ঢাকা , সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

নিউইয়র্কের সড়কে প্রাণ গেল বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত কলেজছাত্রীর

  • সূর্যোদয় ডেস্ক:
  • আপডেট সময় ০৪:২৫:৩৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ জানুয়ারী ২০২৪
  • ১১১৩ বার পড়া হয়েছে

যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে সড়ক দুর্ঘটনায় বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত এক কলেজছাত্রী নিহত হয়েছেন। গত রবিবার স্থানীয় সময় ভোরে নিউইয়র্কের লং আইল্যান্ড সাউদার্ন স্টেট পার্ক মহাসড়কে এক দুর্ঘটনায় ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় কলেজছাত্রী দেবপ্রীতা দে ব্রতীর (১৮)।

নিহত দেবপ্রীতা দে সিলেটের ওষুধ ব্যবসায়ী ও সেন্ট্রাল ফার্মেসির পরিচিত মুখ দেবাশীষ দে বাসু ও ভার্শতি দে দম্পতির ছোট মেয়ে।

স্থানীয় পুলিশ জানিয়েছে, লং আইল্যান্ড সাউদার্ন স্টেট পার্ক মহাসড়কের ৩৫ নম্বর বাহির পথে ইনফেনিটি গাড়িতে ছিলেন দেবপ্রীতা দে। গাড়ির চালক ছিলেন তার বন্ধু জীবন লেইকেন (১৯)। বাহির পথে অন্য একটি জিপ গাড়ির সঙ্গে ইনফিনিটি গাড়ির ধাক্কা লাগলে গাড়িটি সড়ক থেকে ছিটকে গাছে ধাক্কা দেয়। ভোর পৌনে ৬টার দিকে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে ইনফিনিটি গাড়ির ভেতর থেকে দুজনের মরদেহ উদ্ধার করে। অপর গাড়ির চালককে আহত অবস্থায় স্থানীয় হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। দুর্ঘটনার কারণ জানা যায়নি। নিউইয়র্ক পুলিশের একাধিক বিভাগ এ নিয়ে তদন্ত করছে।

ম্যানহাটন কমিউনিটি কলেজের ছাত্রী দেবপ্রীতা দে পরিবারের সঙ্গে কুইন্সের জ্যাকসন হাইটস এলাকার করোনা নামক এলাকায় বসবাস করতেন। দুর্ঘটনার সময় তার বাবা-মা দেশে অবস্থান করছিলেন। গত রবিবার বেলা ২টায় পুলিশ পরিবারের খোঁজ করে দেবপ্রীতার বোনকে মৃত্যুর সংবাদ জানায়।

পুলিশ ও হাসপাতালের আনুষ্ঠানিকতা শেষে নিউইয়র্ক সময় আজ মঙ্গলবার রাতে এমিরেটসের ফ্লাইটে মরদেহ দেশে পাঠানো হবে।

দেবপ্রীতা দের কাকা সুব্রত দে গৌতম জানান, তিনি নিউইয়র্ক ও কানাডা থেকে পরিবারের সদস্যরাসহ মরদেহ নিয়ে দেশে যাচ্ছেন। আগামী বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকায় পৌঁছানোর পর সেদিনই সিলেটে নেওয়া হবে।

পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার সিলেট শহরের চালিবন্দরে দেবপ্রীতা দের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া সম্পন্ন হবে। দেশে থাকা দেবপ্রীতা দের বাবা মাকে দুর্ঘটনার সংবাদ জানানো হয়েছে।

এদিকে, নিউইয়র্কে দুর্ঘটনার সংবাদ ছড়িয়ে পড়ার পর কমিউনিটিতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। সামাজিক সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে ব্যাপকভাবে জড়িত পরিবারটির খোঁজখবর নিতে লোকজনকে ভিড় করতে দেখা গেছে।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

আজকের সূর্যোদয়

আজকের সূর্যোদয় প্রত্রিকায় আপনাদের স্বাগতম। ‍আমাদের নিউজ পড়ুন এবং বিজ্ঞাপন দিয়ে আমাদের পাশে থাকুন।

বরিশালে মুজিবিয়ানের ৮৭ নেতাকে খুঁজছে গোয়েন্দা সংস্থা

নিউইয়র্কের সড়কে প্রাণ গেল বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত কলেজছাত্রীর

আপডেট সময় ০৪:২৫:৩৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ জানুয়ারী ২০২৪

যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে সড়ক দুর্ঘটনায় বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত এক কলেজছাত্রী নিহত হয়েছেন। গত রবিবার স্থানীয় সময় ভোরে নিউইয়র্কের লং আইল্যান্ড সাউদার্ন স্টেট পার্ক মহাসড়কে এক দুর্ঘটনায় ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় কলেজছাত্রী দেবপ্রীতা দে ব্রতীর (১৮)।

নিহত দেবপ্রীতা দে সিলেটের ওষুধ ব্যবসায়ী ও সেন্ট্রাল ফার্মেসির পরিচিত মুখ দেবাশীষ দে বাসু ও ভার্শতি দে দম্পতির ছোট মেয়ে।

স্থানীয় পুলিশ জানিয়েছে, লং আইল্যান্ড সাউদার্ন স্টেট পার্ক মহাসড়কের ৩৫ নম্বর বাহির পথে ইনফেনিটি গাড়িতে ছিলেন দেবপ্রীতা দে। গাড়ির চালক ছিলেন তার বন্ধু জীবন লেইকেন (১৯)। বাহির পথে অন্য একটি জিপ গাড়ির সঙ্গে ইনফিনিটি গাড়ির ধাক্কা লাগলে গাড়িটি সড়ক থেকে ছিটকে গাছে ধাক্কা দেয়। ভোর পৌনে ৬টার দিকে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে ইনফিনিটি গাড়ির ভেতর থেকে দুজনের মরদেহ উদ্ধার করে। অপর গাড়ির চালককে আহত অবস্থায় স্থানীয় হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। দুর্ঘটনার কারণ জানা যায়নি। নিউইয়র্ক পুলিশের একাধিক বিভাগ এ নিয়ে তদন্ত করছে।

ম্যানহাটন কমিউনিটি কলেজের ছাত্রী দেবপ্রীতা দে পরিবারের সঙ্গে কুইন্সের জ্যাকসন হাইটস এলাকার করোনা নামক এলাকায় বসবাস করতেন। দুর্ঘটনার সময় তার বাবা-মা দেশে অবস্থান করছিলেন। গত রবিবার বেলা ২টায় পুলিশ পরিবারের খোঁজ করে দেবপ্রীতার বোনকে মৃত্যুর সংবাদ জানায়।

পুলিশ ও হাসপাতালের আনুষ্ঠানিকতা শেষে নিউইয়র্ক সময় আজ মঙ্গলবার রাতে এমিরেটসের ফ্লাইটে মরদেহ দেশে পাঠানো হবে।

দেবপ্রীতা দের কাকা সুব্রত দে গৌতম জানান, তিনি নিউইয়র্ক ও কানাডা থেকে পরিবারের সদস্যরাসহ মরদেহ নিয়ে দেশে যাচ্ছেন। আগামী বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকায় পৌঁছানোর পর সেদিনই সিলেটে নেওয়া হবে।

পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার সিলেট শহরের চালিবন্দরে দেবপ্রীতা দের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া সম্পন্ন হবে। দেশে থাকা দেবপ্রীতা দের বাবা মাকে দুর্ঘটনার সংবাদ জানানো হয়েছে।

এদিকে, নিউইয়র্কে দুর্ঘটনার সংবাদ ছড়িয়ে পড়ার পর কমিউনিটিতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। সামাজিক সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে ব্যাপকভাবে জড়িত পরিবারটির খোঁজখবর নিতে লোকজনকে ভিড় করতে দেখা গেছে।