ঢাকা , সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

বিরোধী দলগুলোকে নানা টোপ-চাপ

দীর্ঘদিন ধরে নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে বিএনপির সাথে সরকারবিরোধী আন্দোলনে থাকা বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোকে সরকারের পক্ষ থেকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে নানা ধরেনের টোপ ও চাপ দেয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে বিরোধী শিবিরে। বিএনপির দীর্ঘ সময়ের মিত্র বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির নেতৃত্বে নতুন একটি জোট এ সরকারের অধীনে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে অংশ নেয়ার ঘোষণা দিলে অভিযোগটি আরো স্পষ্টভাবে আলোচনায় আসে।
গতকাল বৃহস্পতিবার সমমনা বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর শীর্ষ নেতাদের সাথে কথা বললে সরকারের এসব টোপ ও চাপের অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করেছেন অনেকে।

বিরোধী দলগুলোর নেতাদের অভিযোগ, এ সরকারের অধীনে অতীতে একটিও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়নি এবং ভবিষ্যতেও তা হবে বলে জনগণ বিশ্বাস করে না। তারা মনে করেন, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ দীর্ঘ সময় ক্ষমতায় থেকে রাষ্ট্রের বিভিন্ন অর্গানগুলোকে ধ্বংস করে দিয়েছে। বিশেষ করে তারা জনগণের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যে অধিকার ‘ভোট’ তা কেড়ে নিয়েছে। তাই এ সরকারের অধীনে আর কোনো নির্বাচন নয়, সরকারের পতন ঘটানোর মাধ্যমে জনগণের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠাই তাদের প্রধান লক্ষ্য।

সরকারবিরোধী আন্দোলনে থাকা বিরোধী নেতারা আরো জানান, বর্তমান সরকার আরেকটি অবৈধ নির্বাচনকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য বিরোধী দলগুলোকে নানা প্রলোভন ও চাপ দিচ্ছে। তারা বলেছেন, এখন রাজনৈতিক দলগুলোর ঈমানি পরীক্ষা চলছে। যারা এ দেশের জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে বদ্ধপরিকর তারা কখনোই এ সরকারের কোনো প্রলোভন ও চাপের কাছে মাথানত করবে না। আর যারা সরকারের প্রস্তাবে রাজি হবে তারা জাতীয় বেঈমান হিসেবে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করবে।

সরকারের পক্ষ থেকে টোপ ও চাপের অভিযোগের বিষয় জানতে চাইলে গণতন্ত্র মঞ্চের অন্যতম নেতা ও বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক নয়া দিগন্তকে বলেন, সরকার বিভিন্ন বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোকে নানা পন্থায় নির্বাচনে অংশ নিতে চাপ সৃষ্টি করছে। কাউকে প্রলোভন আবার কাউকে হামলা-মামলা ও হয়রানির ভয় দেখানো হচ্ছে। তবে এটা সত্য কাদের কেনাবেচা করা যাবে বা কাদের ভয়ভীতি দেখালে কাজ হবে তা সরকারের ও তাদের বিভিন্ন সংস্থার স্পষ্ট ধারণা আছে। তাই এখনো আমাদের কাছে এ রকম কোনো টোপ বা চাপ আসেনি। হয়তো আমাদের লেভেলটা পর্যন্ত সেটা আসবেও না।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি বলেন, সরকার অতীতের সব স্বৈরাচারের মতো চাপ সৃষ্টি করে একটা অবৈধ নির্বাচন করতে মরিয়া হয়ে গেছে। সরকারের মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন তারা সেমিফাইনাল খেলায় জিতেছেন, এবার ফাইনাল খেলা। আমি মনে করি সরকার জনগণকে ভয় পায়, জনগণের পছন্দের রাজনৈতিক দলগুলোকে ভয় পায়। তাই তারা ফাইনাল খেলার জন্য ফোর্থ ডিভিশনের রাজনৈতিক দলগুলোকে অত্যন্ত নগ্নভাবে মাঠে নেয়ার চেষ্টা করছে। আমি মনে করি এটা আওয়ামী লীগ যে রাজনৈতিকভাবে দেউলিয়া হয়ে গেছে তার প্রমাণ।

সাকি বলেন, এসব ফোর্থ ডিভিশনের দলগুলোকে নিয়ে সরকারের শেষ রক্ষা হবে না। জনগণ রাজপথে সরকারের সব অবৈধ কার্যকালাপ প্রতিহত করে ভোটের অধীকারের আন্দোলনের বিজয় ঘটাবে।
লিবারেল ডেমোক্র্যাডিট পার্টি- এলডিপি চেয়ারম্যান কর্নেল অলি আহমদ নয়া দিগন্তকে বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে আমার সাথে সাত-আটবার প্রস্তাব নিয়ে যোগাযোগ করা হয়েছে। আমি তাদের বলেছি আল্লাহর অশেষ রহমতে ও জনগণের ভোটে আমি অনেকবার এমপি হয়েছি। আল্লাহ আমাকে তিনবার দেশের মন্ত্রী বানিয়েছেন। এই শেষ বয়সে এসে গরিব অসহায় মানুষের সাথে বেঈমানি করতে পারব না।

তিনি আরো বলেন, যারা দু’দিন আগে সরকারকে গালি দিয়ে এখন সরকারের কোলে উঠে বসেছে তাদেরকে দেশের জনগণ কিভাবে নিয়েছে তা আপনারা ফেসবুকে ঢুকলেই দেখতে পরবেন।

সরকারের পক্ষ থেকে নির্বাচনে অংশ নেয়ার প্রস্তাব পাওয়ার কথা স্বীকার করে গণতন্ত্র মঞ্চের অন্যতম নেতা ও ভাসানী অনুসারী পরিষদের সভাপতি রফিকুল ইসলাম বাবলু বলেন, তফসিল ঘোষণার পরপরই সরকারের পক্ষ থেকে নির্বাচনে যাওয়ার জন্য একাধিকবার প্রস্তাব এসেছে। আমি স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছি মৃত্যুর আগে বেঈমান হয়ে মরতে চাই না। সরকারের এই অবৈধ প্রস্তাবে রাজি হলে মৃত্যুর পর আমার সন্তানদেরও দেশের মানুষ বেঈমানের ছেলে বলে গালি দেবে। উকিল আবদুস সত্তারের পরিণতি বরণ করতে চাই না।

১২ দলীয় জোটের সমন্বয়ক শাহাদাত হোসেন সেলিম নয়া দিগন্তকে বলেন, আমরা যারা ২০১৮ সালের নির্বাচনে প্রার্থী ছিলাম তাদের প্রত্যেককেই নানা প্রলোভন ও ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে। তবে আমাদের অবস্থান স্পষ্ট। আমরা বিক্রি হবো না। আমাদের নিজস্ব সত্তাকে বিক্রি করব না।
এ দিকে সরকারের এসব চাপ ও টোপকে পাত্তা দিচ্ছে না বিএনপির সিনিয়র নেতা থেকে তৃণমূল নেতারা। তারা বলছেন, সরকার তাদের অস্তিত্ব সঙ্কটে আছে। সরকারের সাথে যারা যাবে তাদেরকে জাতি বেঈমান হিসেবে জানবে। আর ছোটখাটো দু-একটা দলকে সরকার তাদের পক্ষে নিলেও আন্দোলনে এর ন্যূনতম প্রভাব পরবে না। সরকারের পতন আন্দোলনের মাধ্যমেই নিশ্চিত করা হবে।

বিরোধী দলগুলোর কাছে সরকারের বিভিন্ন প্রলোভনের প্রস্তাবের বিষয় জানতে চাইলে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী নয়া দিগন্তকে বলেন, সরকার দেউলিয়া হয়ে গেছে। তাদের প্রলোভনে যারা পা দিবে তারা মোনাফিকের পরিচয় দেবে।

যারা সরকারের প্রলোভনে পা দিয়েছেন তাদের জন্য চলমান আন্দোলনে কোনো প্রভাব পড়বে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে রিজভী বলেন, অতীতে বহু বাঘা বাঘা নেতা দলের সাথে বেঈমানি করেছেন। কিন্তু দলের কিছু হয়নি। তারা ধ্বংস হয়ে গেছে। কারণ মানুষ মূল স্রোতের সাথে থাকে। বিচ্ছিন্নভাবে কেউ মোনাফেকি করলে তার ন্যূনতম প্রভাব চলমান গণতান্ত্রিক আন্দোলনে পড়বে না।

 

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

আজকের সূর্যোদয়

আজকের সূর্যোদয় প্রত্রিকায় আপনাদের স্বাগতম। ‍আমাদের নিউজ পড়ুন এবং বিজ্ঞাপন দিয়ে আমাদের পাশে থাকুন।

বরিশালে মুজিবিয়ানের ৮৭ নেতাকে খুঁজছে গোয়েন্দা সংস্থা

বিরোধী দলগুলোকে নানা টোপ-চাপ

আপডেট সময় ১২:০৫:৪১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৩

দীর্ঘদিন ধরে নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে বিএনপির সাথে সরকারবিরোধী আন্দোলনে থাকা বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোকে সরকারের পক্ষ থেকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে নানা ধরেনের টোপ ও চাপ দেয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে বিরোধী শিবিরে। বিএনপির দীর্ঘ সময়ের মিত্র বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির নেতৃত্বে নতুন একটি জোট এ সরকারের অধীনে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে অংশ নেয়ার ঘোষণা দিলে অভিযোগটি আরো স্পষ্টভাবে আলোচনায় আসে।
গতকাল বৃহস্পতিবার সমমনা বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর শীর্ষ নেতাদের সাথে কথা বললে সরকারের এসব টোপ ও চাপের অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করেছেন অনেকে।

বিরোধী দলগুলোর নেতাদের অভিযোগ, এ সরকারের অধীনে অতীতে একটিও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়নি এবং ভবিষ্যতেও তা হবে বলে জনগণ বিশ্বাস করে না। তারা মনে করেন, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ দীর্ঘ সময় ক্ষমতায় থেকে রাষ্ট্রের বিভিন্ন অর্গানগুলোকে ধ্বংস করে দিয়েছে। বিশেষ করে তারা জনগণের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যে অধিকার ‘ভোট’ তা কেড়ে নিয়েছে। তাই এ সরকারের অধীনে আর কোনো নির্বাচন নয়, সরকারের পতন ঘটানোর মাধ্যমে জনগণের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠাই তাদের প্রধান লক্ষ্য।

সরকারবিরোধী আন্দোলনে থাকা বিরোধী নেতারা আরো জানান, বর্তমান সরকার আরেকটি অবৈধ নির্বাচনকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য বিরোধী দলগুলোকে নানা প্রলোভন ও চাপ দিচ্ছে। তারা বলেছেন, এখন রাজনৈতিক দলগুলোর ঈমানি পরীক্ষা চলছে। যারা এ দেশের জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে বদ্ধপরিকর তারা কখনোই এ সরকারের কোনো প্রলোভন ও চাপের কাছে মাথানত করবে না। আর যারা সরকারের প্রস্তাবে রাজি হবে তারা জাতীয় বেঈমান হিসেবে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করবে।

সরকারের পক্ষ থেকে টোপ ও চাপের অভিযোগের বিষয় জানতে চাইলে গণতন্ত্র মঞ্চের অন্যতম নেতা ও বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক নয়া দিগন্তকে বলেন, সরকার বিভিন্ন বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোকে নানা পন্থায় নির্বাচনে অংশ নিতে চাপ সৃষ্টি করছে। কাউকে প্রলোভন আবার কাউকে হামলা-মামলা ও হয়রানির ভয় দেখানো হচ্ছে। তবে এটা সত্য কাদের কেনাবেচা করা যাবে বা কাদের ভয়ভীতি দেখালে কাজ হবে তা সরকারের ও তাদের বিভিন্ন সংস্থার স্পষ্ট ধারণা আছে। তাই এখনো আমাদের কাছে এ রকম কোনো টোপ বা চাপ আসেনি। হয়তো আমাদের লেভেলটা পর্যন্ত সেটা আসবেও না।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি বলেন, সরকার অতীতের সব স্বৈরাচারের মতো চাপ সৃষ্টি করে একটা অবৈধ নির্বাচন করতে মরিয়া হয়ে গেছে। সরকারের মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন তারা সেমিফাইনাল খেলায় জিতেছেন, এবার ফাইনাল খেলা। আমি মনে করি সরকার জনগণকে ভয় পায়, জনগণের পছন্দের রাজনৈতিক দলগুলোকে ভয় পায়। তাই তারা ফাইনাল খেলার জন্য ফোর্থ ডিভিশনের রাজনৈতিক দলগুলোকে অত্যন্ত নগ্নভাবে মাঠে নেয়ার চেষ্টা করছে। আমি মনে করি এটা আওয়ামী লীগ যে রাজনৈতিকভাবে দেউলিয়া হয়ে গেছে তার প্রমাণ।

সাকি বলেন, এসব ফোর্থ ডিভিশনের দলগুলোকে নিয়ে সরকারের শেষ রক্ষা হবে না। জনগণ রাজপথে সরকারের সব অবৈধ কার্যকালাপ প্রতিহত করে ভোটের অধীকারের আন্দোলনের বিজয় ঘটাবে।
লিবারেল ডেমোক্র্যাডিট পার্টি- এলডিপি চেয়ারম্যান কর্নেল অলি আহমদ নয়া দিগন্তকে বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে আমার সাথে সাত-আটবার প্রস্তাব নিয়ে যোগাযোগ করা হয়েছে। আমি তাদের বলেছি আল্লাহর অশেষ রহমতে ও জনগণের ভোটে আমি অনেকবার এমপি হয়েছি। আল্লাহ আমাকে তিনবার দেশের মন্ত্রী বানিয়েছেন। এই শেষ বয়সে এসে গরিব অসহায় মানুষের সাথে বেঈমানি করতে পারব না।

তিনি আরো বলেন, যারা দু’দিন আগে সরকারকে গালি দিয়ে এখন সরকারের কোলে উঠে বসেছে তাদেরকে দেশের জনগণ কিভাবে নিয়েছে তা আপনারা ফেসবুকে ঢুকলেই দেখতে পরবেন।

সরকারের পক্ষ থেকে নির্বাচনে অংশ নেয়ার প্রস্তাব পাওয়ার কথা স্বীকার করে গণতন্ত্র মঞ্চের অন্যতম নেতা ও ভাসানী অনুসারী পরিষদের সভাপতি রফিকুল ইসলাম বাবলু বলেন, তফসিল ঘোষণার পরপরই সরকারের পক্ষ থেকে নির্বাচনে যাওয়ার জন্য একাধিকবার প্রস্তাব এসেছে। আমি স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছি মৃত্যুর আগে বেঈমান হয়ে মরতে চাই না। সরকারের এই অবৈধ প্রস্তাবে রাজি হলে মৃত্যুর পর আমার সন্তানদেরও দেশের মানুষ বেঈমানের ছেলে বলে গালি দেবে। উকিল আবদুস সত্তারের পরিণতি বরণ করতে চাই না।

১২ দলীয় জোটের সমন্বয়ক শাহাদাত হোসেন সেলিম নয়া দিগন্তকে বলেন, আমরা যারা ২০১৮ সালের নির্বাচনে প্রার্থী ছিলাম তাদের প্রত্যেককেই নানা প্রলোভন ও ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে। তবে আমাদের অবস্থান স্পষ্ট। আমরা বিক্রি হবো না। আমাদের নিজস্ব সত্তাকে বিক্রি করব না।
এ দিকে সরকারের এসব চাপ ও টোপকে পাত্তা দিচ্ছে না বিএনপির সিনিয়র নেতা থেকে তৃণমূল নেতারা। তারা বলছেন, সরকার তাদের অস্তিত্ব সঙ্কটে আছে। সরকারের সাথে যারা যাবে তাদেরকে জাতি বেঈমান হিসেবে জানবে। আর ছোটখাটো দু-একটা দলকে সরকার তাদের পক্ষে নিলেও আন্দোলনে এর ন্যূনতম প্রভাব পরবে না। সরকারের পতন আন্দোলনের মাধ্যমেই নিশ্চিত করা হবে।

বিরোধী দলগুলোর কাছে সরকারের বিভিন্ন প্রলোভনের প্রস্তাবের বিষয় জানতে চাইলে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী নয়া দিগন্তকে বলেন, সরকার দেউলিয়া হয়ে গেছে। তাদের প্রলোভনে যারা পা দিবে তারা মোনাফিকের পরিচয় দেবে।

যারা সরকারের প্রলোভনে পা দিয়েছেন তাদের জন্য চলমান আন্দোলনে কোনো প্রভাব পড়বে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে রিজভী বলেন, অতীতে বহু বাঘা বাঘা নেতা দলের সাথে বেঈমানি করেছেন। কিন্তু দলের কিছু হয়নি। তারা ধ্বংস হয়ে গেছে। কারণ মানুষ মূল স্রোতের সাথে থাকে। বিচ্ছিন্নভাবে কেউ মোনাফেকি করলে তার ন্যূনতম প্রভাব চলমান গণতান্ত্রিক আন্দোলনে পড়বে না।