ঢাকা , মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

বেইলি রোডে আগুন লাগার কারণ জানালেন মেয়র তাপস

  • সূর্যোদয় ডেস্ক:
  • আপডেট সময় ০৮:২০:২৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১ মার্চ ২০২৪
  • ১১১৫ বার পড়া হয়েছে

ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেছেন, ইমারত নির্মাণ বিধিমালা না মানায় বেইলি রোডের অগ্নিকাণ্ডে অনেক মানুষ নিহত হয়েছেন এবং অনেককে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছে।

শুক্রবার বার্ন ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন রোগী এবং পরবর্তীকালে বেইলি রোডের দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে গণমাধ্যমের সাথে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।

ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, ‘আমাদের প্রাথমিক পরিদর্শন এবং তথ্য থেকে আমরা যতটুকু জানতে ও দেখতে পেয়েছি, এই ভবন নির্মাণে অনেক গাফিলতি করা হয়েছে। এই ভবন নির্মাণে ইমারত নির্মাণ বিধিমালা, বিএমডিসি কোডে যে নির্ণায়কগুলো রয়েছে সেগুলো সম্পূর্ণরূপে লঙ্ঘন করা হয়েছে। আমরা পরিদর্শনে দেখলাম, ১০ তলা ভবন হওয়া সত্ত্বেও মাত্র একটি সিঁড়ি রয়েছে এবং সেই সিঁড়িটাও নির্ধারিত মানদ- অনুযায়ী প্রশস্ত নয়। ইমারত নির্মাণ বিধিমালা অনুযায়ী পাঁচ তলার ওপরে ভবন হলেই একটি ভবনে দুটো সিঁড়ি থাকতেই হবে এবং একটি সিঁড়ি জরুরি সাড়া প্রদানের জন্য নির্ধারিত থাকবে। অগ্নিকাণ্ড, ভূমিধ্বসসহ যেকোনো ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগকালে সেটি ব্যবহৃত হবে। কিন্তু এই ভবনে তা মানা হয়নি বলেই অগ্নিকাণ্ডে এতো হতাহত হয়েছে।’

এ সময় ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন কর্তৃক সরকারের কাছে প্রেরিত ইমারত নির্মাণ ও পুনঃনির্মাণ বিধিমালা দ্রুত অনুমোদন পাওয়ার প্রত্যাশা ব্যক্ত করে মেয়র বলেন, ‘এ ধরনের ব্যাপক প্রাণহানি ও ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে ইমারত নির্মাণ বিধিমালা পূর্ণাঙ্গরূপে বাস্তবায়ন ও পরিপালন একান্ত আবশ্যক। বিগত বছরগুলোতে যে দুর্যোগগুলো হয়েছে সেগুলোর আলোকে এ ধরনের দুর্যোগ মোকাবেলায় জরুরি সাড়া প্রদানে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন একটি খসড়া নীতিমালা প্রণয়ন করছে। তাছাড়া ইমারত নির্মাণ ও পুনঃনির্মাণে সিটি কর্পোরেশনের অনুমতি নেয়া বাধ্যতামূলক করে আমরা একটি নীতিমালা সরকারের কাছে প্রেরণ করেছি। সেটি নিয়ে বিভিন্ন কর্তৃপক্ষের সাথে মতবিনিময় চলছে। আমরা আশা করব, সরকার দ্রুত এই নীতিমালাটির অনুমোদন দেবে।’

এর আগে মেয়র বার্ন ইনস্টিটিউটে ভর্তি রোগী এবং তাদের স্বজনদের সাথে কথা বলেন এবং সমবেদনা জানান। এছাড়াও তিনি এই দুর্ঘটনায় যারা নিহত হয়েছে তাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন এবং শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সহানুভূতি জ্ঞাপন করেন।

এ সময় অন্যান্যের মধ্যে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির, কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো: মিজানুর রহমান, সচিব আকরামুজ্জামান, কাউন্সিলরদের মধ্যে ২০ নম্বর ওয়ার্ডের ফরিদ উদ্দিন আহমেদ রতন, ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের আবুল বাশার, ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের মো: এনামুল হক, ৮ নম্বর ওয়ার্ডের মো. সুলতান মিয়া, ৬ নম্বর ওয়ার্ডের মো: সিরাজুল ইসলাম ভাট্টি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। সূত্র : বাসস

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

আজকের সূর্যোদয়

আজকের সূর্যোদয় প্রত্রিকায় আপনাদের স্বাগতম। ‍আমাদের নিউজ পড়ুন এবং বিজ্ঞাপন দিয়ে আমাদের পাশে থাকুন।

বরিশালে মুজিবিয়ানের ৮৭ নেতাকে খুঁজছে গোয়েন্দা সংস্থা

বেইলি রোডে আগুন লাগার কারণ জানালেন মেয়র তাপস

আপডেট সময় ০৮:২০:২৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১ মার্চ ২০২৪

ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেছেন, ইমারত নির্মাণ বিধিমালা না মানায় বেইলি রোডের অগ্নিকাণ্ডে অনেক মানুষ নিহত হয়েছেন এবং অনেককে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছে।

শুক্রবার বার্ন ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন রোগী এবং পরবর্তীকালে বেইলি রোডের দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে গণমাধ্যমের সাথে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।

ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, ‘আমাদের প্রাথমিক পরিদর্শন এবং তথ্য থেকে আমরা যতটুকু জানতে ও দেখতে পেয়েছি, এই ভবন নির্মাণে অনেক গাফিলতি করা হয়েছে। এই ভবন নির্মাণে ইমারত নির্মাণ বিধিমালা, বিএমডিসি কোডে যে নির্ণায়কগুলো রয়েছে সেগুলো সম্পূর্ণরূপে লঙ্ঘন করা হয়েছে। আমরা পরিদর্শনে দেখলাম, ১০ তলা ভবন হওয়া সত্ত্বেও মাত্র একটি সিঁড়ি রয়েছে এবং সেই সিঁড়িটাও নির্ধারিত মানদ- অনুযায়ী প্রশস্ত নয়। ইমারত নির্মাণ বিধিমালা অনুযায়ী পাঁচ তলার ওপরে ভবন হলেই একটি ভবনে দুটো সিঁড়ি থাকতেই হবে এবং একটি সিঁড়ি জরুরি সাড়া প্রদানের জন্য নির্ধারিত থাকবে। অগ্নিকাণ্ড, ভূমিধ্বসসহ যেকোনো ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগকালে সেটি ব্যবহৃত হবে। কিন্তু এই ভবনে তা মানা হয়নি বলেই অগ্নিকাণ্ডে এতো হতাহত হয়েছে।’

এ সময় ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন কর্তৃক সরকারের কাছে প্রেরিত ইমারত নির্মাণ ও পুনঃনির্মাণ বিধিমালা দ্রুত অনুমোদন পাওয়ার প্রত্যাশা ব্যক্ত করে মেয়র বলেন, ‘এ ধরনের ব্যাপক প্রাণহানি ও ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে ইমারত নির্মাণ বিধিমালা পূর্ণাঙ্গরূপে বাস্তবায়ন ও পরিপালন একান্ত আবশ্যক। বিগত বছরগুলোতে যে দুর্যোগগুলো হয়েছে সেগুলোর আলোকে এ ধরনের দুর্যোগ মোকাবেলায় জরুরি সাড়া প্রদানে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন একটি খসড়া নীতিমালা প্রণয়ন করছে। তাছাড়া ইমারত নির্মাণ ও পুনঃনির্মাণে সিটি কর্পোরেশনের অনুমতি নেয়া বাধ্যতামূলক করে আমরা একটি নীতিমালা সরকারের কাছে প্রেরণ করেছি। সেটি নিয়ে বিভিন্ন কর্তৃপক্ষের সাথে মতবিনিময় চলছে। আমরা আশা করব, সরকার দ্রুত এই নীতিমালাটির অনুমোদন দেবে।’

এর আগে মেয়র বার্ন ইনস্টিটিউটে ভর্তি রোগী এবং তাদের স্বজনদের সাথে কথা বলেন এবং সমবেদনা জানান। এছাড়াও তিনি এই দুর্ঘটনায় যারা নিহত হয়েছে তাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন এবং শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সহানুভূতি জ্ঞাপন করেন।

এ সময় অন্যান্যের মধ্যে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির, কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো: মিজানুর রহমান, সচিব আকরামুজ্জামান, কাউন্সিলরদের মধ্যে ২০ নম্বর ওয়ার্ডের ফরিদ উদ্দিন আহমেদ রতন, ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের আবুল বাশার, ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের মো: এনামুল হক, ৮ নম্বর ওয়ার্ডের মো. সুলতান মিয়া, ৬ নম্বর ওয়ার্ডের মো: সিরাজুল ইসলাম ভাট্টি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। সূত্র : বাসস