ঢাকা , বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

জানি কারা আমাকে মারার চেষ্টা করছে: শামীম ওসমান

  • সূর্যোদয় ডেস্ক:
  • আপডেট সময় ০৬:৩৬:১৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৩
  • ১১১৪ বার পড়া হয়েছে

নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য শামীম ওসমান বলেছেন, ‘আমি যখন নির্বাচনের জন্য আনুষ্ঠানিক প্রচারণা শুরু করব, তখন আমাকে মেরে ফেলার চেষ্টা করা হবে। আমি জানি কারা আমাকে মারার চেষ্টা করছে। আমিও বলছি, চেষ্টা করুক আমাকে মারার। তবে বোমা হামলা যেনো না করা হয়। এর আগে বোমা হামলায় আমার সঙ্গের ২০ কর্মীকে হারিয়েছি। মারার চেষ্টা করা হলে যেনো আমাকে একা মারার চেষ্টা করা হয়। আমার নেতাকর্মীদের যেনো না মারা হয়।’

আজ মঙ্গলবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাব ভবনের একটি রেস্টুরেন্টে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

সংবাদ সম্মেলনে শামীম ওসমান আরও বলেন, ‘বিএনপি ২০০১-এ ক্ষমতায় আসার পর আমার আসনের ১৬ নেতাকর্মীকে হত্যা করা হয়েছিল। আমরা ২০০৮ থেকে ক্ষমতায় আছি। আমি ২০১৪ থেকে সংসদ সদস্য। এতো সময়ে কোনদিন কাউকে আমরা ফুলের টোকাও দেই নাই।’

বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য গিয়াস উদ্দিনকে ইঙ্গিত করে শামীম ওসমান বলেন, ‘বিএনপির কমিটিতে দেখলাম হঠাৎ পরিবর্তন করা হয়েছে। সেখানে একজন নেতাকে জেলার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তিনি বিএনপির নারায়ণগঞ্জ জেলার দায়িত্ব নেওয়ার পর অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরির চেষ্টা করে যাচ্ছে। বিএনিপর কর্মসূচিগুলোতে নারায়ণগঞ্জের আড়াই হাজারে পুলিশের ওপর হামলা করা হলো। আহত পুলিশ সদস্যকে চিকিৎসা দিতে নিয়ে যাওয়ার সময় সেখানেও তাকে আঘাত করার হয়েছিল। ওই নেতা তো কয়েকদিন পরপর পল্টি দেয়। তার তো কিছু হবে না।’

শামীম ওসমান আরও বলেন, ‘এখন সবার হাতেই মোবাইল ফোন। পুলিশের কাছে, সাংবাদিকদের কাছে এবং আমার কাছেও বিভিন্ন ঘটনার ভিডিও আছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে কারা নাশকতা করছে। এই ফুটেজ দেখে তাদের আইনের আওতায় আনা হচ্ছে। এদের ভবিষ্যৎ তাহলে কি। এই ঘটনায় বিএনপির ওই নেতার কিছু হবে না। সে তো নির্দেশ দিয়ে নিজেই লুকিয়ে গেছে। কিন্তু যারা মাঠে এ সব করছে তাদের জীবন কিন্তু শেষ। আমার কাছে প্রায় ৩০টি বিএনপি কর্মীর বাড়ি থেকে ফোন এসেছে। কিন্তু আমি কি করতে পারি। তাদের সকলের কর্মকাণ্ডের ভিডিও ফুটেজ পুলিশের কাছে আছে। তবে আমি একটি কথা বলতে চাই যাতে কোনো নির্দোষ লোককে যেনো শাস্তি পেতে না হয়।’

সংবাদ সম্মেলনে শামীম ওসমান বলেন, ‘নির্বাচন সঠিক সময়েই হবে। সেইটা শান্তিপূর্ণ ভাবে হবে। নির্বাচনের পরে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক আরও ভালো হবে। আমি দৃঢ় কণ্ঠে বলতে চাই, শেখ হাসিনা হিমালয়ের চেয়েও বেশি শক্তিশালী। হিমালয় গলে যাবে কিন্তু শেখ হাসিনাকে টলানো যাবে না।’

নারায়ণগঞ্জকে আরও সুন্দর করে সাজাতে চান উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোড যেটার নামকরণ করা হয়েছে একেএম সামছুজ্জোহা সড়ক। কাজ শেষ হলে দেখতে পারবেন এটা কি সড়ক হয়েছে। নাগিনা জোহা সড়ক হয়েছে চানমারি থেকে আদমজী পর্যন্ত। সামসুজ্জোহা সড়কের পাশে বিশ্ববিদ্যালয় হবে, ৫০০ শয্যা বিশিষ্ট মেডিকেল কলেজ হবে, শেখ কামাল আইটি ইন্সটিটিউট হবে। এমন আরও অনেক অনেক বড় বড় প্রকল্পে কাজ হবে। মেট্রোরেলকে মতিঝিল থেকে নারায়ণগঞ্জ পর্যন্ত নিয়ে আসব ইনশাআল্লাহ। আমরা স্কুলের নতুন ভবন নির্মাণ করেছি ৫৮টি। নাসিম ওসমান সেতু হয়েছে। আল্লাহ যদি আগামীতে ক্ষমতায় আনে তাহলে আমার বেশ কিছু কাজ করার পরিকল্পনা আছে।’

সংবাদ সম্মেলনে শামিম ওসমানের সঙ্গে আরও উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বাবু চন্দনশীল, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত শহীদ বাদল, নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট খোকন সাহাসহ আরও অনেকে।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

আজকের সূর্যোদয়

আজকের সূর্যোদয় প্রত্রিকায় আপনাদের স্বাগতম। ‍আমাদের নিউজ পড়ুন এবং বিজ্ঞাপন দিয়ে আমাদের পাশে থাকুন।

বরিশালে মুজিবিয়ানের ৮৭ নেতাকে খুঁজছে গোয়েন্দা সংস্থা

জানি কারা আমাকে মারার চেষ্টা করছে: শামীম ওসমান

আপডেট সময় ০৬:৩৬:১৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৩

নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য শামীম ওসমান বলেছেন, ‘আমি যখন নির্বাচনের জন্য আনুষ্ঠানিক প্রচারণা শুরু করব, তখন আমাকে মেরে ফেলার চেষ্টা করা হবে। আমি জানি কারা আমাকে মারার চেষ্টা করছে। আমিও বলছি, চেষ্টা করুক আমাকে মারার। তবে বোমা হামলা যেনো না করা হয়। এর আগে বোমা হামলায় আমার সঙ্গের ২০ কর্মীকে হারিয়েছি। মারার চেষ্টা করা হলে যেনো আমাকে একা মারার চেষ্টা করা হয়। আমার নেতাকর্মীদের যেনো না মারা হয়।’

আজ মঙ্গলবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাব ভবনের একটি রেস্টুরেন্টে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

সংবাদ সম্মেলনে শামীম ওসমান আরও বলেন, ‘বিএনপি ২০০১-এ ক্ষমতায় আসার পর আমার আসনের ১৬ নেতাকর্মীকে হত্যা করা হয়েছিল। আমরা ২০০৮ থেকে ক্ষমতায় আছি। আমি ২০১৪ থেকে সংসদ সদস্য। এতো সময়ে কোনদিন কাউকে আমরা ফুলের টোকাও দেই নাই।’

বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য গিয়াস উদ্দিনকে ইঙ্গিত করে শামীম ওসমান বলেন, ‘বিএনপির কমিটিতে দেখলাম হঠাৎ পরিবর্তন করা হয়েছে। সেখানে একজন নেতাকে জেলার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তিনি বিএনপির নারায়ণগঞ্জ জেলার দায়িত্ব নেওয়ার পর অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরির চেষ্টা করে যাচ্ছে। বিএনিপর কর্মসূচিগুলোতে নারায়ণগঞ্জের আড়াই হাজারে পুলিশের ওপর হামলা করা হলো। আহত পুলিশ সদস্যকে চিকিৎসা দিতে নিয়ে যাওয়ার সময় সেখানেও তাকে আঘাত করার হয়েছিল। ওই নেতা তো কয়েকদিন পরপর পল্টি দেয়। তার তো কিছু হবে না।’

শামীম ওসমান আরও বলেন, ‘এখন সবার হাতেই মোবাইল ফোন। পুলিশের কাছে, সাংবাদিকদের কাছে এবং আমার কাছেও বিভিন্ন ঘটনার ভিডিও আছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে কারা নাশকতা করছে। এই ফুটেজ দেখে তাদের আইনের আওতায় আনা হচ্ছে। এদের ভবিষ্যৎ তাহলে কি। এই ঘটনায় বিএনপির ওই নেতার কিছু হবে না। সে তো নির্দেশ দিয়ে নিজেই লুকিয়ে গেছে। কিন্তু যারা মাঠে এ সব করছে তাদের জীবন কিন্তু শেষ। আমার কাছে প্রায় ৩০টি বিএনপি কর্মীর বাড়ি থেকে ফোন এসেছে। কিন্তু আমি কি করতে পারি। তাদের সকলের কর্মকাণ্ডের ভিডিও ফুটেজ পুলিশের কাছে আছে। তবে আমি একটি কথা বলতে চাই যাতে কোনো নির্দোষ লোককে যেনো শাস্তি পেতে না হয়।’

সংবাদ সম্মেলনে শামীম ওসমান বলেন, ‘নির্বাচন সঠিক সময়েই হবে। সেইটা শান্তিপূর্ণ ভাবে হবে। নির্বাচনের পরে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক আরও ভালো হবে। আমি দৃঢ় কণ্ঠে বলতে চাই, শেখ হাসিনা হিমালয়ের চেয়েও বেশি শক্তিশালী। হিমালয় গলে যাবে কিন্তু শেখ হাসিনাকে টলানো যাবে না।’

নারায়ণগঞ্জকে আরও সুন্দর করে সাজাতে চান উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোড যেটার নামকরণ করা হয়েছে একেএম সামছুজ্জোহা সড়ক। কাজ শেষ হলে দেখতে পারবেন এটা কি সড়ক হয়েছে। নাগিনা জোহা সড়ক হয়েছে চানমারি থেকে আদমজী পর্যন্ত। সামসুজ্জোহা সড়কের পাশে বিশ্ববিদ্যালয় হবে, ৫০০ শয্যা বিশিষ্ট মেডিকেল কলেজ হবে, শেখ কামাল আইটি ইন্সটিটিউট হবে। এমন আরও অনেক অনেক বড় বড় প্রকল্পে কাজ হবে। মেট্রোরেলকে মতিঝিল থেকে নারায়ণগঞ্জ পর্যন্ত নিয়ে আসব ইনশাআল্লাহ। আমরা স্কুলের নতুন ভবন নির্মাণ করেছি ৫৮টি। নাসিম ওসমান সেতু হয়েছে। আল্লাহ যদি আগামীতে ক্ষমতায় আনে তাহলে আমার বেশ কিছু কাজ করার পরিকল্পনা আছে।’

সংবাদ সম্মেলনে শামিম ওসমানের সঙ্গে আরও উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বাবু চন্দনশীল, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত শহীদ বাদল, নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট খোকন সাহাসহ আরও অনেকে।