গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে মৃত্যুদণ্ড সাজাপ্রাপ্ত এক কয়েদি আত্মহত্যা করেছেন বলে জানা গেছে। এ ঘটনায় কারারক্ষী রফিকুল ইসলামকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। বিষয়টি তদন্তের জন্য গঠন করা হয়েছে তদন্ত কমিটি।
বৃহস্পতিবার সকালে ওই কয়েদি আত্মহত্যা করেন। এ ঘটনায় প্রধান কারারক্ষী হামিদ গাজী, সহকারী প্রধান মঈন উদ্দীন ও কারারক্ষী রফিফুল ইসলামের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা করা হয়েছে।
নিহত কয়েদির নাম নজরুল ইসলাম (৩০)। তিনি কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার পাবদা গ্রামের সোহরাব উদ্দিনের ছেলে।
কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার সুব্রত কুমার বালা জানান, ২০২১ সালের ২০ মার্চ থেকে গাজীপুরের কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি ছিলেন নজরুল ইসলাম (৩০)। তিনি স্ত্রী ও সন্তান হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ড সাজাপ্রাপ্ত আসামি ছিলেন। মানসিক রোগে আক্রান্ত হয়ে তিনি চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা গ্রহণ করছিলেন। বৃহস্পতিবার সকালে তাকে কারাগারের মানসিক রোগের ওয়ার্ডে দরজার নেট দিয়ে সিলিং ফ্যানের সাথে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় ঝুলতে দেখে কারারক্ষীরা। তাৎক্ষণিকভাবে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে কারা হাসপাতালে নেয়া হয়। পরে অবস্থার অবনতি দেখে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ময়নাতদন্ত শেষে নজরুল ইসলামের লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
তিনি আরো জানান, এ ঘটনায় দায়িত্বে অবহেলার কারণে কারারক্ষী রফিকুল ইসলামকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এছাড়াও সর্বপ্রধান কারারক্ষী হামিদ গাজী, সহকারী প্রধান মঈন উদ্দীন ও কারারক্ষী রফিফুল ইসলামের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা করা হয়েছে।
ওই কারা কর্মকর্তা আরো জানান, ঘটনা তদন্তের জন্য চার সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কারাগারের জেলার লুৎফর রহমানকে তদন্ত কমিটির প্রধান করা হয়েছে। কমিটিতে একজন ডেপুটি জেলার, একজন ফার্মাসিস্ট ও একজন কারারক্ষীকে সদস্য করা হয়েছে। তদন্ত কমিটিকে পাঁচ কার্য দিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।