ঢাকা , সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

নতুন সরকার গঠন করেও স্বস্তিতে নেই আ’লীগ

মাঠের প্রধান বিরোধী দল বিএনপিবিহীন নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে জয়লাভের মাধ্যমে নতুন সরকার গঠন করেও স্বস্তিতে নেই ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ। প্রথমত, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম কোনোভাবেই জনসাধারণের নাগালে আসছে না। সরকারের নিয়ন্ত্রণ না থাকায় পণ্যের দাম হুটহাট করে বেড়ে বাজারে অস্থিরতা তৈরি হচ্ছে। দ্বিতীয়ত, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির মতো নির্বাচন ঠেকানোর জন্য শক্ত কোনো কর্মসূচি নিয়ে ৭ জানুয়ারি ভোটের দিন রাজপথে না থাকলেও নতুন সরকার গঠনের দুই সপ্তাহ না পেরোতেই ফের রাজপথে সক্রিয় হয়ে উঠেছে বিএনপি ও তার মিত্ররা। তাদের দাবি, নতুন নির্বাচন দিয়ে সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে। অন্যথায় গণ-আন্দোলনের মাধ্যমে সরকার পতনের হুমকিও দিয়ে রেখেছে বিএনপি ও তার মিত্ররা। এরমাধ্যমে মূলত বিএনপি রাজপথে ঘুরে দাঁড়াতে চাইছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো মনে করে।

অবশ্য দ্রব্যমূল্য শিগগিরই নিয়ন্ত্রণে আসবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। গতকাল সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে নিয়ে আসা বর্তমান সরকারের অন্যতম চ্যালেঞ্জ। দ্রব্যমূল্য বাড়ছে এটা বাস্তবতা, অস্বীকার করে লাভ নেই। এ নিয়ে সরকারের প্রথম মন্ত্রিসভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্দেশনা দিয়েছেন। আমরা কাজ শুরু করে দিয়েছি। রাজনীতি উত্তপ্ত হচ্ছে- এমন এক প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, নতুন সরকারের কাজে যখন বাধা আসবে, তখন সেটা আমাদের অতিক্রম করতে হবে। বিএনপি আবার মাঠে নেমেছে। বিএনপি এখানে যদি সহিংসতা বা সহিংস কোনো কর্মসূচি দেয় কিংবা সাধারণ কর্মসূচি দিয়ে সহিংসতা করে, তবে সেটার মোকাবেলা আমাদের করতে হবে। কারণ আমরা ক্ষমতায় আছি, জনগণের জানমালের নিরাপত্তা আমাদের দিতে হবে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের সপ্তাহখানেক আগে থেকে রাজনীতির মাঠে বেশ চুপচাপ ছিল বিএনপি ও তার মিত্ররা। নির্বাচনের আগে এক সপ্তাহ যাবত শুধু লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি পালন করে জনগণকে ভোটবিমুখ করার তৎপরতা চালিয়েছিল তারা। গত ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন বানচাল করার জন্য ওই দিন জোরালো কর্মসূচি নিয়ে রাজপথে তৎপর ছিল। নানা সহিংসতার মধ্য দিয়ে ওই নির্বাচন শেষ হয়। এবার আর সেই পথে আগায়নি বিএনপি ও তার মিত্ররা। ভোটগ্রহণের দিন ৭ জানুয়ারিও শক্ত কোনো কর্মসূচি পালন করেনি মাঠের এই প্রধান বিরোধী দল। ভোটগ্রহণ থেকে শুরু করে এমপি-মন্ত্রীদের শপথগ্রহণসহ সরকার গঠন পর্যন্ত বক্তব্য-বিবৃতির মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল সরকারবিরোধীরা। কিন্তু নির্বাচন অনুষ্ঠানের সপ্তাহ দুই না পেরোতেই রাজনীতির মাঠে বিএনপি ও তার মিত্রদের হঠাৎ করে সরব হওয়াটা ভালোভাবে দেখছে না সরকারি দল। বিএনপিবিহীন নির্বাচন নিয়ে নানা বিতর্কের মধ্যে নতুন করে সরকারবিরোধীরা গেল শনিবার ফের রাজপথে কালো পতাকা মিছিলসহ নানা কর্মসূচি পালন করায় বেশ অস্বস্তির মধ্যে পড়েছে সরকারি দল আওয়ামী লীগ। আগামী ৩০ জানুয়ারিও কালো পতাকা মিছিলের ডাক দিয়েছে বিএনপি ও তার মিত্ররা।

সরকারবিরোধীদের বিপক্ষে রাজনৈতিকভাবে জবাব দিতে পাল্টা কর্মসূচিও পালন করছে শাসক দল। গেল শনিবার বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ পালন করেছে ক্ষমতাসীনরা। ৩০ জানুয়ারি বিএনপির কর্মসূচির বিপরীতে পাল্টা কর্মসূচিরও ডাক দিয়েছে ক্ষমতাসীনরা।

আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের একাধিক নেতা জানান, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। ওই সময় বাংলাদেশের কোনো সংস্থা ও ব্যক্তির ওপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কোনো নিষেধাজ্ঞা ও ভিসানীতি আরোপ ছিল না। এবার কিন্তু প্রেক্ষাপট ভিন্ন। ৭ জানুয়ারির নির্বাচনকে কেন্দ্র করে যুক্তরাষ্ট্রও চেয়েছিল এ দেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হোক। নির্বাচনে কেউ যদি বাধাগ্রস্ত করে তাহলে বিএনপির নেতাদের ওপরও ভিসানীতি আরোপের হুমকি ছিল। যার কারণে বিএনপি হয়তো কৌশল অবলম্বন করে নির্বাচন ঠেকানোর হুমকি দিয়েও মাঠে নামেনি। এজন্য নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ হয়েছে। তবে কিছু কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটেছে। এটা সব নির্বাচনেই হয়ে থাকে। তবে এটা স্বীকার করতেই হবে অন্যান্য নির্বাচনের তুলনায় এবার সহিংসতা একেবারেই কম হয়েছে। নজিরবিহীন শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হয়েছে বলে মনে করেন আওয়ামী লীগের শীর্ষ পর্যায়। তাদের মতে, গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হওয়ার জন্য বিএনপির আসা না আসার ওপর নির্ভর করে না। আর কম সংখ্যক ভোটার বা বেশি সংখ্যক ভোটার ভোট দেয়া না দেয়ার ওপরও সরকারের গ্রহণযোগ্যতা বা বৈধতা নির্ভর করে না। তবে, হ্যাঁ বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করলে দেশবাসী আরো বেশি প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক নির্বাচন উপভোগ করত। ভোটারদের ভোটগ্রহণের হারও বেশি হতো।

এ প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম নয়া দিগন্তকে বলেন, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে, মানুষ কষ্টে আছে এটা অস্বীকার করার কোনো উপায় নেই। যেসব মানুষ কষ্টে আছে তাদের সাথে আমরা সমব্যথী। দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে আনা নতুন সরকারের জন্য একটা চ্যালেঞ্জ। শেখ হাসিনার সরকার এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে সামনের দিকে এগিয়ে যাবে। প্রধানমন্ত্রী ইতোমধ্যে মন্ত্রিসভায় নির্দেশ দিয়েছেন। আমরা আশা করি, শিগগিরই এর সমাধান হবে। বিএনপির আন্দোলন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বিএনপি জামায়াত- দেশকে পিছিয়ে নেয়ার জন্য রাজনৈতিক কর্মসূচির নামে ধ্বংসযজ্ঞ চালায়।

এরা রাজনৈতিকভাবে দেউলিয়া হয়ে গেছে। নির্বাচনের পরে নির্বাচিত সরকারকে যখন সারা দুনিয়া থেকে সমর্থন দিয়েছে তখন বিএনপি-জামায়াত আন্দোলনের নামে মানুষ পুড়িয়ে মারার রাজনীতি করছে। হত্যাকারী হিসেবে দেশের মানুষ তাদের প্রত্যাখ্যান করেছে। দেশের মানুষ তাদের রাজনীতি আর দেখতে চায় না। তারপরও তারা কর্মসূচির নামে আবার নতুন করে ধ্বংসযজ্ঞ শুরু করলে কঠোরভাবে প্রতিহত করা হবে। কোনো ছাড় দেয়া হবে না।

 

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

আজকের সূর্যোদয়

আজকের সূর্যোদয় প্রত্রিকায় আপনাদের স্বাগতম। ‍আমাদের নিউজ পড়ুন এবং বিজ্ঞাপন দিয়ে আমাদের পাশে থাকুন।

বরিশালে মুজিবিয়ানের ৮৭ নেতাকে খুঁজছে গোয়েন্দা সংস্থা

নতুন সরকার গঠন করেও স্বস্তিতে নেই আ’লীগ

আপডেট সময় ১০:৩১:০২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৯ জানুয়ারী ২০২৪

মাঠের প্রধান বিরোধী দল বিএনপিবিহীন নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে জয়লাভের মাধ্যমে নতুন সরকার গঠন করেও স্বস্তিতে নেই ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ। প্রথমত, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম কোনোভাবেই জনসাধারণের নাগালে আসছে না। সরকারের নিয়ন্ত্রণ না থাকায় পণ্যের দাম হুটহাট করে বেড়ে বাজারে অস্থিরতা তৈরি হচ্ছে। দ্বিতীয়ত, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির মতো নির্বাচন ঠেকানোর জন্য শক্ত কোনো কর্মসূচি নিয়ে ৭ জানুয়ারি ভোটের দিন রাজপথে না থাকলেও নতুন সরকার গঠনের দুই সপ্তাহ না পেরোতেই ফের রাজপথে সক্রিয় হয়ে উঠেছে বিএনপি ও তার মিত্ররা। তাদের দাবি, নতুন নির্বাচন দিয়ে সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে। অন্যথায় গণ-আন্দোলনের মাধ্যমে সরকার পতনের হুমকিও দিয়ে রেখেছে বিএনপি ও তার মিত্ররা। এরমাধ্যমে মূলত বিএনপি রাজপথে ঘুরে দাঁড়াতে চাইছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো মনে করে।

অবশ্য দ্রব্যমূল্য শিগগিরই নিয়ন্ত্রণে আসবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। গতকাল সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে নিয়ে আসা বর্তমান সরকারের অন্যতম চ্যালেঞ্জ। দ্রব্যমূল্য বাড়ছে এটা বাস্তবতা, অস্বীকার করে লাভ নেই। এ নিয়ে সরকারের প্রথম মন্ত্রিসভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্দেশনা দিয়েছেন। আমরা কাজ শুরু করে দিয়েছি। রাজনীতি উত্তপ্ত হচ্ছে- এমন এক প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, নতুন সরকারের কাজে যখন বাধা আসবে, তখন সেটা আমাদের অতিক্রম করতে হবে। বিএনপি আবার মাঠে নেমেছে। বিএনপি এখানে যদি সহিংসতা বা সহিংস কোনো কর্মসূচি দেয় কিংবা সাধারণ কর্মসূচি দিয়ে সহিংসতা করে, তবে সেটার মোকাবেলা আমাদের করতে হবে। কারণ আমরা ক্ষমতায় আছি, জনগণের জানমালের নিরাপত্তা আমাদের দিতে হবে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের সপ্তাহখানেক আগে থেকে রাজনীতির মাঠে বেশ চুপচাপ ছিল বিএনপি ও তার মিত্ররা। নির্বাচনের আগে এক সপ্তাহ যাবত শুধু লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি পালন করে জনগণকে ভোটবিমুখ করার তৎপরতা চালিয়েছিল তারা। গত ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন বানচাল করার জন্য ওই দিন জোরালো কর্মসূচি নিয়ে রাজপথে তৎপর ছিল। নানা সহিংসতার মধ্য দিয়ে ওই নির্বাচন শেষ হয়। এবার আর সেই পথে আগায়নি বিএনপি ও তার মিত্ররা। ভোটগ্রহণের দিন ৭ জানুয়ারিও শক্ত কোনো কর্মসূচি পালন করেনি মাঠের এই প্রধান বিরোধী দল। ভোটগ্রহণ থেকে শুরু করে এমপি-মন্ত্রীদের শপথগ্রহণসহ সরকার গঠন পর্যন্ত বক্তব্য-বিবৃতির মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল সরকারবিরোধীরা। কিন্তু নির্বাচন অনুষ্ঠানের সপ্তাহ দুই না পেরোতেই রাজনীতির মাঠে বিএনপি ও তার মিত্রদের হঠাৎ করে সরব হওয়াটা ভালোভাবে দেখছে না সরকারি দল। বিএনপিবিহীন নির্বাচন নিয়ে নানা বিতর্কের মধ্যে নতুন করে সরকারবিরোধীরা গেল শনিবার ফের রাজপথে কালো পতাকা মিছিলসহ নানা কর্মসূচি পালন করায় বেশ অস্বস্তির মধ্যে পড়েছে সরকারি দল আওয়ামী লীগ। আগামী ৩০ জানুয়ারিও কালো পতাকা মিছিলের ডাক দিয়েছে বিএনপি ও তার মিত্ররা।

সরকারবিরোধীদের বিপক্ষে রাজনৈতিকভাবে জবাব দিতে পাল্টা কর্মসূচিও পালন করছে শাসক দল। গেল শনিবার বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ পালন করেছে ক্ষমতাসীনরা। ৩০ জানুয়ারি বিএনপির কর্মসূচির বিপরীতে পাল্টা কর্মসূচিরও ডাক দিয়েছে ক্ষমতাসীনরা।

আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের একাধিক নেতা জানান, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। ওই সময় বাংলাদেশের কোনো সংস্থা ও ব্যক্তির ওপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কোনো নিষেধাজ্ঞা ও ভিসানীতি আরোপ ছিল না। এবার কিন্তু প্রেক্ষাপট ভিন্ন। ৭ জানুয়ারির নির্বাচনকে কেন্দ্র করে যুক্তরাষ্ট্রও চেয়েছিল এ দেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হোক। নির্বাচনে কেউ যদি বাধাগ্রস্ত করে তাহলে বিএনপির নেতাদের ওপরও ভিসানীতি আরোপের হুমকি ছিল। যার কারণে বিএনপি হয়তো কৌশল অবলম্বন করে নির্বাচন ঠেকানোর হুমকি দিয়েও মাঠে নামেনি। এজন্য নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ হয়েছে। তবে কিছু কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটেছে। এটা সব নির্বাচনেই হয়ে থাকে। তবে এটা স্বীকার করতেই হবে অন্যান্য নির্বাচনের তুলনায় এবার সহিংসতা একেবারেই কম হয়েছে। নজিরবিহীন শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হয়েছে বলে মনে করেন আওয়ামী লীগের শীর্ষ পর্যায়। তাদের মতে, গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হওয়ার জন্য বিএনপির আসা না আসার ওপর নির্ভর করে না। আর কম সংখ্যক ভোটার বা বেশি সংখ্যক ভোটার ভোট দেয়া না দেয়ার ওপরও সরকারের গ্রহণযোগ্যতা বা বৈধতা নির্ভর করে না। তবে, হ্যাঁ বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করলে দেশবাসী আরো বেশি প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক নির্বাচন উপভোগ করত। ভোটারদের ভোটগ্রহণের হারও বেশি হতো।

এ প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম নয়া দিগন্তকে বলেন, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে, মানুষ কষ্টে আছে এটা অস্বীকার করার কোনো উপায় নেই। যেসব মানুষ কষ্টে আছে তাদের সাথে আমরা সমব্যথী। দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে আনা নতুন সরকারের জন্য একটা চ্যালেঞ্জ। শেখ হাসিনার সরকার এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে সামনের দিকে এগিয়ে যাবে। প্রধানমন্ত্রী ইতোমধ্যে মন্ত্রিসভায় নির্দেশ দিয়েছেন। আমরা আশা করি, শিগগিরই এর সমাধান হবে। বিএনপির আন্দোলন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বিএনপি জামায়াত- দেশকে পিছিয়ে নেয়ার জন্য রাজনৈতিক কর্মসূচির নামে ধ্বংসযজ্ঞ চালায়।

এরা রাজনৈতিকভাবে দেউলিয়া হয়ে গেছে। নির্বাচনের পরে নির্বাচিত সরকারকে যখন সারা দুনিয়া থেকে সমর্থন দিয়েছে তখন বিএনপি-জামায়াত আন্দোলনের নামে মানুষ পুড়িয়ে মারার রাজনীতি করছে। হত্যাকারী হিসেবে দেশের মানুষ তাদের প্রত্যাখ্যান করেছে। দেশের মানুষ তাদের রাজনীতি আর দেখতে চায় না। তারপরও তারা কর্মসূচির নামে আবার নতুন করে ধ্বংসযজ্ঞ শুরু করলে কঠোরভাবে প্রতিহত করা হবে। কোনো ছাড় দেয়া হবে না।