ঢাকা , সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

কলা নিঃসন্দেহে উপকারী, কিন্তু বেশি খেলে হবে মারাত্মক ক্ষতি

  • সূর্যোদয় ডেস্ক:
  • আপডেট সময় ০১:১০:২১ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩ ডিসেম্বর ২০২৩
  • ১১৩০ বার পড়া হয়েছে

সস্তায় অত্যন্ত উপকারী একটি ফল হল কলা। এতে রয়েছে ভিটামিন সি, ভিটামিন বি৬, পটাশিয়াম, ফাইবার সহ একাধিক জরুরি উপাদান। তাই শরীরে পুষ্টির ঘাটতি মিটিয়ে ফেলার ইচ্ছা থাকলে যে নিয়মিত এই ফল খেতেই হবে, তা তো বলাই বাহুল্য! শুধু তাই নয়, একটা মাঝারি মাপের কলা থেকে মেলে প্রায় ৮৯ ক্যালোরি। তাই তো চটজলদি এনার্জি বাড়ানোর কাজেও কলার জুড়ি মেলা ভার। তবে এহেন উপকারী কলাও বেশি পরিমাণে খেলে শরীরের একাধিক ক্ষতি হতে পারে। এমনকী পিছু নিতে পারে নানাবিধ ছোট-বড় শারীরিক সমস্যা।

তাই আর সময় নষ্ট না করে আপনিও প্রতিদিন একগাদা কলা খাওয়ার নেচিবাচক দিকগুলো সম্পর্কে জেনে নিন। আশা করছি, এই প্রতিবেদনটি পড়ার পর আপনার চোখ খুলে যাবে। আপনিও আর দিনে দুই-তিনটির বেশি কলা খাবেন না।

বাড়তে পারে ওজন

ওজন স্বাভাবিকের থেকে বেশি থাকাটা কোনো কাজের কথা নয়। এমনকি এই কারণে একাধিক ঘাতক অসুখের ফাঁদে পড়ার আশঙ্কাও বাড়ে বৈকি! জানলে অবাক হবেন, নিয়মিত একগাদা কলা খেলে ওজন বাড়বে বই কমবে না। তাই ওজনকে স্বাভাবিকের গণ্ডিতে নামিয়ে আনার ইচ্ছা থাকলে কলা খাওয়ার উপর লাগাম টানুন। যাদের ওজন স্বাভাবিকের থেকে অনেকটা বেশি, তারা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ ছাড়া এই ফলে কামড় বসাবেন না। নইলে অচিরেই পিছু নেবে নানাবিধ রোগ।

কোষ্ঠকাঠিন্যের ভ্রূকুটি

কলায় রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে স্টার্চ। এই উপাদান কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা বাড়াতে পারে। তাই কনস্টিপেশন রোগীরা দিনে দুটির বেশি কলা কোনো মতেই খাবেন না। এই ভুলের ফাঁদে পা দিলেই ভুগতে হবে। ঠিক একইভাবে পাইলস বা অর্শ রোগীরাও এই নিয়মটা মেনে চলুন। নইলে আপনাদের ভোগান্তি বাড়বে বই কমবে না।

পিছু নেবে পেটের সমস্যা

বিশেষজ্ঞদের কথায়, কলায় রয়েছে ফাইবারের ভাণ্ডার। তাই নিয়মিত কলা খেলে পেটের স্বাস্থ্যের উন্নতিই হবে। এমনকি এড়িয়ে চলা যাবে গ্যাস, অ্যাসিডিটির ফাঁদ। তবে কোনো জিনিসই মাত্রাতিরিক্ত ভালো নয়। ঠিক একইভাবে অত্যধিক পরিমাণে কলা খেলে দেহে ফাইবার ওভারলোড হওয়ার আশঙ্কা বাড়ে। এই কারণেই পিছু নিতে পারে একাধিক ছোট-বড় পেটের সমস্যা। তাই পেট বাবাজির খেয়াল রাখতে চাইলে বেশি সংখ্যক কলা খাবেন না।

বাড়তে পারে ব্লাড সুগার

এই ফলের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স বেশ কিছুটা উপরের দিকে। তাই নিয়মিত অত্যধিক পরিমাণে কলা খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা যে ঊর্ধ্বমুখী হবে, তা তো বলাই বাহুল্য! এই কারণেই চিকিৎসকেরা ডায়াবেটিস রোগীদের প্রতিদিন কলা খেতে বারণ করেন। নইলে যে সমস্যার শেষ থাকবে না। এমনকি আপনার এই ভুলের সুবাদে ওষুধের ডোজ বাড়ানোরও প্রয়োজন পড়তে পারে। তাই মধুমেহ রোগীরা কলা খাওয়ার আগে অবশ্যই সতর্ক হন।

দাঁতের হাল হবে খারাপ

কলায় বেশ কিছুটা পরিমাণে মিষ্টি মজুত রয়েছে। এই মিষ্টি সরাসরি দাঁতের ক্ষতি করার ক্ষমতা রাখে। এমনকি এই ফল বেশি সংখ্যায় খেলে ক্যাবিটিসের মতো জটিল দাঁতের অসুখের খপ্পরে পড়ার আশঙ্কাও বাড়ে। তাই সারাজীবন দন্তবিকশিত করে হাসার ইচ্ছা থাকলে আপনাকে কলা খাওয়ার উপর নিয়ন্ত্রণ আনতেই হবে। তাতেই আপনার সুস্থ থাকার পথ প্রশস্ত হবে।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

আজকের সূর্যোদয়

আজকের সূর্যোদয় প্রত্রিকায় আপনাদের স্বাগতম। ‍আমাদের নিউজ পড়ুন এবং বিজ্ঞাপন দিয়ে আমাদের পাশে থাকুন।

বরিশালে মুজিবিয়ানের ৮৭ নেতাকে খুঁজছে গোয়েন্দা সংস্থা

কলা নিঃসন্দেহে উপকারী, কিন্তু বেশি খেলে হবে মারাত্মক ক্ষতি

আপডেট সময় ০১:১০:২১ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩ ডিসেম্বর ২০২৩

সস্তায় অত্যন্ত উপকারী একটি ফল হল কলা। এতে রয়েছে ভিটামিন সি, ভিটামিন বি৬, পটাশিয়াম, ফাইবার সহ একাধিক জরুরি উপাদান। তাই শরীরে পুষ্টির ঘাটতি মিটিয়ে ফেলার ইচ্ছা থাকলে যে নিয়মিত এই ফল খেতেই হবে, তা তো বলাই বাহুল্য! শুধু তাই নয়, একটা মাঝারি মাপের কলা থেকে মেলে প্রায় ৮৯ ক্যালোরি। তাই তো চটজলদি এনার্জি বাড়ানোর কাজেও কলার জুড়ি মেলা ভার। তবে এহেন উপকারী কলাও বেশি পরিমাণে খেলে শরীরের একাধিক ক্ষতি হতে পারে। এমনকী পিছু নিতে পারে নানাবিধ ছোট-বড় শারীরিক সমস্যা।

তাই আর সময় নষ্ট না করে আপনিও প্রতিদিন একগাদা কলা খাওয়ার নেচিবাচক দিকগুলো সম্পর্কে জেনে নিন। আশা করছি, এই প্রতিবেদনটি পড়ার পর আপনার চোখ খুলে যাবে। আপনিও আর দিনে দুই-তিনটির বেশি কলা খাবেন না।

বাড়তে পারে ওজন

ওজন স্বাভাবিকের থেকে বেশি থাকাটা কোনো কাজের কথা নয়। এমনকি এই কারণে একাধিক ঘাতক অসুখের ফাঁদে পড়ার আশঙ্কাও বাড়ে বৈকি! জানলে অবাক হবেন, নিয়মিত একগাদা কলা খেলে ওজন বাড়বে বই কমবে না। তাই ওজনকে স্বাভাবিকের গণ্ডিতে নামিয়ে আনার ইচ্ছা থাকলে কলা খাওয়ার উপর লাগাম টানুন। যাদের ওজন স্বাভাবিকের থেকে অনেকটা বেশি, তারা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ ছাড়া এই ফলে কামড় বসাবেন না। নইলে অচিরেই পিছু নেবে নানাবিধ রোগ।

কোষ্ঠকাঠিন্যের ভ্রূকুটি

কলায় রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে স্টার্চ। এই উপাদান কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা বাড়াতে পারে। তাই কনস্টিপেশন রোগীরা দিনে দুটির বেশি কলা কোনো মতেই খাবেন না। এই ভুলের ফাঁদে পা দিলেই ভুগতে হবে। ঠিক একইভাবে পাইলস বা অর্শ রোগীরাও এই নিয়মটা মেনে চলুন। নইলে আপনাদের ভোগান্তি বাড়বে বই কমবে না।

পিছু নেবে পেটের সমস্যা

বিশেষজ্ঞদের কথায়, কলায় রয়েছে ফাইবারের ভাণ্ডার। তাই নিয়মিত কলা খেলে পেটের স্বাস্থ্যের উন্নতিই হবে। এমনকি এড়িয়ে চলা যাবে গ্যাস, অ্যাসিডিটির ফাঁদ। তবে কোনো জিনিসই মাত্রাতিরিক্ত ভালো নয়। ঠিক একইভাবে অত্যধিক পরিমাণে কলা খেলে দেহে ফাইবার ওভারলোড হওয়ার আশঙ্কা বাড়ে। এই কারণেই পিছু নিতে পারে একাধিক ছোট-বড় পেটের সমস্যা। তাই পেট বাবাজির খেয়াল রাখতে চাইলে বেশি সংখ্যক কলা খাবেন না।

বাড়তে পারে ব্লাড সুগার

এই ফলের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স বেশ কিছুটা উপরের দিকে। তাই নিয়মিত অত্যধিক পরিমাণে কলা খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা যে ঊর্ধ্বমুখী হবে, তা তো বলাই বাহুল্য! এই কারণেই চিকিৎসকেরা ডায়াবেটিস রোগীদের প্রতিদিন কলা খেতে বারণ করেন। নইলে যে সমস্যার শেষ থাকবে না। এমনকি আপনার এই ভুলের সুবাদে ওষুধের ডোজ বাড়ানোরও প্রয়োজন পড়তে পারে। তাই মধুমেহ রোগীরা কলা খাওয়ার আগে অবশ্যই সতর্ক হন।

দাঁতের হাল হবে খারাপ

কলায় বেশ কিছুটা পরিমাণে মিষ্টি মজুত রয়েছে। এই মিষ্টি সরাসরি দাঁতের ক্ষতি করার ক্ষমতা রাখে। এমনকি এই ফল বেশি সংখ্যায় খেলে ক্যাবিটিসের মতো জটিল দাঁতের অসুখের খপ্পরে পড়ার আশঙ্কাও বাড়ে। তাই সারাজীবন দন্তবিকশিত করে হাসার ইচ্ছা থাকলে আপনাকে কলা খাওয়ার উপর নিয়ন্ত্রণ আনতেই হবে। তাতেই আপনার সুস্থ থাকার পথ প্রশস্ত হবে।