ঢাকা , সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

বগুড়ায় উপ-নির্বাচনে ভোট দেননি ৭৭ ভাগ ভোটার

  • সূর্যোদয় ডেস্ক:
  • আপডেট সময় ০৫:৪৩:২২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
  • ১১৪০ বার পড়া হয়েছে

শেষ হয়েছে বগুড়ায় দুই আসনের উপনির্বাচন। আসন দুটি হলো বগুড়া-৪ (কাহালু –নন্দীগ্রাম) ও বগুড়া-৬ (সদর)। এ দুটি আসনের উপ-নির্বাচনে ভোট দেননি প্রায় ৭৭ ভাগ ভোটার। এ ছাড়া কাঙ্ক্ষিত ভোট পেতে ব্যর্থ হওয়ায় মোট ২০ জন প্রার্থীর মধ্যে জাতীয় পার্টির (জাপা) দু’জনসহ ১৪ জনই জামানত হারিয়েছেন।

জাপা প্রার্থীরা হলেন বগুড়া-৪ আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী লাঙ্গল প্রতীকে শাহীন মোস্তফা কামাল ও বগুড়া-৬ আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী লাঙ্গল প্রতীকে সাবেক বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ নূরুল ইসলাম ওমর রয়েছেন। আলোচিত হিরো আলম একটি আসনে বিজয়ী প্রার্থীর চেয়ে মাত্র ৮৩৪ ভোট কম পেয়ে হারলেও অপরটিতে জামানত হারিয়েছেন। তিনি নিজের বাড়ি সদর আসনে জামানত হারলেও পাশের আসনে বিপুল ভোট পান।

বগুড়া-৪ আসন : বগুড়া জেলা নির্বাচন অফিস জানিয়েছে, এ আসনে মোট তিন লাখ ২৮ হাজার ২৬৯ জন ভোটারে মধ্যে ভোট দিয়েছেন ৭৮ হাজার ৫২৪ জন। প্রদত্ত ভোট শতকরা ২৩ দশমিক ৯২ শতাংশ অর্থাৎ ভোট দিতে কেন্দ্রে যাননি প্রায় ৭৭ ভাগ ভোটার। এ আসনে মোট নয়জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। তাদের মধ্যে জাপা প্রার্থীসহ পাঁচজন জামানত হারিয়েছেন।

তিনি জানান, নির্বাচনী আইন মোতাবেক প্রদত্ত ভোটের আট ভাগের এক ভাগ ভোট কোনো প্রার্থী না পেলে সেই প্রার্থী জামানত ফিরে পাবেন না। সে হিসেবে এ আসনে একজন প্রার্থীকে কমপক্ষে নয় হাজার ৮১ ভোট পেতে হতো। কিন্তু সেই ভোট না পেয়ে জামানত হারিয়েছেন জাতীয় পার্টির শাহীন মোস্তফা কামাল ফারুক। তিনি লাঙ্গল প্রতীকে ছয় হাজার ৪৪৬ ভোট পেয়েছেন। এছাড়া জাকের পার্টির আব্দুর রশিদ সরদার গোলাপ ফুল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন চার হাজার ৬৪ ভোট, বাংলাদেশ কংগ্রেস পাটির তাজ উদ্দিন মণ্ডল ডাব প্রতীক নিয়ে তিন হাজার ৫৬৭ ভোট পেয়েছেন। স্বতন্ত্র প্রার্থী ইলিয়াস আলী মণ্ডল কলার ছড়ি প্রতীক নিয়ে ৮৪৮ ও গোলাম মোস্তফা দালান প্রতীকে দু’হাজার ৩৯০ ভোট পেয়েছেন।

এ আসনে বিজয়ী ১৪ দলীয় জোট সমর্থিত ও জাসদ (ইনু) মনোনীত প্রার্থী এ কে এম রেজাউল করিম তানসেন মশাল প্রতীকে ২০ হাজার ৪০৫ ভোট পেয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী একতারা প্রতীকে আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলম ১৯ হাজার ৫৭১ ভোট পেয়েছেন। এছাড়া সাবেক আওয়ামী লীগ নেতা মোশফিকুর রহমান কাজল ট্রাক প্রতীকে ১০ হাজার ৭৯১ ও সাবেক বিএনপি নেতা কামরুল হাসান সিদ্দিকী জুয়েল কুড়াল প্রতীকে ১০ হাজার ৪৪২ ভোট পেয়ে জামানত ফিরে পাবেন।

বগুড়া-৬ আসন : অন্যদিকে বগুড়া-৬ আসনে জাপাসহ নয়জনের জামানত নেই। বগুড়া-৬ (সদর) আসনের সদ্য সমাপ্ত উপ-নির্বাচনে (সদর উপজেলা ও পৌরসভা ) এ আসনের ১৪৩ কেন্দ্রের মোট চার লাখ ১০ হাজার ৭৪৩ ভোটারের মধ্যে ভোট দিয়েছেন ৯১ হাজার ৭৪২ জন। প্রদত্ত ভোট শতকরা ২২ দশমিক ৩৪ ভাগ অর্থ্যাৎ ভোট দেননি ৭৭ দশমিক ৬৬ ভাগ ভোটার।

নির্বাচন অফিস সূত্র জানিয়েছে, এখানে নির্বাচনী আইন মোতাবেক একজন প্রার্থীকে জামানত ফিরে পেতে কমপক্ষে ভোট পেতে হতো ১১ হাজার ৪৬৭ ভোট। কিন্তু ১১ জন প্রার্থীর মধ্যে নয়জনই তেমন ভোট পাননি। তাই তারা জামানত হারিয়েছেন। শুধুমাত্র বিজয়ী নৌকা প্রতীকে আওয়ামী লীগ মনোনীত রাগেবুল আহসান রিপু ৪৯ হাজার ৩৩৬ ভোট ও নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল মান্নান আকন্দ ( ট্রাক ) ২১ হাজার ৮৬৪ ভোট পাওয়ায় জামানত ফিরে পাবেন।

জামানত হারানো প্রার্থীরা হলেন জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকে নূরুল ইসলাম ওমর পেয়েছেন ছয় হাজার ৯৯৫ ভোট, স্বতন্ত্র প্রার্থী একতারা প্রতীকে আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলম পেয়েছেন পাঁচ হাজার ২৭৪ ভোট, মো: সরকার বাদল কুড়াল প্রতীকে পেয়েছেন দুই হাজার ৮১১ ভোট, মাছুদার রহমান হেলাল আপেল প্রতীকে এক হাজার ৬১৮ ভোট, রাকিব হোসেন কুমির প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন এক হাজার ৪৪৯ ভোট, মশাল প্রতীকে জাসদ (ইনু) প্রার্থী ইমদাদুল হক ইমদাদ পেয়েছেন এক হাজার ৩৪০ ভোট, খেলাফত আন্দোলনের মো: নজরুল ইসলাম পেয়েছেন ৪৬৮ ভোট, জাকের পার্টির গোলাপ ফুল প্রতীকে মোহাম্মাদ ফয়সাল বিন শফিক পেয়েছেন ৪১৭ ভোট এবং গণফ্রন্টের প্রার্থী মাছ প্রতীকে মো: আফজাল হোসেন পেয়েছেন ১৭০ ভোট।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

আজকের সূর্যোদয়

আজকের সূর্যোদয় প্রত্রিকায় আপনাদের স্বাগতম। ‍আমাদের নিউজ পড়ুন এবং বিজ্ঞাপন দিয়ে আমাদের পাশে থাকুন।

বরিশালে মুজিবিয়ানের ৮৭ নেতাকে খুঁজছে গোয়েন্দা সংস্থা

বগুড়ায় উপ-নির্বাচনে ভোট দেননি ৭৭ ভাগ ভোটার

আপডেট সময় ০৫:৪৩:২২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

শেষ হয়েছে বগুড়ায় দুই আসনের উপনির্বাচন। আসন দুটি হলো বগুড়া-৪ (কাহালু –নন্দীগ্রাম) ও বগুড়া-৬ (সদর)। এ দুটি আসনের উপ-নির্বাচনে ভোট দেননি প্রায় ৭৭ ভাগ ভোটার। এ ছাড়া কাঙ্ক্ষিত ভোট পেতে ব্যর্থ হওয়ায় মোট ২০ জন প্রার্থীর মধ্যে জাতীয় পার্টির (জাপা) দু’জনসহ ১৪ জনই জামানত হারিয়েছেন।

জাপা প্রার্থীরা হলেন বগুড়া-৪ আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী লাঙ্গল প্রতীকে শাহীন মোস্তফা কামাল ও বগুড়া-৬ আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী লাঙ্গল প্রতীকে সাবেক বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ নূরুল ইসলাম ওমর রয়েছেন। আলোচিত হিরো আলম একটি আসনে বিজয়ী প্রার্থীর চেয়ে মাত্র ৮৩৪ ভোট কম পেয়ে হারলেও অপরটিতে জামানত হারিয়েছেন। তিনি নিজের বাড়ি সদর আসনে জামানত হারলেও পাশের আসনে বিপুল ভোট পান।

বগুড়া-৪ আসন : বগুড়া জেলা নির্বাচন অফিস জানিয়েছে, এ আসনে মোট তিন লাখ ২৮ হাজার ২৬৯ জন ভোটারে মধ্যে ভোট দিয়েছেন ৭৮ হাজার ৫২৪ জন। প্রদত্ত ভোট শতকরা ২৩ দশমিক ৯২ শতাংশ অর্থাৎ ভোট দিতে কেন্দ্রে যাননি প্রায় ৭৭ ভাগ ভোটার। এ আসনে মোট নয়জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। তাদের মধ্যে জাপা প্রার্থীসহ পাঁচজন জামানত হারিয়েছেন।

তিনি জানান, নির্বাচনী আইন মোতাবেক প্রদত্ত ভোটের আট ভাগের এক ভাগ ভোট কোনো প্রার্থী না পেলে সেই প্রার্থী জামানত ফিরে পাবেন না। সে হিসেবে এ আসনে একজন প্রার্থীকে কমপক্ষে নয় হাজার ৮১ ভোট পেতে হতো। কিন্তু সেই ভোট না পেয়ে জামানত হারিয়েছেন জাতীয় পার্টির শাহীন মোস্তফা কামাল ফারুক। তিনি লাঙ্গল প্রতীকে ছয় হাজার ৪৪৬ ভোট পেয়েছেন। এছাড়া জাকের পার্টির আব্দুর রশিদ সরদার গোলাপ ফুল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন চার হাজার ৬৪ ভোট, বাংলাদেশ কংগ্রেস পাটির তাজ উদ্দিন মণ্ডল ডাব প্রতীক নিয়ে তিন হাজার ৫৬৭ ভোট পেয়েছেন। স্বতন্ত্র প্রার্থী ইলিয়াস আলী মণ্ডল কলার ছড়ি প্রতীক নিয়ে ৮৪৮ ও গোলাম মোস্তফা দালান প্রতীকে দু’হাজার ৩৯০ ভোট পেয়েছেন।

এ আসনে বিজয়ী ১৪ দলীয় জোট সমর্থিত ও জাসদ (ইনু) মনোনীত প্রার্থী এ কে এম রেজাউল করিম তানসেন মশাল প্রতীকে ২০ হাজার ৪০৫ ভোট পেয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী একতারা প্রতীকে আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলম ১৯ হাজার ৫৭১ ভোট পেয়েছেন। এছাড়া সাবেক আওয়ামী লীগ নেতা মোশফিকুর রহমান কাজল ট্রাক প্রতীকে ১০ হাজার ৭৯১ ও সাবেক বিএনপি নেতা কামরুল হাসান সিদ্দিকী জুয়েল কুড়াল প্রতীকে ১০ হাজার ৪৪২ ভোট পেয়ে জামানত ফিরে পাবেন।

বগুড়া-৬ আসন : অন্যদিকে বগুড়া-৬ আসনে জাপাসহ নয়জনের জামানত নেই। বগুড়া-৬ (সদর) আসনের সদ্য সমাপ্ত উপ-নির্বাচনে (সদর উপজেলা ও পৌরসভা ) এ আসনের ১৪৩ কেন্দ্রের মোট চার লাখ ১০ হাজার ৭৪৩ ভোটারের মধ্যে ভোট দিয়েছেন ৯১ হাজার ৭৪২ জন। প্রদত্ত ভোট শতকরা ২২ দশমিক ৩৪ ভাগ অর্থ্যাৎ ভোট দেননি ৭৭ দশমিক ৬৬ ভাগ ভোটার।

নির্বাচন অফিস সূত্র জানিয়েছে, এখানে নির্বাচনী আইন মোতাবেক একজন প্রার্থীকে জামানত ফিরে পেতে কমপক্ষে ভোট পেতে হতো ১১ হাজার ৪৬৭ ভোট। কিন্তু ১১ জন প্রার্থীর মধ্যে নয়জনই তেমন ভোট পাননি। তাই তারা জামানত হারিয়েছেন। শুধুমাত্র বিজয়ী নৌকা প্রতীকে আওয়ামী লীগ মনোনীত রাগেবুল আহসান রিপু ৪৯ হাজার ৩৩৬ ভোট ও নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল মান্নান আকন্দ ( ট্রাক ) ২১ হাজার ৮৬৪ ভোট পাওয়ায় জামানত ফিরে পাবেন।

জামানত হারানো প্রার্থীরা হলেন জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকে নূরুল ইসলাম ওমর পেয়েছেন ছয় হাজার ৯৯৫ ভোট, স্বতন্ত্র প্রার্থী একতারা প্রতীকে আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলম পেয়েছেন পাঁচ হাজার ২৭৪ ভোট, মো: সরকার বাদল কুড়াল প্রতীকে পেয়েছেন দুই হাজার ৮১১ ভোট, মাছুদার রহমান হেলাল আপেল প্রতীকে এক হাজার ৬১৮ ভোট, রাকিব হোসেন কুমির প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন এক হাজার ৪৪৯ ভোট, মশাল প্রতীকে জাসদ (ইনু) প্রার্থী ইমদাদুল হক ইমদাদ পেয়েছেন এক হাজার ৩৪০ ভোট, খেলাফত আন্দোলনের মো: নজরুল ইসলাম পেয়েছেন ৪৬৮ ভোট, জাকের পার্টির গোলাপ ফুল প্রতীকে মোহাম্মাদ ফয়সাল বিন শফিক পেয়েছেন ৪১৭ ভোট এবং গণফ্রন্টের প্রার্থী মাছ প্রতীকে মো: আফজাল হোসেন পেয়েছেন ১৭০ ভোট।