কুড়িগ্রাম সদর উপজেলায় পাওনা টাকা ফেরত চাওয়াকে কেন্দ্র করে ঘরবাড়ি ও দোকানপাট ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় কয়েক লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী।
শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টার দিকে সদরের হোলোখানা ইউনিয়নের লক্ষ্মীকান্ত ঠগের হাট গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ফারুক হোসেনের সঙ্গে পাওনা টাকা নিয়ে লক্ষ্মীকান্ত আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আজাদ হোসেন ও প্রধান শিক্ষক মো. মিজানুর রহমানের দীর্ঘদিন ধরে বিবাদ চলে আসছিল। পরে পাওনা টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করে আজ সকালে দুর্বৃত্তরা ফারুকের দোকান ও বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করেছে।
এ ঘটনায় মো. ফারুক হোসেন জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ এ ফোন দেন। পরে পুলিশ আসার আগে দুর্বৃত্তরা রফিকুল ও ফারুকের বাড়ির আসবাবপত্রসহ নগদ টাকাসহ কয়েক লাখ টাকার ক্ষতি করে পালিয়ে যায়।
প্রধান শিক্ষক মো. মিজানুর রহমান বলেন, আমি জানি না। আমি নামাজে যাচ্ছি। যার সঙ্গে এ ঘটনা তার সঙ্গে কথা বলেন। এ বিষয়ে জানতে আজাদ হোসেনকে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।
ভুক্তভোগী ফারুক হোসেন বলেন, আমি গত চার বছর আগে মিজানুর রহমান ও আজাদ স্যারকে চাকরির জন্য ১২ লাখ টাকা দিই। চাকরি তো দেননি, সেই টাকাও দিচ্ছেন না তারা। এ নিয়ে অনেক বিচার হয়েছে। টাকার জন্য চাপ দিলে আজ তারা লোকজন দিয়ে আমার বাড়ি ঘর ভাঙচুর করেছে। আমরা তাদের ভয়ে বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছি।
সদরের হলোখানা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. রেজাউল করিম রেজা বলেন, খবর পাওয়ার পর আমি ঘটনাস্থলে গিয়েছি। ব্যাপক পরিমাণে ভাঙচুর হয়েছে। তবে কে বা কারা করেছে আমার জানা নেই।
কুড়িগ্রাম সদর থানা পুলিশের ওসি মো. মাসুদুর রহমান বলেন, এ ঘটনায় থানায় কোনো অভিযোগ আসেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনিব্যবস্থা নেওয়া হবে।