ঢাকা , সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

পঞ্চগড়ে বিচারককে জুতা নিক্ষেপ, পুলিশের হেফাজতে বাদী

  • সূর্যোদয় ডেস্ক:
  • আপডেট সময় ০৮:৫২:৪০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৩
  • ১১১৯ বার পড়া হয়েছে

আসামিদের জামিন দেওয়ায় ক্ষোভে এজলাস চলাকালীন বিচারককে জুতা নিক্ষেপ করেছেন মামলার বাদী মিনারা আক্তার (২৫)। আজ সোমবার দুপুরে পঞ্চগড় চিফ জুডিসিয়াল আদালতের পঞ্চগড় আমলী আদলত-০১-এ চাঞ্চল্যকর এই ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় বাদী মিনারাকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।

মিনারা আক্তার জেলার সদর উপজেলাধীন সাতমেড়া ইউনিয়নের ডাঙ্গাপাড়া এলাকার মৃত ইয়াকুব আলীর মেয়ে।

আদালত সূত্রে জানা যায়, গত ৫ ডিসেম্বর সদর উপজেলার সাতমেরা এলাকায় জমি নিয়ে দুই ভাইয়ের বিরোধের জেরে ইয়াকুব আলী (৮৩) নিহত হন। ওই দিনই রাতেই নিহতের মেয়ে মিনারা আক্তার বাদী হয়ে ইয়াকুবের ছোট ভাইসহ ১৯ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। আজ মামলার ১৬ আসামি আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করলে বিচারক অলরাম কাজী তাদের সবার জামিন মঞ্জুর করেন। এ ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে বাদী মিনারা আক্তার বিচারককে লক্ষ্য করে জুতা ছুড়ে মারেন। পরে বিচারকের নির্দেশে মিনারা আক্তারকে আটক করে তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করে আদালতের আইনজীবী আবু ইউনুস মোহাম্মদ লেনিন বলেন, ‘বিজ্ঞ আদালত আসামিদের জামিন দেওয়ায় বাদী মিনারা ক্ষোভে তার পায়ের জুতা খুলে আদালতের বিচারক অলরাম কার্জিকে লক্ষ্য করে নিক্ষেপ করেন। জুতাটি বিচারকের সামনে থাকা গ্লাসে লেগে নিচে পড়ে যায়। এটা কোনভাবেই কাম্য নয়।’

এ বিষয়ে মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট হাবিবুল ইসলাম হাবিব বলেন, ‘গত কয়েক দিন আগে বাদী মিনারার বাবা মারা গেছেন। আজকে তাদের বাড়িতে কুলখানি হচ্ছে। এ অবস্থায় একটি হত্যা মামলায় সব আসামিকে জামিন দেওয়া কোনোভাবে কাম্য নয়। বিচারকের এমন অর্ডারে আমরা আদালত ত্যাগ করে চলে এসেছি।’

এদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবী রাকিবুত তারেক বলেন, ‘আসামিদের আগামী ২৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত অন্তবর্তীকালীন জামিন দিয়েছেন আদালত। আর মামলার যারা মূল আসামি তারা আত্মসমর্পণ করেননি। যারা আত্মসমর্পণ করেছে তাদের অধিকাংশই নারী ছিল। এছাড়া আসামিদের বক্তব্য ছিল, ওই ব্যক্তিকে হত্যা করা হয়নি বরং হার্টঅ্যাটাকে মারা গেছেন। আর যেহেতু মামলার জব্দ তালিকায় এবং সুরতহাল রিপোর্টে নথিতে এই তথ্য নেই তাই হয়তো সার্বিক বিবেচনা করে এই জামিন দেওয়া হয়েছে।’

এ বিষয়ে জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুল বারী বলেন, ‘আদালতে চলাকালীন একটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার খবর শুনেছি। এখন পর্যন্ত আমাদের কাছে কেউ এ বিষয়ে কোনো অভিযোগ করেনি। যে কারণে সমিতির পক্ষ থেকে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।’

উল্লেখ্য, গত ২৮ নভেম্বর চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারককে লক্ষ্য করে পর পর দুটি জুতা নিক্ষেপ করেন মনির খান নামের এক আসামি।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

আজকের সূর্যোদয়

আজকের সূর্যোদয় প্রত্রিকায় আপনাদের স্বাগতম। ‍আমাদের নিউজ পড়ুন এবং বিজ্ঞাপন দিয়ে আমাদের পাশে থাকুন।

বরিশালে মুজিবিয়ানের ৮৭ নেতাকে খুঁজছে গোয়েন্দা সংস্থা

পঞ্চগড়ে বিচারককে জুতা নিক্ষেপ, পুলিশের হেফাজতে বাদী

আপডেট সময় ০৮:৫২:৪০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৩

আসামিদের জামিন দেওয়ায় ক্ষোভে এজলাস চলাকালীন বিচারককে জুতা নিক্ষেপ করেছেন মামলার বাদী মিনারা আক্তার (২৫)। আজ সোমবার দুপুরে পঞ্চগড় চিফ জুডিসিয়াল আদালতের পঞ্চগড় আমলী আদলত-০১-এ চাঞ্চল্যকর এই ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় বাদী মিনারাকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।

মিনারা আক্তার জেলার সদর উপজেলাধীন সাতমেড়া ইউনিয়নের ডাঙ্গাপাড়া এলাকার মৃত ইয়াকুব আলীর মেয়ে।

আদালত সূত্রে জানা যায়, গত ৫ ডিসেম্বর সদর উপজেলার সাতমেরা এলাকায় জমি নিয়ে দুই ভাইয়ের বিরোধের জেরে ইয়াকুব আলী (৮৩) নিহত হন। ওই দিনই রাতেই নিহতের মেয়ে মিনারা আক্তার বাদী হয়ে ইয়াকুবের ছোট ভাইসহ ১৯ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। আজ মামলার ১৬ আসামি আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করলে বিচারক অলরাম কাজী তাদের সবার জামিন মঞ্জুর করেন। এ ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে বাদী মিনারা আক্তার বিচারককে লক্ষ্য করে জুতা ছুড়ে মারেন। পরে বিচারকের নির্দেশে মিনারা আক্তারকে আটক করে তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করে আদালতের আইনজীবী আবু ইউনুস মোহাম্মদ লেনিন বলেন, ‘বিজ্ঞ আদালত আসামিদের জামিন দেওয়ায় বাদী মিনারা ক্ষোভে তার পায়ের জুতা খুলে আদালতের বিচারক অলরাম কার্জিকে লক্ষ্য করে নিক্ষেপ করেন। জুতাটি বিচারকের সামনে থাকা গ্লাসে লেগে নিচে পড়ে যায়। এটা কোনভাবেই কাম্য নয়।’

এ বিষয়ে মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট হাবিবুল ইসলাম হাবিব বলেন, ‘গত কয়েক দিন আগে বাদী মিনারার বাবা মারা গেছেন। আজকে তাদের বাড়িতে কুলখানি হচ্ছে। এ অবস্থায় একটি হত্যা মামলায় সব আসামিকে জামিন দেওয়া কোনোভাবে কাম্য নয়। বিচারকের এমন অর্ডারে আমরা আদালত ত্যাগ করে চলে এসেছি।’

এদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবী রাকিবুত তারেক বলেন, ‘আসামিদের আগামী ২৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত অন্তবর্তীকালীন জামিন দিয়েছেন আদালত। আর মামলার যারা মূল আসামি তারা আত্মসমর্পণ করেননি। যারা আত্মসমর্পণ করেছে তাদের অধিকাংশই নারী ছিল। এছাড়া আসামিদের বক্তব্য ছিল, ওই ব্যক্তিকে হত্যা করা হয়নি বরং হার্টঅ্যাটাকে মারা গেছেন। আর যেহেতু মামলার জব্দ তালিকায় এবং সুরতহাল রিপোর্টে নথিতে এই তথ্য নেই তাই হয়তো সার্বিক বিবেচনা করে এই জামিন দেওয়া হয়েছে।’

এ বিষয়ে জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুল বারী বলেন, ‘আদালতে চলাকালীন একটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার খবর শুনেছি। এখন পর্যন্ত আমাদের কাছে কেউ এ বিষয়ে কোনো অভিযোগ করেনি। যে কারণে সমিতির পক্ষ থেকে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।’

উল্লেখ্য, গত ২৮ নভেম্বর চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারককে লক্ষ্য করে পর পর দুটি জুতা নিক্ষেপ করেন মনির খান নামের এক আসামি।