ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

শ্রমিক অসন্তোষের মধ্যে ঢাকার শতাধিক পোশাক কারখানা বন্ধ ঘোষণা

  • সূর্যোদয় ডেস্ক:
  • আপডেট সময় ০১:১৬:৪৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ নভেম্বর ২০২৩
  • ১১২২ বার পড়া হয়েছে

শ্রমিক অসন্তোষের কারণে ঢাকার সাভার, আশুলিয়া ও ধামরাইয়ে ১৩০টি পোশাক কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এসব কারখানার শ্রমিকেরা আজ শনিবার সকালে কর্মস্থলে এসে বন্ধের নোটিশ দেখে চলে গেছেন। তবে কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।

শিল্প পুলিশ-১-এর পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ সারোয়ার আলম ১৩০টি কারখানা বন্ধের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, যেসব কারখানার শ্রমিকেরা কর্মস্থলে উপস্থিত হয়ে কাজ করেন না, শ্রম আইন অনুযায়ী ওই সব কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

পুলিশ জানায়, মজুরি বাড়ানোর দাবিতে আশুলিয়ার বিভিন্ন পোশাক কারখানার শ্রমিকেরা এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে আন্দোলন করে আসছিলেন। শ্রমিক আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে যেকোনো ধরনের বিশৃঙ্খলতা এড়াতে কর্তৃপক্ষ আজ শনিবার থেকে বেশ কিছু কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে দিয়েছে।

সকাল ৮টার দিকে আশুলিয়ার জামগড়া, ছয়তলা, নরসিংহপুর ও কাঠগড়া এলাকায় গিয়ে দি রোজ ড্রেসেস লিমিটেড, দ্যাটস ইট স্পোর্টস ওয়্যার লিমিটেড, অনন্ত গার্মেন্টস লিমিটেড, হা-মীম, শারমীন, পাইওনিয়ার লিমিটেড এবং আশুলিয়ার কাঠগড়া এলাকার এআর জিন্স প্রডিউসার লিমিটেড, ডুকাটি অ্যাপারেলস লিমিটেড, আগামী অ্যাপারেলস লিমিটেড, ক্রসওয়্যার লিমিটেড, ছেইন অ্যাপারেলস লিমিটেড, টেক্সটাউন লিমিটেড, অরনেট নিট গার্মেন্টস ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডসহ শতাধিক পোশাক কারখানার গেটে কারখানা বন্ধের নোটিশ দেখা গেছে। নোটিশে কাজ না করে বসে থাকা, ভাঙচুরসহ বেশ কিছু কারণ উল্লেখ করা হয়েছে।

কাঠগড়া এলাকার আগামী এ্যাপারেলস লিমিটেড কারখানার নোটিশে উল্লেখ করা হয়, গত ৩১ অক্টোবর থেকে ৪ নভেম্বর পর্যন্ত শ্রমিকেরা কারখানায় এসে ফেইস পাঞ্চ করেন। তাঁরা কোনো ধরনের আলোচনা ছাড়াই উৎপাদন কার্যক্রম বন্ধ রেখে চিৎকার-চেঁচামেচি করেন। পরে অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি করার পর কারখানা ত্যাগ করে বাইরে চলে যান। এতে নিরুপায় হয়ে কারখানা কর্তৃপক্ষ সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে। পরে শ্রমিকেরা ৫ নভেম্বর কাজে যোগ দিয়ে ৭ নভেম্বর পর্যন্ত কাজ করেন। ৭ নভেম্বর বেতন দেওয়া হলে ৮ নভেম্বর থেকে তারা আবারও কাজ বন্ধ করে আন্দোলন করতে থাকেন। এ অবস্থায় কারখানা কর্তৃপক্ষ বাধ্য হয়ে আজ শনিবার থেকে বাংলাদেশ শ্রম আইন, ২০০৬-এর ১৩ (১) ধারা মোতাবেক অনির্দিষ্ট কালের জন্য কারখানা বন্ধ ঘোষণা করে।

শিল্প পুলিশ-১-এর পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ সারোয়ার আলম বলেন, ‘গত বুধ ও বৃহস্পতিবারের তুলনায় আজকের পরিস্থিতি অনেকটাই ভালো আছে। বেশির ভাগ কারখানায় শান্তিপূর্ণভাবে কাজ চলছে। তবে শ্রমিক অসন্তোষের কারণে শ্রম আইনের ১৩ (১) ধারায় আশুলিয়া, সাভার ও ধামরাইয়ে ১৩০টি পোশাক কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে । যেসব কারখানা চলছে, ওই সব কারখানার  নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য আমাদের সর্বাত্মক প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে এবং থাকবে।’

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

আজকের সূর্যোদয়

আজকের সূর্যোদয় প্রত্রিকায় আপনাদের স্বাগতম। ‍আমাদের নিউজ পড়ুন এবং বিজ্ঞাপন দিয়ে আমাদের পাশে থাকুন।

বরিশালে মুজিবিয়ানের ৮৭ নেতাকে খুঁজছে গোয়েন্দা সংস্থা

শ্রমিক অসন্তোষের মধ্যে ঢাকার শতাধিক পোশাক কারখানা বন্ধ ঘোষণা

আপডেট সময় ০১:১৬:৪৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ নভেম্বর ২০২৩

শ্রমিক অসন্তোষের কারণে ঢাকার সাভার, আশুলিয়া ও ধামরাইয়ে ১৩০টি পোশাক কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এসব কারখানার শ্রমিকেরা আজ শনিবার সকালে কর্মস্থলে এসে বন্ধের নোটিশ দেখে চলে গেছেন। তবে কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।

শিল্প পুলিশ-১-এর পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ সারোয়ার আলম ১৩০টি কারখানা বন্ধের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, যেসব কারখানার শ্রমিকেরা কর্মস্থলে উপস্থিত হয়ে কাজ করেন না, শ্রম আইন অনুযায়ী ওই সব কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

পুলিশ জানায়, মজুরি বাড়ানোর দাবিতে আশুলিয়ার বিভিন্ন পোশাক কারখানার শ্রমিকেরা এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে আন্দোলন করে আসছিলেন। শ্রমিক আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে যেকোনো ধরনের বিশৃঙ্খলতা এড়াতে কর্তৃপক্ষ আজ শনিবার থেকে বেশ কিছু কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে দিয়েছে।

সকাল ৮টার দিকে আশুলিয়ার জামগড়া, ছয়তলা, নরসিংহপুর ও কাঠগড়া এলাকায় গিয়ে দি রোজ ড্রেসেস লিমিটেড, দ্যাটস ইট স্পোর্টস ওয়্যার লিমিটেড, অনন্ত গার্মেন্টস লিমিটেড, হা-মীম, শারমীন, পাইওনিয়ার লিমিটেড এবং আশুলিয়ার কাঠগড়া এলাকার এআর জিন্স প্রডিউসার লিমিটেড, ডুকাটি অ্যাপারেলস লিমিটেড, আগামী অ্যাপারেলস লিমিটেড, ক্রসওয়্যার লিমিটেড, ছেইন অ্যাপারেলস লিমিটেড, টেক্সটাউন লিমিটেড, অরনেট নিট গার্মেন্টস ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডসহ শতাধিক পোশাক কারখানার গেটে কারখানা বন্ধের নোটিশ দেখা গেছে। নোটিশে কাজ না করে বসে থাকা, ভাঙচুরসহ বেশ কিছু কারণ উল্লেখ করা হয়েছে।

কাঠগড়া এলাকার আগামী এ্যাপারেলস লিমিটেড কারখানার নোটিশে উল্লেখ করা হয়, গত ৩১ অক্টোবর থেকে ৪ নভেম্বর পর্যন্ত শ্রমিকেরা কারখানায় এসে ফেইস পাঞ্চ করেন। তাঁরা কোনো ধরনের আলোচনা ছাড়াই উৎপাদন কার্যক্রম বন্ধ রেখে চিৎকার-চেঁচামেচি করেন। পরে অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি করার পর কারখানা ত্যাগ করে বাইরে চলে যান। এতে নিরুপায় হয়ে কারখানা কর্তৃপক্ষ সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে। পরে শ্রমিকেরা ৫ নভেম্বর কাজে যোগ দিয়ে ৭ নভেম্বর পর্যন্ত কাজ করেন। ৭ নভেম্বর বেতন দেওয়া হলে ৮ নভেম্বর থেকে তারা আবারও কাজ বন্ধ করে আন্দোলন করতে থাকেন। এ অবস্থায় কারখানা কর্তৃপক্ষ বাধ্য হয়ে আজ শনিবার থেকে বাংলাদেশ শ্রম আইন, ২০০৬-এর ১৩ (১) ধারা মোতাবেক অনির্দিষ্ট কালের জন্য কারখানা বন্ধ ঘোষণা করে।

শিল্প পুলিশ-১-এর পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ সারোয়ার আলম বলেন, ‘গত বুধ ও বৃহস্পতিবারের তুলনায় আজকের পরিস্থিতি অনেকটাই ভালো আছে। বেশির ভাগ কারখানায় শান্তিপূর্ণভাবে কাজ চলছে। তবে শ্রমিক অসন্তোষের কারণে শ্রম আইনের ১৩ (১) ধারায় আশুলিয়া, সাভার ও ধামরাইয়ে ১৩০টি পোশাক কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে । যেসব কারখানা চলছে, ওই সব কারখানার  নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য আমাদের সর্বাত্মক প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে এবং থাকবে।’