওয়াত করলেন। এরপর হুজরায় চলে গেলেন।
আমাদের একজন আরেকজনকে বলতে লাগল, রাসূল সা: বলেছিলেন, ‘আমি তোমাদের কাছে কুরআনের এক-তৃতীয়াংশ পাঠ করব।’ মনে হয়, এখন আসমান থেকে তাঁর কাছে (এ বিষয়ে) খবর এসেছে (তাই তিনি হুজরায় চলে গেলেন)। পরে নবীজী সা: আবার বের হয়ে এসে বললেন, ‘আমি বলেছিলাম, তোমাদের কাছে কুরআনের এক-তৃতীয়াংশ পাঠ করব। শোনো, এই সূরাটি হলো কুরআনের এক-তৃতীয়াংশের সমপরিমাণ।’ (তিরমিজি-২৯০০)

আল্লাহর ভালোবাসা লাভ : সূরা ইখলাসে আল্লাহ তায়ালার পরিচয় তুলে ধরা হয়েছে। তাই মু’মিন বান্দা মাত্রই সূরাটি বিশেষভাবে মহব্বত করে, বারবার তিলাওয়াত করে। এ সূরার মহব্বত জান্নাত লাভের কারণ, আল্লাহ তায়ালার মহব্বত হাসিলের মাধ্যম।

আয়েশা রা: থেকে বর্ণিত- নবীজী সা: এক সাহাবিকে একটি মুজাহিদ দলের প্রধান করে অভিযানে পাঠালেন। তিনি সালাতে যখন তার সাথীদের নিয়ে ইমামতি করতেন, তখন সূরা ইখলাস দিয়ে নামাজ শেষ করতেন। তারা যখন অভিযান থেকে ফিরে এলো, তখন নবীজী সা:-এর খেদমতে বিষয়টি আলোচনা করলেন। নবীজী সা: বললেন, ‘তোমরা তাকেই জিজ্ঞেস কর, কেন সে এ কাজটি করেছে?’ এরপর তারা তাকে জিজ্ঞেস করলে তিনি উত্তর দিলেন, এ সূরাটিতে আল্লাহ তায়ালার গুণাবলি রয়েছে। এ জন্য সূরাটিকে পড়তে আমি ভালোবাসি। তখন নবীজী সা: বললেন, ‘তাকে জানিয়ে দাও, আল্লাহ তাকে ভালোবাসেন।’ (বুখারি-৭৩৭৫) অন্য এক হাদিসে এসেছে, আনাস ইবনে মালেক রা: থেকে বর্ণিত- কুবা মসজিদে আনসার সম্প্রদায়ের এক লোক তাদের ইমামতি করতেন। তিনি নামাজে সূরা ফাতেহার পর কোনো সূরা পাঠ করার ইচ্ছা করলে প্রথমে সূরা ইখলাস পাঠ করতেন এবং এ সূরা শেষ করার পর এর সাথে অন্য সূরা পাঠ করতেন। তিনি প্রতি রাকাতেই এরূপ করতেন।

তার সাথীরা তার সাথে এ ব্যাপারে আলোচনা করে বললেন, আপনি এ সূরাটি পাঠ করার পর মনে করেন যে, এটি বুঝি যথেষ্ট হয়নি, তাই এর সাথে অন্য আরেকটি সূরাও পাঠ করেন। আপনি হয় এ সূরাটিই পাঠ করবেন, না হয় এটি বাদ দিয়ে অন্য কোনো সূরা পাঠ করবেন। তিনি বললেন, আমি এ সূরা বাদ দিতে পারব না। যদি তোমাদের পছন্দ হয় তবে আমি এ সূরাসহ ইমামতি করি, আর পছন্দ না হলে ইমামতি ছেড়ে দিই। কিন্তু তাদের দৃষ্টিতে তিনি ছিলেন তাদের মধ্যে সবচেয়ে উত্তম ব্যক্তি। তাই তাকে বাদ দিয়ে অন্য কাউকে ইমাম বানাতে তারা সম্মত হলেন না।

পরে নবীজী সা: তাদের কাছে এলে তারা বিষয়টি জানালেন। তিনি বললেন, ‘হে অমুক! তোমার সাথীরা তোমাকে যে নির্দেশ দিচ্ছে তা পালন করতে তোমাকে কোন জিনিস বাধা দিচ্ছে? আর তোমাকে প্রতি রাকতে এ সূরা পাঠ করতে কিসে উদ্বুদ্ধ করছে?’ তিনি বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! আমি এটি খুব ভালোবাসি। তখন রাসূল সা: বললেন, ‘এর প্রতি তোমার ভালোবাসাই তোমাকে জান্নাতে নিয়ে যাবে।’ (তিরমিজি-২৯০১)

জান্নাত অবধারিত হওয়া : আবু হুরায়রা রা: থেকে বর্ণিত- আমি নবীজী সা:-এর সাথে আসছিলাম। তখন তিনি শুনতে পেলেন এক ব্যক্তি সূরা ইখলাস পড়ছে। রাসূল সা: বললেন, ‘সে ওয়াজিব করে নিলো।’ আমি বললাম, কী ওয়াজিব করে নিলো? তিনি বললেন, ‘জান্নাত’। (তিরমিজি-২৮৯৭) তাই এই সূরাটির মর্মার্থ বুঝে আল্লাহ তায়ালার পরিচয় লাভ করতে হবে। এই সূরাটির প্রতি মহব্বত রাখতে হবে। তাহলে আশা করা যায় আল্লাহ তায়ালা সে সৌভাগ্য আমাদেরকেও দান করবেন।

লেখক : শিক্ষার্থী, জামিয়া রশিদিয়া এমদাদুল উলুম, গৌরনদী, বরিশাল

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

আজকের সূর্যোদয়

আজকের সূর্যোদয় প্রত্রিকায় আপনাদের স্বাগতম। ‍আমাদের নিউজ পড়ুন এবং বিজ্ঞাপন দিয়ে আমাদের পাশে থাকুন।

বরিশালে মুজিবিয়ানের ৮৭ নেতাকে খুঁজছে গোয়েন্দা সংস্থা

সূরা ইখলাসের ফজিলত

আপডেট সময় ১১:২৫:২২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ অক্টোবর ২০২৩

কুরআন মাজিদের ১১৪টি সূরার মধ্যে সূরা ইখলাস ১১২তম সূরা। এতে রয়েছে চারটি আয়াত এবং একটি রুকু। কুরআন মাজিদের ছোট সূরাগুলোর মধ্যে এর স্থান দ্বিতীয়। সূরা ইখলাস ছোট হলেও এর মধ্যে সবচেয়ে সুন্দরভাবে তুলে ধরা হয়েছে আল্লাহ তায়ালার পরিচয়। কোনো কোনো কাফের মহানবী সা:-কে জিজ্ঞেস করেছিল, আপনি যে মাবুদের ইবাদত করেন তিনি কেমন? তার নাম-ধাম, বংশ-পরিচয় কী? তার পরিচিত তো বর্ণনা করুন। তারই উত্তরে সূরা ইখলাস নাজিল করা হয়েছে। তাই এই সূরার মাধ্যমে আল্লাহ তায়ালার সত্তার পরিচয় লাভ করা যায় এবং তাঁর ক্ষমতা সম্পর্কে জানা যায়। যারা আল্লাহ তায়ালাকে নিয়ে অমূলক প্রশ্ন করে তাদেরকেও দেয়া হয়েছে এতে সমুচিত জবাব। কুরআন মাজিদের প্রতিটি সূরার রয়েছে আলাদা বৈশিষ্ট্য ও ফজিলত। সেসব সূরার মধ্যে সূরা ইখলাস অন্যতম। হাদিস শরিফে সূরা ইখলাসের অসংখ্য ফজিলত বর্ণিত হয়েছে।

এক-তৃতীয়াংশের সমান : সূরা ইখলাস ছোট হওয়ার কারণে পড়তে খুবই সহজ। তাই অনায়াসে পড়া যায়। সূরা ইখলাস একবার তিলাওয়াত করলে তা কুরআন মাজিদের এক-তৃতীয়াংশের সমান হয়। একাধিক হাদিসে বিষয়টি বর্ণিত হয়েছে।
আবু সাঈদ খুদরি রা: থেকে বর্ণিত- নবীজী সা: বলেছেন, ‘তোমাদের কেউ কি এক রাতে কুরআনের এক-তৃতীয়াংশ তিলাওয়াত করা অসাধ্য মনে করো?’ এ প্রশ্ন তাদের জন্য কঠিন ছিল। এরপর তারা বলল, হে আল্লাহর রাসূল! আমাদের মধ্যে কার সাধ্য আছে যে, এটি পারবে? তখন তিনি বললেন, ‘সূরা ইখলাস কুরআনের তিন ভাগের এক ভাগ।’ (বুখারি-৫০১৫)

সূরা ইখলাস ছোট বলে ফজিলতের দিক থেকেও ছোট বিবেচনা করা যাবে না; বরং ফজিলতের দিক থেকে এটি অনন্য।
আবু সাঈদ খুদরি রা: থেকে বর্ণিত- এক ব্যক্তি এক সাহাবিকে দেখলেন, বারবার সূরা ইখলাস পড়ছেন। সকাল হলে ওই ব্যক্তি রাসূল সা:-এর সামনে বিষয়টি পেশ করলেন। লোকটি হয়তো ভেবেছিল, এই ছোট একটি সূরা বারবার পড়তে থাকা তেমন সওয়াবের কাজ নয়। তখন রাসূল সা: বললেন, ‘সেই সত্তার কসম, যার হাতে আমার প্রাণ। সূরা ইখলাস কুরআনের এক-তৃতীয়াংশের সমান।’ (আবু দাউদ-১৪৬১)

অন্য এক হাদিসে এসেছে, আবু হুরায়রা রা: থেকে বর্ণিত- নবীজী সা: বললেন, ‘তোমরা একত্র হও, আমি তোমাদের কাছে কুরআনের এক-তৃতীয়াংশ তিলাওয়াত করতে যাচ্ছি। তখন যাদের একত্র হওয়ার তারা একত্র হলো। এরপর রাসূল সা: হুজরা থেকে বের হয়ে এলেন এবং ‘কুল হুওয়াল্লাহু আহাদ’ (সূরা ইখলাস) তিলাওয়াত করলেন। এরপর হুজরায় চলে গেলেন।
আমাদের একজন আরেকজনকে বলতে লাগল, রাসূল সা: বলেছিলেন, ‘আমি তোমাদের কাছে কুরআনের এক-তৃতীয়াংশ পাঠ করব।’ মনে হয়, এখন আসমান থেকে তাঁর কাছে (এ বিষয়ে) খবর এসেছে (তাই তিনি হুজরায় চলে গেলেন)। পরে নবীজী সা: আবার বের হয়ে এসে বললেন, ‘আমি বলেছিলাম, তোমাদের কাছে কুরআনের এক-তৃতীয়াংশ পাঠ করব। শোনো, এই সূরাটি হলো কুরআনের এক-তৃতীয়াংশের সমপরিমাণ।’ (তিরমিজি-২৯০০)

আল্লাহর ভালোবাসা লাভ : সূরা ইখলাসে আল্লাহ তায়ালার পরিচয় তুলে ধরা হয়েছে। তাই মু’মিন বান্দা মাত্রই সূরাটি বিশেষভাবে মহব্বত করে, বারবার তিলাওয়াত করে। এ সূরার মহব্বত জান্নাত লাভের কারণ, আল্লাহ তায়ালার মহব্বত হাসিলের মাধ্যম।

আয়েশা রা: থেকে বর্ণিত- নবীজী সা: এক সাহাবিকে একটি মুজাহিদ দলের প্রধান করে অভিযানে পাঠালেন। তিনি সালাতে যখন তার সাথীদের নিয়ে ইমামতি করতেন, তখন সূরা ইখলাস দিয়ে নামাজ শেষ করতেন। তারা যখন অভিযান থেকে ফিরে এলো, তখন নবীজী সা:-এর খেদমতে বিষয়টি আলোচনা করলেন। নবীজী সা: বললেন, ‘তোমরা তাকেই জিজ্ঞেস কর, কেন সে এ কাজটি করেছে?’ এরপর তারা তাকে জিজ্ঞেস করলে তিনি উত্তর দিলেন, এ সূরাটিতে আল্লাহ তায়ালার গুণাবলি রয়েছে। এ জন্য সূরাটিকে পড়তে আমি ভালোবাসি। তখন নবীজী সা: বললেন, ‘তাকে জানিয়ে দাও, আল্লাহ তাকে ভালোবাসেন।’ (বুখারি-৭৩৭৫) অন্য এক হাদিসে এসেছে, আনাস ইবনে মালেক রা: থেকে বর্ণিত- কুবা মসজিদে আনসার সম্প্রদায়ের এক লোক তাদের ইমামতি করতেন। তিনি নামাজে সূরা ফাতেহার পর কোনো সূরা পাঠ করার ইচ্ছা করলে প্রথমে সূরা ইখলাস পাঠ করতেন এবং এ সূরা শেষ করার পর এর সাথে অন্য সূরা পাঠ করতেন। তিনি প্রতি রাকাতেই এরূপ করতেন।

তার সাথীরা তার সাথে এ ব্যাপারে আলোচনা করে বললেন, আপনি এ সূরাটি পাঠ করার পর মনে করেন যে, এটি বুঝি যথেষ্ট হয়নি, তাই এর সাথে অন্য আরেকটি সূরাও পাঠ করেন। আপনি হয় এ সূরাটিই পাঠ করবেন, না হয় এটি বাদ দিয়ে অন্য কোনো সূরা পাঠ করবেন। তিনি বললেন, আমি এ সূরা বাদ দিতে পারব না। যদি তোমাদের পছন্দ হয় তবে আমি এ সূরাসহ ইমামতি করি, আর পছন্দ না হলে ইমামতি ছেড়ে দিই। কিন্তু তাদের দৃষ্টিতে তিনি ছিলেন তাদের মধ্যে সবচেয়ে উত্তম ব্যক্তি। তাই তাকে বাদ দিয়ে অন্য কাউকে ইমাম বানাতে তারা সম্মত হলেন না।

পরে নবীজী সা: তাদের কাছে এলে তারা বিষয়টি জানালেন। তিনি বললেন, ‘হে অমুক! তোমার সাথীরা তোমাকে যে নির্দেশ দিচ্ছে তা পালন করতে তোমাকে কোন জিনিস বাধা দিচ্ছে? আর তোমাকে প্রতি রাকতে এ সূরা পাঠ করতে কিসে উদ্বুদ্ধ করছে?’ তিনি বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! আমি এটি খুব ভালোবাসি। তখন রাসূল সা: বললেন, ‘এর প্রতি তোমার ভালোবাসাই তোমাকে জান্নাতে নিয়ে যাবে।’ (তিরমিজি-২৯০১)

জান্নাত অবধারিত হওয়া : আবু হুরায়রা রা: থেকে বর্ণিত- আমি নবীজী সা:-এর সাথে আসছিলাম। তখন তিনি শুনতে পেলেন এক ব্যক্তি সূরা ইখলাস পড়ছে। রাসূল সা: বললেন, ‘সে ওয়াজিব করে নিলো।’ আমি বললাম, কী ওয়াজিব করে নিলো? তিনি বললেন, ‘জান্নাত’। (তিরমিজি-২৮৯৭) তাই এই সূরাটির মর্মার্থ বুঝে আল্লাহ তায়ালার পরিচয় লাভ করতে হবে। এই সূরাটির প্রতি মহব্বত রাখতে হবে। তাহলে আশা করা যায় আল্লাহ তায়ালা সে সৌভাগ্য আমাদেরকেও দান করবেন।

লেখক : শিক্ষার্থী, জামিয়া রশিদিয়া এমদাদুল উলুম, গৌরনদী, বরিশাল