বরগুনায় বাণিজ্যিকভাবে পেঁপে চাষ করে সফলতা পেয়েছে তালতলী উপজেলার বড়োবগী ইউনিয়নের নয়ভাই জোড়া আগা ঠাকুরপাড়া গ্রামের রাখাইন সম্প্রদায়ের সুইতেন। ছয় মাসে তার শখের পেঁপে বাগান থেকে আয় হয়েছে কমপক্ষে ১ লাখ টাকার বেশি।
জানা যায়, বাবা- মা স্ত্রী- বাচ্চা নিয়ে ভালোই চলছিল সংসার। তবে ২০২১ সালে ‘করোনা ভাইরাস’ এর মুহূর্তে প্রোজেক্টটি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সুইতেন এর চাকরিটা না থাকায় তিনি বেকার হয়ে পড়েন তাই বাড়িতে ফিরে আসেন।
বাড়িতে আসার পর কিছুদিন ভালোই কাটছিল বাবা-মায়ের সঙ্গে, তবে হঠাৎ করে বাবা মারা যায়। এরপর পুরোপুরি একা ও অর্থনৈতিক সংকটে পড়েন তিনি। কিছুদিন পরে তিনি ২০২২ সালে তার পতিত জমিতে পেঁপে বাগান করার সিদ্ধান্ত নেন।
২০২৩ এর শুরুতে বগুড়া হতে উন্নত জাতের ২০০ গাছ লাগিয়ে দেখাশোনাসহ যত্ন নিতে থাকেন। এরপর পরিপূর্ণ হলে পেঁপেগুলো বাজারজাত করে বেশ ভালো মূল্য পেয়ে সুইতেন এর মুখে সফলতার হাসি ফুটে।
এখন বিভিন্ন ধরনের সবজি লাগানো শুরু করেছেন এবং সামনেও আরও যত ধরনের সবজি আছে সেগুলো লাগাবেন বলে সুইতেন জানিয়েছেন।
সুইতেন বলেন, আমি পুরোপুরি একা ও অর্থনৈতিক সংকট কাটিয়ে পেঁপে বাগান করে ২০২২ সালের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত পেঁপে বিক্রি করে লাখ টাকা লাভ করেছি।
আমার পেঁপে বাগানে এখনও যে পরিমান পেঁপে আছে তা বিক্রি করেও কমপক্ষে আরও পঞ্চাশ হাজার টাকা আয় হবে বলে আশা করছি।
যারা বেকার আছেন তাদের প্রতি আহ্বান, অন্যের মুখাপেক্ষি না হয়ে বাড়ির পতিত জমিতে পেঁপে চারা রোপণ করে নিজের ভাগ্য পরিবর্তন করুন।
বরগুনার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক (শস্য) এস এম বদরুল আলম বলেন, আমরা সুইতেন এর বাগান পরিদর্শন করেছি।
তার আগ্রহ, চেষ্টা ও ধারাবাহিকতায় আজ তিনি পেঁপে চাষে সফলতা অর্জন করেছে। তাকে অনুকরণ করে অনেকেই পেঁপে চাষে উদ্বুদ্ধ হয়েছেন।
আমরা কৃষি বিভাগ সবসময়ই তার পাশে ছিলাম, আছি এবং ভবিষ্যতেও থাকব। নতুন যারা আগ্রহ পোষণ করবে তাদেরকে সাধুবাদ জানিয়ে অবশ্যই তাদের পাশে থেকেও কৃষি বিভাগ সবসময় সহযোগিতা করবে সব সময়।