যশোরের ধান্যখোলা সীমান্তে বিএসএফের (ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী) গুলিতে রইস উদ্দিন নামে বিজিবির (বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ) এক সদস্য নিহত হওয়ার স্থান পরিদর্শন করেছেন বিজিবির মহাপরিচালক এ কে এম নাজমুল হাসান।
এ সময় স্থানীয় সাংবাদিকরা মহাপরিচালকের সাথে হত্যার ব্যাপারে কথা বলতে চাইলে তিনি সাংবাদিকদের এড়িয়ে গাড়িতে উঠে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।
বুধবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে বেনাপোল থেকে ৯ কিলোমিটার দূরে ধান্যখোলা বিওপি ক্যাম্প পরিদর্শন করেন তিনি। এর আগে, তিনি ৪৯ বিজিবি’র কোম্পানির সদর দফতর শিকারপুর ক্যাম্প পরিদর্শন করেন এবং বিজিবি সদস্যদের সাথে কথা বলেন।
উল্ল্যেখ, বিজিবি যশোর ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল জামিলের স্বাক্ষর করা সোমবার রাতের এক বিজ্ঞপ্তিতে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের গুলিতে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্য রইস উদ্দিনের
নিহত হওয়ার বিষয়টি জানানো হয়।
এতে বলা হয়, গত ২২ জানুয়ারি সাড়ে ৫টার দিকে বিজিবি যশোর ব্যাটালিয়নের ধান্যখোলা বিওপির জেলেপাড়া পোস্ট সংলগ্ন এলাকায় ভারত থেকে আসা একদল গরু চোরাকারবারিকে সীমান্ত অতিক্রম করে আসতে দেখলে দায়িত্বরত বিজিবি টহল দল তাদের চ্যালেঞ্জ করলে দৌঁড়ে ভারতের দিকে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় বিজিবি টহল দলের সদস্য সিপাহী মোহাম্মদ রইস উদ্দীন চোরাকারবারিদের পেছনে ধাওয়া করতে করতে ঘন কুয়াশার কারণে দলবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।
প্রাথমিকভাবে তাকে খুঁজে পাওয়া না গেলেও পরবর্তীতে বিভিন্ন মাধ্যমে জানা যায়, তিনি বিএসএফের গুলিতে আহত হয়ে ভারতের অভ্যন্তরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, ‘ঘটনার পরপরই এ বিষয়ে ব্যাটালিয়ন কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠক করা হয় এবং জানা যায়, হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই সৈনিক মৃত্যুবরণ করেছে। বিএসএফকে বিষয়টির ব্যাপারে সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানানোর পাশাপাশি কূটনৈতিকভাবে তীব্র প্রতিবাদলিপি প্রেরণ করা হয়েছে।’