ঢাকা , মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

জ্বালানির দাম নির্ধারণ করবে সরকার, নিয়ন্ত্রক সংস্থার কার্যকারিতা কী

  • সূর্যোদয় ডেস্ক:
  • আপডেট সময় ১০:৫০:৩৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ জানুয়ারী ২০২৩
  • ১২৭৯ বার পড়া হয়েছে

বাংলাদেশের বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, নির্বাহী আদেশে সরকারের বিদ্যুৎ ও গ্যাসে দাম বাড়ানোর ক্ষমতা থাকলেও বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের কর্মকাণ্ডে পরিবর্তন আসবে না।

বাংলাদেশে গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম সমন্বয় করে নির্ধারণ করে থাকে এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন-বিইআরসি (বার্ক)। দাম সমন্বয়ের অংশ হিসেবে গণশুনানির আয়োজন করে থাকে প্রতিষ্ঠানটি। সেখানে গ্যাস ও বিদ্যুৎ সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের মালিকদের সাথে সাথে ভোক্তাদের প্রতিনিধিও থাকে।

গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম নির্ধারণের ক্ষমতা সরকারের হাতে চলে যাওয়ার ফলে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে, গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম সমন্বয়ের কাজ যদি সরকার করে, তাহলে সরকারি এ প্রতিষ্ঠানটির কার্যকারিতা গিয়ে কী দাঁড়াবে।

এমন প্রশ্নের উত্তরে বিবিসিকে হামিদ বলেন, বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বার্ক) তাদের কাজ করে যাবে। সরকার শুধুমাত্র বিশেষ পরিস্থিতি তৈরি হলে বার্কের পরিবর্তে নিজেই গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম সমন্বয় করবে। আর এই কাজটি করার জন্যই বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি আইন সংশোধন করে নতুন একটি ধারা সংযোজন করা হয়েছে।

রোববার বাংলাদেশ সংসদে বাংলাদেশে এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন সংশোধন বিল ২০২৩ পাস করা হয়। এতে নতুন একটি ধারা সংযোজন করা হয়।

এই ধারা অনুযায়ী বিশেষ ক্ষেত্রে সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন, এনার্জি সঞ্চালন, মজুদকরণ, বিপণন, সরবরাহ, বিতরণ এবং ভোক্তা পর্যায়ে ট্যারিফ নির্ধারণ, পুনঃনির্ধারণ বা সমন্বয় করতে পারবে। এক কথায় গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম নির্ধারণের ক্ষমতা দেয়া হয় সরকারকে।

হামিদ বলেন, বিশেষ অবস্থা দ্বারা উদ্দেশ্য হলো, যখন স্বল্প সময়ের মধ্যে গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর দরকার হবে, তখন বার্কের পরিবর্তে পদক্ষেপ নেবে সরকার।

গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম সমন্বয়ে বার্কের কার্যপ্রণালী সময়সাপেক্ষ উল্লেখ করে তিনি বলেন, বার্ককে গ্যাস বা বিদ্যুতের দাম সমন্বয় করতে দেয়া হলে তারা এক বছর লাগিয়ে ফেলে। এর মধ্যে তিন বার দাম পরিবর্তিত হয় যায়।

‘এই যেমন এখন বিশেষ অবস্থা চলছে। সারা বিশ্বেই অন্য সময়ের চেয়ে এখন দাম বেশি।’

তবে এই আইন পাসের পর বার্কের কাজ কী হবে, সে বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি সংস্থাটির চেয়ারম্যান।

এর আগে গত ১৩ জানুয়ারি নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম প্রতি ইউনিটে গড়ে ৫ ভাগ বাড়ায় সরকার। এটি ছিল বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনকে পাস কাটিয়ে নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে সরকারের বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর প্রথম পদক্ষেপ।

এরপর গত ১৮ জানুয়ারি শিল্প ও বাণিজ্যিক খাতের জন্য গ্যাসের দাম বাড়ানোর ঘোষণা দেয় বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়। এক প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে দাম বাড়ানোর এই ঘোষণা দেয়া হয়, যা ফেব্রুয়ারি থেকে কার্যকর হবে।

তবে এদিন সরকার গ্যাসের দাম বাড়ানোর যে ঘোষণা দিয়েছে, তার কারণ সম্পর্কে এখনো কোনো ব্যাখ্যা দেয়া হয়নি।

সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা কেউ গ্যাসের দাম এতটা বৃদ্ধির কারণ সম্পর্কে আনুষ্ঠানিক কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

১৮ জানুয়ারি পেট্রোবাংলা বিবিসিকে জানিয়েছিল যে প্রজ্ঞাপন মন্ত্রণালয় থেকে জারি হয়েছে বলে তারাই এর ব্যাখ্যা দিতে পারে। আর মন্ত্রণালয় বলেছিল, তারা সবকিছু বিশ্লেষণ করে পরবর্তী সময়ে তাদের আনুষ্ঠানিক ব্যাখ্যা দেবে। তবে ওই ব্যাখ্যা এখন পর্যন্ত আসেনি।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সরকার যদি বিশেষ পরিস্থিতি ছাড়া সব সময়ই বার্ককে পাশ কাটিয়ে জ্বালানির দাম নির্ধারণ করে, তাহলে বার্ক অনেকটা অকার্যকর হয়ে পড়বে। ফলে ভোক্তা স্বার্থ ক্ষুণ্ণ হতে পারে।

ভোক্তা অধিকার সংস্থা কনজিউমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সভাপতি গোলাম রহমান বলেন, ‘আমরা আশা করছি যে সরকার এমন কিছু করবে না।’

বাংলাদেশে জ্বালানির ক্ষেত্রে একটি সুষ্ঠু পরিবেশ, দক্ষ, সু-পরিচালিত ও টেকসই জ্বালানিখাত তৈরি করে স্বচ্ছতার ভিত্তিতে ন্যায্য ও যুক্তিসঙ্গত দামে জ্বালানি সরবরাহ করে ভোক্তাদের স্বার্থ সুরক্ষার লক্ষ্যে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন গঠিত হয়েছিল।

এরই অংশ হিসেবে সরকারি ও বেসরকারি বিনিয়োগকারীদের জন্য সমান সুযোগ দেয়ার মাধ্যমে প্রতিযোগিতামূলক বাজার সৃষ্টি, জ্বালানি খাতে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা, যৌক্তিক দাম ও ট্যারিফ নির্ধারণ ইত্যাদি কাজ করতো সংস্থাটি।

আর এটি করতে গণশুনানির আয়োজন করে সব পক্ষের প্রতিনিধিদের সাথে আলোচনা করে গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম সমন্বয় করা হতো।

তবে নতুন নিয়ম অনুযায়ী সরকার যখন দাম সমন্বয় করবে, তখন আর এ ধরণের গণশুনানির দরকার হবে না। সরকার প্রয়োজন মনে করলে দাম বাড়াতে পারবে।

ক্যাব বলছে, ভোক্তাদের জন্য জ্বালানির দাম নির্ধারণের ক্ষেত্রে সব সময়ই বার্কের প্রক্রিয়াকে অগ্রাধিকার দেয়া দরকার। তা না হলে দাম নির্ধারণী প্রক্রিয়ায় কোনো স্বচ্ছতা থাকবে না। আর দাম নির্ধারণে স্বচ্ছতা না থাকলে সেটি জবাবদিহিতামূলক হয় না।

রহমান বলেন, সরকার আইন করে জ্বালানির দাম নির্ধারণের ক্ষমতা নিজের হাতে নিয়ে নেয়ার পর দাম নির্ধারণের সরকারি প্রক্রিয়া স্বচ্ছ হবে বলে মনে করেন না তিনি।

বরং এতে করে অনেক কিছু চাপা পড়ে যাবে এবং অনেক অনিয়ম, অমিতব্যয়িতা ও দুর্নীতি বাসা বাধার আশঙ্কা রয়েছে। আর এর ফলে যে দাম নির্ধারণ করা হবে, তা ভোক্তাদের ঘাড়ে চেপে বসতে পারে বলে মনে করেন তিনি।

এর আগে রোববার সংসদে বাংলাদেশে এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন সংশোধন বিল পাস হওয়ার আগে নতুন সংযোজিত ধারাটির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে ওয়াক আউট করেন একজন সংসদ সদস্য।

সূত্র : বিবিসি

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

আজকের সূর্যোদয়

আজকের সূর্যোদয় প্রত্রিকায় আপনাদের স্বাগতম। ‍আমাদের নিউজ পড়ুন এবং বিজ্ঞাপন দিয়ে আমাদের পাশে থাকুন।

বরিশালে মুজিবিয়ানের ৮৭ নেতাকে খুঁজছে গোয়েন্দা সংস্থা

জ্বালানির দাম নির্ধারণ করবে সরকার, নিয়ন্ত্রক সংস্থার কার্যকারিতা কী

আপডেট সময় ১০:৫০:৩৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ জানুয়ারী ২০২৩

বাংলাদেশের বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, নির্বাহী আদেশে সরকারের বিদ্যুৎ ও গ্যাসে দাম বাড়ানোর ক্ষমতা থাকলেও বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের কর্মকাণ্ডে পরিবর্তন আসবে না।

বাংলাদেশে গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম সমন্বয় করে নির্ধারণ করে থাকে এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন-বিইআরসি (বার্ক)। দাম সমন্বয়ের অংশ হিসেবে গণশুনানির আয়োজন করে থাকে প্রতিষ্ঠানটি। সেখানে গ্যাস ও বিদ্যুৎ সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের মালিকদের সাথে সাথে ভোক্তাদের প্রতিনিধিও থাকে।

গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম নির্ধারণের ক্ষমতা সরকারের হাতে চলে যাওয়ার ফলে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে, গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম সমন্বয়ের কাজ যদি সরকার করে, তাহলে সরকারি এ প্রতিষ্ঠানটির কার্যকারিতা গিয়ে কী দাঁড়াবে।

এমন প্রশ্নের উত্তরে বিবিসিকে হামিদ বলেন, বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বার্ক) তাদের কাজ করে যাবে। সরকার শুধুমাত্র বিশেষ পরিস্থিতি তৈরি হলে বার্কের পরিবর্তে নিজেই গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম সমন্বয় করবে। আর এই কাজটি করার জন্যই বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি আইন সংশোধন করে নতুন একটি ধারা সংযোজন করা হয়েছে।

রোববার বাংলাদেশ সংসদে বাংলাদেশে এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন সংশোধন বিল ২০২৩ পাস করা হয়। এতে নতুন একটি ধারা সংযোজন করা হয়।

এই ধারা অনুযায়ী বিশেষ ক্ষেত্রে সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন, এনার্জি সঞ্চালন, মজুদকরণ, বিপণন, সরবরাহ, বিতরণ এবং ভোক্তা পর্যায়ে ট্যারিফ নির্ধারণ, পুনঃনির্ধারণ বা সমন্বয় করতে পারবে। এক কথায় গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম নির্ধারণের ক্ষমতা দেয়া হয় সরকারকে।

হামিদ বলেন, বিশেষ অবস্থা দ্বারা উদ্দেশ্য হলো, যখন স্বল্প সময়ের মধ্যে গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর দরকার হবে, তখন বার্কের পরিবর্তে পদক্ষেপ নেবে সরকার।

গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম সমন্বয়ে বার্কের কার্যপ্রণালী সময়সাপেক্ষ উল্লেখ করে তিনি বলেন, বার্ককে গ্যাস বা বিদ্যুতের দাম সমন্বয় করতে দেয়া হলে তারা এক বছর লাগিয়ে ফেলে। এর মধ্যে তিন বার দাম পরিবর্তিত হয় যায়।

‘এই যেমন এখন বিশেষ অবস্থা চলছে। সারা বিশ্বেই অন্য সময়ের চেয়ে এখন দাম বেশি।’

তবে এই আইন পাসের পর বার্কের কাজ কী হবে, সে বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি সংস্থাটির চেয়ারম্যান।

এর আগে গত ১৩ জানুয়ারি নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম প্রতি ইউনিটে গড়ে ৫ ভাগ বাড়ায় সরকার। এটি ছিল বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনকে পাস কাটিয়ে নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে সরকারের বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর প্রথম পদক্ষেপ।

এরপর গত ১৮ জানুয়ারি শিল্প ও বাণিজ্যিক খাতের জন্য গ্যাসের দাম বাড়ানোর ঘোষণা দেয় বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়। এক প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে দাম বাড়ানোর এই ঘোষণা দেয়া হয়, যা ফেব্রুয়ারি থেকে কার্যকর হবে।

তবে এদিন সরকার গ্যাসের দাম বাড়ানোর যে ঘোষণা দিয়েছে, তার কারণ সম্পর্কে এখনো কোনো ব্যাখ্যা দেয়া হয়নি।

সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা কেউ গ্যাসের দাম এতটা বৃদ্ধির কারণ সম্পর্কে আনুষ্ঠানিক কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

১৮ জানুয়ারি পেট্রোবাংলা বিবিসিকে জানিয়েছিল যে প্রজ্ঞাপন মন্ত্রণালয় থেকে জারি হয়েছে বলে তারাই এর ব্যাখ্যা দিতে পারে। আর মন্ত্রণালয় বলেছিল, তারা সবকিছু বিশ্লেষণ করে পরবর্তী সময়ে তাদের আনুষ্ঠানিক ব্যাখ্যা দেবে। তবে ওই ব্যাখ্যা এখন পর্যন্ত আসেনি।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সরকার যদি বিশেষ পরিস্থিতি ছাড়া সব সময়ই বার্ককে পাশ কাটিয়ে জ্বালানির দাম নির্ধারণ করে, তাহলে বার্ক অনেকটা অকার্যকর হয়ে পড়বে। ফলে ভোক্তা স্বার্থ ক্ষুণ্ণ হতে পারে।

ভোক্তা অধিকার সংস্থা কনজিউমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সভাপতি গোলাম রহমান বলেন, ‘আমরা আশা করছি যে সরকার এমন কিছু করবে না।’

বাংলাদেশে জ্বালানির ক্ষেত্রে একটি সুষ্ঠু পরিবেশ, দক্ষ, সু-পরিচালিত ও টেকসই জ্বালানিখাত তৈরি করে স্বচ্ছতার ভিত্তিতে ন্যায্য ও যুক্তিসঙ্গত দামে জ্বালানি সরবরাহ করে ভোক্তাদের স্বার্থ সুরক্ষার লক্ষ্যে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন গঠিত হয়েছিল।

এরই অংশ হিসেবে সরকারি ও বেসরকারি বিনিয়োগকারীদের জন্য সমান সুযোগ দেয়ার মাধ্যমে প্রতিযোগিতামূলক বাজার সৃষ্টি, জ্বালানি খাতে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা, যৌক্তিক দাম ও ট্যারিফ নির্ধারণ ইত্যাদি কাজ করতো সংস্থাটি।

আর এটি করতে গণশুনানির আয়োজন করে সব পক্ষের প্রতিনিধিদের সাথে আলোচনা করে গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম সমন্বয় করা হতো।

তবে নতুন নিয়ম অনুযায়ী সরকার যখন দাম সমন্বয় করবে, তখন আর এ ধরণের গণশুনানির দরকার হবে না। সরকার প্রয়োজন মনে করলে দাম বাড়াতে পারবে।

ক্যাব বলছে, ভোক্তাদের জন্য জ্বালানির দাম নির্ধারণের ক্ষেত্রে সব সময়ই বার্কের প্রক্রিয়াকে অগ্রাধিকার দেয়া দরকার। তা না হলে দাম নির্ধারণী প্রক্রিয়ায় কোনো স্বচ্ছতা থাকবে না। আর দাম নির্ধারণে স্বচ্ছতা না থাকলে সেটি জবাবদিহিতামূলক হয় না।

রহমান বলেন, সরকার আইন করে জ্বালানির দাম নির্ধারণের ক্ষমতা নিজের হাতে নিয়ে নেয়ার পর দাম নির্ধারণের সরকারি প্রক্রিয়া স্বচ্ছ হবে বলে মনে করেন না তিনি।

বরং এতে করে অনেক কিছু চাপা পড়ে যাবে এবং অনেক অনিয়ম, অমিতব্যয়িতা ও দুর্নীতি বাসা বাধার আশঙ্কা রয়েছে। আর এর ফলে যে দাম নির্ধারণ করা হবে, তা ভোক্তাদের ঘাড়ে চেপে বসতে পারে বলে মনে করেন তিনি।

এর আগে রোববার সংসদে বাংলাদেশে এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন সংশোধন বিল পাস হওয়ার আগে নতুন সংযোজিত ধারাটির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে ওয়াক আউট করেন একজন সংসদ সদস্য।

সূত্র : বিবিসি