ঢাকা , বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

রোগীর নামে ওষুধ তুলে বিক্রির অভিযোগ, নারী আটক

  • সূর্যোদয় ডেস্ক:
  • আপডেট সময় ০৩:৪৬:৪৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ মার্চ ২০২৪
  • ১১০৩ বার পড়া হয়েছে

২৫০ শয্যা বিশিষ্ট চাঁদপুর সরকারি জেনারেল (সদর) হাসপাতালে নামে বেনামে রোগীর নাম দিয়ে টিকেট কেটে ওষুধ নিয়ে তা বিক্রি এবং চিকিৎসকদের কক্ষে ঢুকে আপত্তিকর আচরণ করায় নাজমা বেগম (৪৫) নামে এক নারীকে আটক করা হয়েছে। গতকাল বুধবার দুপুরে হাসপাতালের ২০৭ নম্বর কক্ষ থেকে আনসার সদস্যরা তাকে আটক করে চাঁদপুর সদর মডেল থানা পুলিশে সোপর্দ করে।

জানা যায়, ওই নারী শহরের চেয়ারম্যানঘাট এলাকার বাসিন্দা। একসময় তিনি আইনজীবীর সহকারী হিসেবে কাজ করতেন। বর্তমানে তিনি সদর মডেল থানা, সাব রেজিস্ট্রি অফিস ও সরকারি হাসপাতালের বিভিন্ন স্থানে প্রতারণা করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালের আনসার (পিসি) সুরুজ্জামান বলেন, হাসপাতালের ২১৫ নম্বর কক্ষে মেডিকেল কর্মকর্তা আনজুম আরা ফেন্সি ও ২০৭ নম্বর কক্ষে মেডিকেল কর্মকর্তা নূরুন্নাহার রোগীদের চিকিৎসাসেবা দিচ্ছেন। ওই সময় সিরিয়াল ভেঙে নাজমা বেগম তাদের কক্ষে ঢুকে নির্দিষ্ট কয়েকটি ওষুধের নাম লিখে দেওয়ার জন্য চাপ দেন। চিকিৎসক ওষুধের নাম লিখতে রাজি না হওয়ায় নাজমা বেগম তার সঙ্গে অশালীন ও আপত্তিকর আচরণ করেন।

পরে হাসপাতালের স্টাফ ও আনসার সদস্যরা এগিয়ে এলে তাদেরও তিনি গালমন্দ করেন। এরপর তাকে চাঁদপুর সদর মডেল থানা পুলিশ ও আনসারদের সহায়তায় আটক করা হয়। এ সময় ওই নারীর কাছ থেকে নাজমা, সালমা, সালেহাসহ বিভিন্ন নামের একাধিক হাসপাতালের টিকেট ও ওষুধ পাওয়া যায়।

সদর হাসপাতালের একাধিক কর্মচারী জানান, বিভিন্ন সময়ে হাসপাতালে চিকিৎসকদের কক্ষে ঢুকে কখনো নাজমা, কখনো সালমাসহ বিভিন্ন পরিচয় দেয়। হাসপাতাল থেকে বিভিন্ন নামে ওষুধ নিয়ে তা অন্যখানে বিক্রি করেন। রোগীদের কাছ থেকে কৌশলে টাকা- পয়সা ও মোবাইল ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগও আছে তার বিরুদ্ধে।

চাঁদপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. জাকারিয়া হোসেন জানান, ভ্রাম্যমাণ আদালতে নাজমা বেগম নামে ওই নারীকে উপস্থিত করা হয়। তার সঙ্গে কথা বলে মনে হয়েছে মানসিক সমস্যা আছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের কোনো ভিডিও ফুটেজ দেখাতে পারেনি। যে কারণে কোনো ধরনের আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা সম্ভব হয়নি। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে বলেছি, যদি পরবর্তীতে ওই নারী হাসপাতালের কার্যক্রমে কোনো ধরনের বাধা প্রদান করে তাহলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

আজকের সূর্যোদয়

আজকের সূর্যোদয় প্রত্রিকায় আপনাদের স্বাগতম। ‍আমাদের নিউজ পড়ুন এবং বিজ্ঞাপন দিয়ে আমাদের পাশে থাকুন।

বরিশালে মুজিবিয়ানের ৮৭ নেতাকে খুঁজছে গোয়েন্দা সংস্থা

রোগীর নামে ওষুধ তুলে বিক্রির অভিযোগ, নারী আটক

আপডেট সময় ০৩:৪৬:৪৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ মার্চ ২০২৪

২৫০ শয্যা বিশিষ্ট চাঁদপুর সরকারি জেনারেল (সদর) হাসপাতালে নামে বেনামে রোগীর নাম দিয়ে টিকেট কেটে ওষুধ নিয়ে তা বিক্রি এবং চিকিৎসকদের কক্ষে ঢুকে আপত্তিকর আচরণ করায় নাজমা বেগম (৪৫) নামে এক নারীকে আটক করা হয়েছে। গতকাল বুধবার দুপুরে হাসপাতালের ২০৭ নম্বর কক্ষ থেকে আনসার সদস্যরা তাকে আটক করে চাঁদপুর সদর মডেল থানা পুলিশে সোপর্দ করে।

জানা যায়, ওই নারী শহরের চেয়ারম্যানঘাট এলাকার বাসিন্দা। একসময় তিনি আইনজীবীর সহকারী হিসেবে কাজ করতেন। বর্তমানে তিনি সদর মডেল থানা, সাব রেজিস্ট্রি অফিস ও সরকারি হাসপাতালের বিভিন্ন স্থানে প্রতারণা করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালের আনসার (পিসি) সুরুজ্জামান বলেন, হাসপাতালের ২১৫ নম্বর কক্ষে মেডিকেল কর্মকর্তা আনজুম আরা ফেন্সি ও ২০৭ নম্বর কক্ষে মেডিকেল কর্মকর্তা নূরুন্নাহার রোগীদের চিকিৎসাসেবা দিচ্ছেন। ওই সময় সিরিয়াল ভেঙে নাজমা বেগম তাদের কক্ষে ঢুকে নির্দিষ্ট কয়েকটি ওষুধের নাম লিখে দেওয়ার জন্য চাপ দেন। চিকিৎসক ওষুধের নাম লিখতে রাজি না হওয়ায় নাজমা বেগম তার সঙ্গে অশালীন ও আপত্তিকর আচরণ করেন।

পরে হাসপাতালের স্টাফ ও আনসার সদস্যরা এগিয়ে এলে তাদেরও তিনি গালমন্দ করেন। এরপর তাকে চাঁদপুর সদর মডেল থানা পুলিশ ও আনসারদের সহায়তায় আটক করা হয়। এ সময় ওই নারীর কাছ থেকে নাজমা, সালমা, সালেহাসহ বিভিন্ন নামের একাধিক হাসপাতালের টিকেট ও ওষুধ পাওয়া যায়।

সদর হাসপাতালের একাধিক কর্মচারী জানান, বিভিন্ন সময়ে হাসপাতালে চিকিৎসকদের কক্ষে ঢুকে কখনো নাজমা, কখনো সালমাসহ বিভিন্ন পরিচয় দেয়। হাসপাতাল থেকে বিভিন্ন নামে ওষুধ নিয়ে তা অন্যখানে বিক্রি করেন। রোগীদের কাছ থেকে কৌশলে টাকা- পয়সা ও মোবাইল ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগও আছে তার বিরুদ্ধে।

চাঁদপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. জাকারিয়া হোসেন জানান, ভ্রাম্যমাণ আদালতে নাজমা বেগম নামে ওই নারীকে উপস্থিত করা হয়। তার সঙ্গে কথা বলে মনে হয়েছে মানসিক সমস্যা আছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের কোনো ভিডিও ফুটেজ দেখাতে পারেনি। যে কারণে কোনো ধরনের আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা সম্ভব হয়নি। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে বলেছি, যদি পরবর্তীতে ওই নারী হাসপাতালের কার্যক্রমে কোনো ধরনের বাধা প্রদান করে তাহলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।