ঢাকা , সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

তারাবির কিছু রাকাত ছুটে গেলে করণীয়

  • সূর্যোদয় ডেস্ক:
  • আপডেট সময় ০৯:৩৯:২২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১১ মার্চ ২০২৪
  • ১১০৫ বার পড়া হয়েছে

ফরজ রোজা পালনের জন্য যেসব সুন্নতের ওপর গুরুত্ব দিয়ে আমল করতে হয় তার একটি তারাবি নামাজ। তারাবি নামাজের বিশেষ ফজিলত বর্ণিত হয়েছে হাদিসে।

হজরত আবু হুরায়রা রা. বলেন, আমি আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে রমজান সম্পর্কে বলতে শুনেছি, যে ব্যক্তি রমজানে ঈমানের সাথে সওয়াব লাভের আশায় কিয়ামে রমজান অর্থাৎ তারাবির নামাজ আদায় করবে তার পূর্ববর্তী গোনাহসমূহ মাফ করে দেয়া হবে। (বুখারি, (ইসলামিক ফাউন্ডেশন), হাদিস, ১৮৭৯)

প্রাপ্ত বয়স্ক নারী ও পুরুষের জন্য তারাবি নামাজ আদায় করা সু্ন্নতে মুয়াক্কাদা। কোনো বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া তারাবির নামাজ ছেড়ে দেওয়া মাকরুহ। অসুস্থ ও রুগীর ওপর তারাবি জরুরি নয়, তবে কোনো কষ্ট না হলে তাদেরও পড়া মুস্তাহাব।

তারাবির ইমাম প্রাপ্ত বয়স্ক ও সুস্থ মস্তিষ্ক পুরুষ হওয়া জরুরি। নাবালেগ হাফেজের পেছনে বালেগ পুরুষ-মহিলা কারও জন্যই ইক্তিদা করা বৈধ নয়।

পুরুষদের মসজিদে জামাতের সঙ্গে তারাবি নামাজ আদায় করা উচিত। নারীদের জন্য কোনো মসজিদে বিশেষ ও নিরাপদ ব্যবস্থা থাকলে নারীরাও মসজিদে গিয়ে তারাবি নামাজ আদায় করতে পারবেন।

তারাবির জামাতে অংশ নিতে দেরি হওয়ার কারণে যদি কারও তারাবির জামাত থেকে কিছু রাকাত ছুটে যায় তাহলে বেতরের নামাজের পর তা আদায় করে নেবে।

তবে কোনো কারণে তারাবির নামাজ পুরোটাই ছুটে গেলে সম্ভব হলে এবং রাতে সময় পেলে তারাবি পড়ে নেওয়া উত্তম। কিন্তু তারাবির সময় তারাবির নামাজ পড়তে না পারলে পরবর্তীতে আর কাজা করতে হবে না। পরবর্তীতে কেউ তারাবির নামাজের কাজা পড়লে তা নফল হিসেবে গণ্য হবে। তারাবি নামাজের কাজা বলে গণ্য হবে না।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

আজকের সূর্যোদয়

আজকের সূর্যোদয় প্রত্রিকায় আপনাদের স্বাগতম। ‍আমাদের নিউজ পড়ুন এবং বিজ্ঞাপন দিয়ে আমাদের পাশে থাকুন।

বরিশালে মুজিবিয়ানের ৮৭ নেতাকে খুঁজছে গোয়েন্দা সংস্থা

তারাবির কিছু রাকাত ছুটে গেলে করণীয়

আপডেট সময় ০৯:৩৯:২২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১১ মার্চ ২০২৪

ফরজ রোজা পালনের জন্য যেসব সুন্নতের ওপর গুরুত্ব দিয়ে আমল করতে হয় তার একটি তারাবি নামাজ। তারাবি নামাজের বিশেষ ফজিলত বর্ণিত হয়েছে হাদিসে।

হজরত আবু হুরায়রা রা. বলেন, আমি আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে রমজান সম্পর্কে বলতে শুনেছি, যে ব্যক্তি রমজানে ঈমানের সাথে সওয়াব লাভের আশায় কিয়ামে রমজান অর্থাৎ তারাবির নামাজ আদায় করবে তার পূর্ববর্তী গোনাহসমূহ মাফ করে দেয়া হবে। (বুখারি, (ইসলামিক ফাউন্ডেশন), হাদিস, ১৮৭৯)

প্রাপ্ত বয়স্ক নারী ও পুরুষের জন্য তারাবি নামাজ আদায় করা সু্ন্নতে মুয়াক্কাদা। কোনো বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া তারাবির নামাজ ছেড়ে দেওয়া মাকরুহ। অসুস্থ ও রুগীর ওপর তারাবি জরুরি নয়, তবে কোনো কষ্ট না হলে তাদেরও পড়া মুস্তাহাব।

তারাবির ইমাম প্রাপ্ত বয়স্ক ও সুস্থ মস্তিষ্ক পুরুষ হওয়া জরুরি। নাবালেগ হাফেজের পেছনে বালেগ পুরুষ-মহিলা কারও জন্যই ইক্তিদা করা বৈধ নয়।

পুরুষদের মসজিদে জামাতের সঙ্গে তারাবি নামাজ আদায় করা উচিত। নারীদের জন্য কোনো মসজিদে বিশেষ ও নিরাপদ ব্যবস্থা থাকলে নারীরাও মসজিদে গিয়ে তারাবি নামাজ আদায় করতে পারবেন।

তারাবির জামাতে অংশ নিতে দেরি হওয়ার কারণে যদি কারও তারাবির জামাত থেকে কিছু রাকাত ছুটে যায় তাহলে বেতরের নামাজের পর তা আদায় করে নেবে।

তবে কোনো কারণে তারাবির নামাজ পুরোটাই ছুটে গেলে সম্ভব হলে এবং রাতে সময় পেলে তারাবি পড়ে নেওয়া উত্তম। কিন্তু তারাবির সময় তারাবির নামাজ পড়তে না পারলে পরবর্তীতে আর কাজা করতে হবে না। পরবর্তীতে কেউ তারাবির নামাজের কাজা পড়লে তা নফল হিসেবে গণ্য হবে। তারাবি নামাজের কাজা বলে গণ্য হবে না।