ঢাকা , বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

বিলুপ্তপ্রাপ্ত রেংমিটচা ভাষা রক্ষায় এগিয়ে আসলো সেনাবাহিনী, নির্মাণ করে দেয়া হলো স্কুল

  • সূর্যোদয় ডেস্ক:
  • আপডেট সময় ০৫:৫১:২৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ১০ মার্চ ২০২৪
  • ১১০৫ বার পড়া হয়েছে

পার্বত্য চট্টগ্রামের বিলুপ্ত প্রায় রেংমিটচা ভাষা রক্ষায় উদ্যোগ নিয়েছে সেনাবাহিনী। পাহাড়ে শিক্ষার উন্নয়ন, সেই সাথে রেংমিটচা ভাষা রক্ষায় বান্দরবানের আলীকদমের দুর্গম ক্রাংসি পাড়ায় একটি স্কুল করে দিয়েছে সেনাবাহিনী। ওই স্কুলটিতে শিক্ষার্থীদের বাংলা ভাষায় পড়ানোর পাশাপাশি রেংমিটচা ভাষারও চর্চা হবে।

রোববার সকালে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে স্কুলটির উদ্বোধন করেন সেনাবাহিনীর বান্দরবানের রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল গোলাম মহিউদ্দিন আহমেদ। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন নবাগত রিজয় কমান্ডর ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মেহেদী হাসান, আলীকদমের জোনের অধিনায়ক লেঃ কর্নেল শওকাতুল মোনায়েম। এছাড়া সাথে এলাকার লোকজন জনপ্রতিনিধি পুলিশসহ সবাই উপস্থিত থেকে স্কুলটির উদ্বোধন করেন।

সেখানে মহল্লাবাসীদের জন্য ওয়ালটনের উদ্যোগে পানির ব্যবস্থাও করে দেয়া হয়। এছাড়া স্কুলের শিক্ষার্থীদের মাঝে দেয়া হয় শিক্ষা সামগ্রী। ওই স্কুলটিতে এখন ৪০ জন শিক্ষার্থী পড়ালেখা করছে। রয়েছে চারজন শিক্ষক।

এবার একুশে ফেব্রুয়ারি মহান মাতৃভাষা দিবসে পাহাড়ের বিলুপ্তপ্রায় রেংমিটচা ভাষা নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে নিউজ প্রকাশিত হয়। এটি নজরে আসে সেনাবাহিনীর। আর এরপরই বিলুপ্তপ্রায় এ ভাষাটি রক্ষায় এগিয়ে আসে সেনাবাহিনী।

রিজিয়ন কমান্ডার জানান, সেনাবাহিনী পাহাড়ে জনসাধারণের নিরাপত্তা প্রদানের পাশাপাশি শিক্ষা স্বাস্থ্য সামাজিক সুরক্ষা নিয়ে কাজ করে থাকে। এর অংশ হিসেবে দুর্গম এলাকায় শিক্ষার মান উন্নয়ন, সেই সাথে বিলুপ্তপ্রায় একটি ভাষা রক্ষায় উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এ ধারা ভবিষ্যতে অব্যাহত থাকবে।

বর্তমানে বান্দরবানের আলীকদম উপজেলা সদর থেকে প্রায় ১৫ কিলোমিটার দূরে দুর্গম ক্রাংসি পাড়ায় রেংমিটচা জাতির বসবাস। বর্তমানে এই জনগোষ্ঠীর মাত্র ৭ জন এ ভাষায় কথা বলে। এদের সবারই বয়স ৬০ বছরের ওপরে। এদের মৃত্যু হলে এ ভাষাটিও বিলুপ্ত হয়ে যাবে বলে আশঙ্কা তাদের।

পাহাড়ের ম্রো সম্প্রদায়ের সাথে সংস্কৃতি ও বৈচিত্রে রেংমিটচাদের মিল থাকায় বর্তমানে তাদের ভাষা এখন বিলুপ্তির পথে। প্রান্তিক এই জনগোষ্ঠী নিয়ে বিভিন্ন সময় গণমাধ্যমে তথ্য উঠে আসে। ভাষাটি রক্ষায় এখন সেখানে সেনাবাহিনীর উদ্যোগে একটি স্কুল প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। এতে করে বিলুপ্তপ্রায় এই ভাষাটি রক্ষা পাবে বলে আশা স্থানীয়দের।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

আজকের সূর্যোদয়

আজকের সূর্যোদয় প্রত্রিকায় আপনাদের স্বাগতম। ‍আমাদের নিউজ পড়ুন এবং বিজ্ঞাপন দিয়ে আমাদের পাশে থাকুন।

বরিশালে মুজিবিয়ানের ৮৭ নেতাকে খুঁজছে গোয়েন্দা সংস্থা

বিলুপ্তপ্রাপ্ত রেংমিটচা ভাষা রক্ষায় এগিয়ে আসলো সেনাবাহিনী, নির্মাণ করে দেয়া হলো স্কুল

আপডেট সময় ০৫:৫১:২৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ১০ মার্চ ২০২৪

পার্বত্য চট্টগ্রামের বিলুপ্ত প্রায় রেংমিটচা ভাষা রক্ষায় উদ্যোগ নিয়েছে সেনাবাহিনী। পাহাড়ে শিক্ষার উন্নয়ন, সেই সাথে রেংমিটচা ভাষা রক্ষায় বান্দরবানের আলীকদমের দুর্গম ক্রাংসি পাড়ায় একটি স্কুল করে দিয়েছে সেনাবাহিনী। ওই স্কুলটিতে শিক্ষার্থীদের বাংলা ভাষায় পড়ানোর পাশাপাশি রেংমিটচা ভাষারও চর্চা হবে।

রোববার সকালে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে স্কুলটির উদ্বোধন করেন সেনাবাহিনীর বান্দরবানের রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল গোলাম মহিউদ্দিন আহমেদ। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন নবাগত রিজয় কমান্ডর ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মেহেদী হাসান, আলীকদমের জোনের অধিনায়ক লেঃ কর্নেল শওকাতুল মোনায়েম। এছাড়া সাথে এলাকার লোকজন জনপ্রতিনিধি পুলিশসহ সবাই উপস্থিত থেকে স্কুলটির উদ্বোধন করেন।

সেখানে মহল্লাবাসীদের জন্য ওয়ালটনের উদ্যোগে পানির ব্যবস্থাও করে দেয়া হয়। এছাড়া স্কুলের শিক্ষার্থীদের মাঝে দেয়া হয় শিক্ষা সামগ্রী। ওই স্কুলটিতে এখন ৪০ জন শিক্ষার্থী পড়ালেখা করছে। রয়েছে চারজন শিক্ষক।

এবার একুশে ফেব্রুয়ারি মহান মাতৃভাষা দিবসে পাহাড়ের বিলুপ্তপ্রায় রেংমিটচা ভাষা নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে নিউজ প্রকাশিত হয়। এটি নজরে আসে সেনাবাহিনীর। আর এরপরই বিলুপ্তপ্রায় এ ভাষাটি রক্ষায় এগিয়ে আসে সেনাবাহিনী।

রিজিয়ন কমান্ডার জানান, সেনাবাহিনী পাহাড়ে জনসাধারণের নিরাপত্তা প্রদানের পাশাপাশি শিক্ষা স্বাস্থ্য সামাজিক সুরক্ষা নিয়ে কাজ করে থাকে। এর অংশ হিসেবে দুর্গম এলাকায় শিক্ষার মান উন্নয়ন, সেই সাথে বিলুপ্তপ্রায় একটি ভাষা রক্ষায় উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এ ধারা ভবিষ্যতে অব্যাহত থাকবে।

বর্তমানে বান্দরবানের আলীকদম উপজেলা সদর থেকে প্রায় ১৫ কিলোমিটার দূরে দুর্গম ক্রাংসি পাড়ায় রেংমিটচা জাতির বসবাস। বর্তমানে এই জনগোষ্ঠীর মাত্র ৭ জন এ ভাষায় কথা বলে। এদের সবারই বয়স ৬০ বছরের ওপরে। এদের মৃত্যু হলে এ ভাষাটিও বিলুপ্ত হয়ে যাবে বলে আশঙ্কা তাদের।

পাহাড়ের ম্রো সম্প্রদায়ের সাথে সংস্কৃতি ও বৈচিত্রে রেংমিটচাদের মিল থাকায় বর্তমানে তাদের ভাষা এখন বিলুপ্তির পথে। প্রান্তিক এই জনগোষ্ঠী নিয়ে বিভিন্ন সময় গণমাধ্যমে তথ্য উঠে আসে। ভাষাটি রক্ষায় এখন সেখানে সেনাবাহিনীর উদ্যোগে একটি স্কুল প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। এতে করে বিলুপ্তপ্রায় এই ভাষাটি রক্ষা পাবে বলে আশা স্থানীয়দের।