ঢাকা , সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

আন্দোলনের শেষ ধাপের আগে নানামুখী তৎপরতা

  • সূর্যোদয় ডেস্ক:
  • আপডেট সময় ১২:০১:৫৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৩
  • ১১২৪ বার পড়া হয়েছে

পূজার পরে সরকার পতনের এক দফা দাবিতে শেষ ধাপের আন্দোলনে নামার আগে নানামুখী তৎপরতা চালাচ্ছে বিএনপি। আন্দোলনের মাঠে দলের সব উইংকে যেমনি কাজে লাগানোর প্রচেষ্টা চলছে, তেমনি নেতাকর্মীদের রাজপথের কর্মসূচিতে শেষ পর্যন্ত থাকতে প্রস্তুতিমূলক নানা নির্দেশনা দেয়া হচ্ছে। যুগপৎ আন্দোলনের শরিকদের সাথেও নিবিড় যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। সরকারবিরোধী প্রতিটি দলকে সামর্থ্য অনুযায়ী রাজপথে সাংগঠনিক শক্তি প্রদর্শনের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। এসবের পাশাপাশি কূটনৈতিক তৎপরতাও চালাচ্ছে বিএনপি। বিএনপিসহ সরকারবিরোধী দলগুলো কী পরিস্থিতিতে রাজপথের আন্দোলনকে বেছে নিচ্ছে সে বার্তাও দেয়া হচ্ছে কূটনৈতিক মহলে। জানা গেছে, দুর্গাপূজার পর ২৭ অক্টোবর থেকে শেষ ধাপের আন্দোলনে নামতে পারে বিএনপি। তখন চলমান কর্মসূচির ধারায় পরিবর্তন আনা হবে। যেটিকে দলের পক্ষ থেকে শক্ত কর্মসূচি হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।

সরকারের পদত্যাগ ও নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের একদফা দাবিতে গত ১২ জুলাই থেকে যুগপৎ আন্দোলন শুরু করে বিএনপি। আগামী ১৮ অক্টোবর পর্যন্ত কর্মসূচি রয়েছে দলটির। এসব কর্মসূচিতে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশে চিকিৎসার ইস্যুটি জোরালোভাবে সম্পৃক্ত করা হয়েছে। জানা গেছে, শারদীয় দুর্গাপূজার আগে ১৮ অক্টোবর ঢাকায় অনুষ্ঠেয় জনসমাবেশ থেকে এক দফা মানতে সরকারকে ‘চূড়ান্ত আলটিমেটাম’ দিতে পারে দলটি। দাবি না মানলে ৭২ থেকে ৯৬ ঘণ্টার ওই আলটিমেটাম শেষে ২৭ অক্টোবর থেকে চূড়ান্ত ধাপের আন্দোলনে নামতে পারে বিএনপি ও শরিকরা, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত যা চলবে। ঘেরাও দিয়ে শুরু হতে পারে এই আন্দোলন, সাথে আসতে পারে অবস্থানের কর্মসূচি। পর্যায়ক্রমে কর্মসূচি আরো জোরালো করার পরিকল্পনা করা হচ্ছে।

বিএনপি নেতারা জানিয়েছেন, দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগেই আন্দোলনকে যৌক্তিক পরিণতিতে পৌঁছাতে চান তারা। তবে প্রয়োজনবোধে তফসিলের পরেও আন্দোলন চলতে পারে। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান নয়া দিগন্তকে কর্মসূচি প্রসঙ্গে বলেন, ১৮ অক্টোবর পর্যন্ত আমাদের আন্দোলনের কর্মসূচি রয়েছে। জনদাবি পূরণে পূজার পরে এই কর্মসূচি আরো জোরালো হবে। এক দফা দাবি আদায়ে গণতান্ত্রিক যত পন্থা রয়েছে, আমরা সেসব পথে শান্তিপূর্ণভাবে এগোবো। সরকার যদি শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে বাধা দেয়, সে দায় তাদেরই নিতে হবে। তিনি বলেন, আমরা আশা করছি- সরকারের মধ্যে শুভ বুদ্ধির উদয় হবে। গণদাবি মেনে পদত্যাগ করে তারা সুষ্ঠু নির্বাচনের পথ সুগম করবে।

সরকারবিরোধী চূড়ান্ত আন্দোলনে নামার আগে যুগপতের শরিকদের মতামত নিচ্ছে বিএনপি। এর অংশ হিসেবে ইতোমধ্যে ১২ দলীয় জোট, জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট ও লেবার পার্টির সাথে দলটির হাইকমান্ডের বৈঠক হয়েছে। গত ৩০ ডিসেম্বর থেকে যুগপৎ আন্দোলন শুরুর পর এটিই ছিল বিএনপির হাইকমান্ডের সাথে শরিকদের বৈঠক। জানা গেছে, বৈঠকে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন ঘিরে সরকারের কোনো প্রলোভনে পা না দিতে শরিকদের প্রতি আহ্বান জানানো হয়। বিএনপির হাইকমান্ডের পক্ষ থেকে তাদের আশ্বস্ত করা হয়েছে, চলমান আন্দোলনে সরকারের পতনের পর নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনে বিজয়ী হলে শরিকদের যথাযথ মূল্যায়ন করা হবে। আন্দোলনে থাকা সব দলকে নিয়ে তখন জাতীয় সরকার গঠন করা হবে। একই সাথে সামনের আন্দোলনে কেউ বেঈমানি করলে তারা ইতিহাসে মীরজাফর হিসেবে চিহ্নিত হবেন বলে শরিকদের স্মরণ করিয়ে দেয়া হয়েছে। এ সময় বিএনপির সাবেক এমপি উকিল আব্দুস সাত্তারের উদাহরণ তুলে ধরে আগামীতে শরিকদের ঐক্যবদ্ধভাবে সামর্থ্য অনুযায়ী মাঠে থেকে আন্দোলনে বিজয় ছিনিয়ে আনার আহ্বান জানানো হয়। এ দিকে চূড়ান্ত আন্দোলন সফলে আগামীতে সরকারবিরোধী সব দলকে পাশে চায় বিএনপির হাইকমান্ড। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সরকারবিরোধী চূড়ান্ত ধাপের আন্দোলন শুরু হলে জামায়াতে ইসলামীও সেখানে সম্পৃক্ত হতে পারে।

চলমান আন্দোলনকে ফলপ্রসূ করতে দলের সব উইংকেও সক্রিয় করছে বিএনপি। এর অংশ হিসেবে চূড়ান্ত আন্দোলনের প্রস্তুতি হিসেবে ইতোমধ্যে ঢাকায় শ্রমিক-কর্মচারী কনভেনশন, ছাত্র কনভেনশন, কৃষক সমাবেশ, মহিলা সমাবেশ করেছে। আগামীকাল ১৬ অক্টোবর নয়াপল্টনে যুব সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। এসব কর্মসূচির মধ্য দিয়ে আন্দোলনে সম্পৃক্ত প্রতিটি উইংকে জাগিয়ে তুলতে চাচ্ছে বিএনপির হাইকমান্ড। এ ছাড়া গত ২৯ সেপ্টেম্বর নয় দফার ভিত্তিতে বিএনপির নেতৃত্বাধীন যুগপৎ আন্দোলনের শরিক ১৫টি ছাত্রসংগঠনের সমন্বয়ে ‘ফ্যাসিবাদবিরোধী ছাত্রঐক্যে’র আত্মপ্রকাশ ঘটেছে। এই ছাত্রজোট চলমান যুগপৎ আন্দোলনে সহযোগী শক্তি হিসেবে কাজ করবে। এক দফা দাবি আদায়ে রাজপথের আন্দোলনের পাশাপাশি গণতান্ত্রিক বিশ্বকেও পাশে চায় বিএনপি। তাই চূড়ান্ত আন্দোলনে নামার আগে কূটনৈতিক তৎপরতা বাড়িয়েছে দলটি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ ঢাকায় বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকদের সাথে আনুষ্ঠানিক ও অনানুষ্ঠানিক মিটিং করছে তারা।

গত সপ্তাহে ঢাকায় নিযুক্ত সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত রেতো রেংগলির বারিধারায় বাসভবনে মধ্যাহ্নভোজে অংশগ্রহণ করে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর নেতৃত্বে বিএনপির একটি প্রতিনিধিদল। ওই দিনই বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খানের সাথে তার বাসায় বৈঠক করেন ঢাকায় ব্রিটিশ হাইকমিশনের রাজনৈতিক কাউন্সিলর টিমোথি ডকেট। এর আগে গত ৯ অক্টোবর গুলশানে চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে বিএনপির সাথে বৈঠক করে মার্কিন প্রাক-নির্বাচনী পর্যবেক্ষক দল। সেখানে আগামী নির্বাচন নিয়ে দলের অবস্থান তুলে ধরে বিএনপি। দলটির পক্ষ থেকে জানানো হয়, দেশের নির্বাচন ব্যবস্থায় তৈরি হওয়া ‘জঞ্জাল’ অপসারণের পর নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন চায় তারা। এর বাইরে অন্য কোনো প্রক্রিয়ায় সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয় বলে মনে করে বিএনপি। বৈঠকে আওয়ামী লীগ সরকারের পদত্যাগ ও নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের এক দফা দাবির সমর্থনে যুক্তিও তুলে ধরেন বিএনপি নেতারা।
জানা গেছে, এই মাসের মধ্যে কূটনৈতিক পর্যায়ে আরো কিছু বৈঠক হতে পারে বিএনপির। এ ছাড়া মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ বিভিন্ন দেশেও দলটির কূটনীতিক উইং কাজ করছে, যাতে চূড়ান্ত আন্দোলন শুরু হলে তা দ্রুত একটি পরিণতির দিকে অগ্রসর হয়।

 

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

আজকের সূর্যোদয়

আজকের সূর্যোদয় প্রত্রিকায় আপনাদের স্বাগতম। ‍আমাদের নিউজ পড়ুন এবং বিজ্ঞাপন দিয়ে আমাদের পাশে থাকুন।

বরিশালে মুজিবিয়ানের ৮৭ নেতাকে খুঁজছে গোয়েন্দা সংস্থা

আন্দোলনের শেষ ধাপের আগে নানামুখী তৎপরতা

আপডেট সময় ১২:০১:৫৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৩

পূজার পরে সরকার পতনের এক দফা দাবিতে শেষ ধাপের আন্দোলনে নামার আগে নানামুখী তৎপরতা চালাচ্ছে বিএনপি। আন্দোলনের মাঠে দলের সব উইংকে যেমনি কাজে লাগানোর প্রচেষ্টা চলছে, তেমনি নেতাকর্মীদের রাজপথের কর্মসূচিতে শেষ পর্যন্ত থাকতে প্রস্তুতিমূলক নানা নির্দেশনা দেয়া হচ্ছে। যুগপৎ আন্দোলনের শরিকদের সাথেও নিবিড় যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। সরকারবিরোধী প্রতিটি দলকে সামর্থ্য অনুযায়ী রাজপথে সাংগঠনিক শক্তি প্রদর্শনের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। এসবের পাশাপাশি কূটনৈতিক তৎপরতাও চালাচ্ছে বিএনপি। বিএনপিসহ সরকারবিরোধী দলগুলো কী পরিস্থিতিতে রাজপথের আন্দোলনকে বেছে নিচ্ছে সে বার্তাও দেয়া হচ্ছে কূটনৈতিক মহলে। জানা গেছে, দুর্গাপূজার পর ২৭ অক্টোবর থেকে শেষ ধাপের আন্দোলনে নামতে পারে বিএনপি। তখন চলমান কর্মসূচির ধারায় পরিবর্তন আনা হবে। যেটিকে দলের পক্ষ থেকে শক্ত কর্মসূচি হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।

সরকারের পদত্যাগ ও নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের একদফা দাবিতে গত ১২ জুলাই থেকে যুগপৎ আন্দোলন শুরু করে বিএনপি। আগামী ১৮ অক্টোবর পর্যন্ত কর্মসূচি রয়েছে দলটির। এসব কর্মসূচিতে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশে চিকিৎসার ইস্যুটি জোরালোভাবে সম্পৃক্ত করা হয়েছে। জানা গেছে, শারদীয় দুর্গাপূজার আগে ১৮ অক্টোবর ঢাকায় অনুষ্ঠেয় জনসমাবেশ থেকে এক দফা মানতে সরকারকে ‘চূড়ান্ত আলটিমেটাম’ দিতে পারে দলটি। দাবি না মানলে ৭২ থেকে ৯৬ ঘণ্টার ওই আলটিমেটাম শেষে ২৭ অক্টোবর থেকে চূড়ান্ত ধাপের আন্দোলনে নামতে পারে বিএনপি ও শরিকরা, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত যা চলবে। ঘেরাও দিয়ে শুরু হতে পারে এই আন্দোলন, সাথে আসতে পারে অবস্থানের কর্মসূচি। পর্যায়ক্রমে কর্মসূচি আরো জোরালো করার পরিকল্পনা করা হচ্ছে।

বিএনপি নেতারা জানিয়েছেন, দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগেই আন্দোলনকে যৌক্তিক পরিণতিতে পৌঁছাতে চান তারা। তবে প্রয়োজনবোধে তফসিলের পরেও আন্দোলন চলতে পারে। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান নয়া দিগন্তকে কর্মসূচি প্রসঙ্গে বলেন, ১৮ অক্টোবর পর্যন্ত আমাদের আন্দোলনের কর্মসূচি রয়েছে। জনদাবি পূরণে পূজার পরে এই কর্মসূচি আরো জোরালো হবে। এক দফা দাবি আদায়ে গণতান্ত্রিক যত পন্থা রয়েছে, আমরা সেসব পথে শান্তিপূর্ণভাবে এগোবো। সরকার যদি শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে বাধা দেয়, সে দায় তাদেরই নিতে হবে। তিনি বলেন, আমরা আশা করছি- সরকারের মধ্যে শুভ বুদ্ধির উদয় হবে। গণদাবি মেনে পদত্যাগ করে তারা সুষ্ঠু নির্বাচনের পথ সুগম করবে।

সরকারবিরোধী চূড়ান্ত আন্দোলনে নামার আগে যুগপতের শরিকদের মতামত নিচ্ছে বিএনপি। এর অংশ হিসেবে ইতোমধ্যে ১২ দলীয় জোট, জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট ও লেবার পার্টির সাথে দলটির হাইকমান্ডের বৈঠক হয়েছে। গত ৩০ ডিসেম্বর থেকে যুগপৎ আন্দোলন শুরুর পর এটিই ছিল বিএনপির হাইকমান্ডের সাথে শরিকদের বৈঠক। জানা গেছে, বৈঠকে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন ঘিরে সরকারের কোনো প্রলোভনে পা না দিতে শরিকদের প্রতি আহ্বান জানানো হয়। বিএনপির হাইকমান্ডের পক্ষ থেকে তাদের আশ্বস্ত করা হয়েছে, চলমান আন্দোলনে সরকারের পতনের পর নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনে বিজয়ী হলে শরিকদের যথাযথ মূল্যায়ন করা হবে। আন্দোলনে থাকা সব দলকে নিয়ে তখন জাতীয় সরকার গঠন করা হবে। একই সাথে সামনের আন্দোলনে কেউ বেঈমানি করলে তারা ইতিহাসে মীরজাফর হিসেবে চিহ্নিত হবেন বলে শরিকদের স্মরণ করিয়ে দেয়া হয়েছে। এ সময় বিএনপির সাবেক এমপি উকিল আব্দুস সাত্তারের উদাহরণ তুলে ধরে আগামীতে শরিকদের ঐক্যবদ্ধভাবে সামর্থ্য অনুযায়ী মাঠে থেকে আন্দোলনে বিজয় ছিনিয়ে আনার আহ্বান জানানো হয়। এ দিকে চূড়ান্ত আন্দোলন সফলে আগামীতে সরকারবিরোধী সব দলকে পাশে চায় বিএনপির হাইকমান্ড। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সরকারবিরোধী চূড়ান্ত ধাপের আন্দোলন শুরু হলে জামায়াতে ইসলামীও সেখানে সম্পৃক্ত হতে পারে।

চলমান আন্দোলনকে ফলপ্রসূ করতে দলের সব উইংকেও সক্রিয় করছে বিএনপি। এর অংশ হিসেবে চূড়ান্ত আন্দোলনের প্রস্তুতি হিসেবে ইতোমধ্যে ঢাকায় শ্রমিক-কর্মচারী কনভেনশন, ছাত্র কনভেনশন, কৃষক সমাবেশ, মহিলা সমাবেশ করেছে। আগামীকাল ১৬ অক্টোবর নয়াপল্টনে যুব সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। এসব কর্মসূচির মধ্য দিয়ে আন্দোলনে সম্পৃক্ত প্রতিটি উইংকে জাগিয়ে তুলতে চাচ্ছে বিএনপির হাইকমান্ড। এ ছাড়া গত ২৯ সেপ্টেম্বর নয় দফার ভিত্তিতে বিএনপির নেতৃত্বাধীন যুগপৎ আন্দোলনের শরিক ১৫টি ছাত্রসংগঠনের সমন্বয়ে ‘ফ্যাসিবাদবিরোধী ছাত্রঐক্যে’র আত্মপ্রকাশ ঘটেছে। এই ছাত্রজোট চলমান যুগপৎ আন্দোলনে সহযোগী শক্তি হিসেবে কাজ করবে। এক দফা দাবি আদায়ে রাজপথের আন্দোলনের পাশাপাশি গণতান্ত্রিক বিশ্বকেও পাশে চায় বিএনপি। তাই চূড়ান্ত আন্দোলনে নামার আগে কূটনৈতিক তৎপরতা বাড়িয়েছে দলটি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ ঢাকায় বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকদের সাথে আনুষ্ঠানিক ও অনানুষ্ঠানিক মিটিং করছে তারা।

গত সপ্তাহে ঢাকায় নিযুক্ত সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত রেতো রেংগলির বারিধারায় বাসভবনে মধ্যাহ্নভোজে অংশগ্রহণ করে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর নেতৃত্বে বিএনপির একটি প্রতিনিধিদল। ওই দিনই বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খানের সাথে তার বাসায় বৈঠক করেন ঢাকায় ব্রিটিশ হাইকমিশনের রাজনৈতিক কাউন্সিলর টিমোথি ডকেট। এর আগে গত ৯ অক্টোবর গুলশানে চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে বিএনপির সাথে বৈঠক করে মার্কিন প্রাক-নির্বাচনী পর্যবেক্ষক দল। সেখানে আগামী নির্বাচন নিয়ে দলের অবস্থান তুলে ধরে বিএনপি। দলটির পক্ষ থেকে জানানো হয়, দেশের নির্বাচন ব্যবস্থায় তৈরি হওয়া ‘জঞ্জাল’ অপসারণের পর নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন চায় তারা। এর বাইরে অন্য কোনো প্রক্রিয়ায় সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয় বলে মনে করে বিএনপি। বৈঠকে আওয়ামী লীগ সরকারের পদত্যাগ ও নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের এক দফা দাবির সমর্থনে যুক্তিও তুলে ধরেন বিএনপি নেতারা।
জানা গেছে, এই মাসের মধ্যে কূটনৈতিক পর্যায়ে আরো কিছু বৈঠক হতে পারে বিএনপির। এ ছাড়া মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ বিভিন্ন দেশেও দলটির কূটনীতিক উইং কাজ করছে, যাতে চূড়ান্ত আন্দোলন শুরু হলে তা দ্রুত একটি পরিণতির দিকে অগ্রসর হয়।