ঢাকা , সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

ইফতারের ফজিলত

  • সূর্যোদয় ডেস্ক:
  • আপডেট সময় ০৫:৪৩:৩১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ মার্চ ২০২৪
  • ১১০৮ বার পড়া হয়েছে

ইফতার ইসলামের একটি বিশেষ পরিভাষা। ভোর থেকে সারা দিন সিয়াম পালন শেষে সূর্যাস্তের পর প্রথম যে আহার গ্রহণ করা হয়, তাকে ইসলামের পরিভাষায় ‘ইফতার’ বলা হয়। যে খাদ্য বা পানীয় দ্বারা ইফতার করা হয়, তাকে ‘ইফতারি’ বলা হয়।

ইফতারের আগেই ইফতারি সামনে নিয়ে অপেক্ষা করা এবং যথাসময়ে ইফতার করা সুন্নাত। হাদিসে বর্ণিত হয়েছে রোজাদারের দোয়া আল্লাহর কাছে এতই আকর্ষণীয় যে আল্লাহ তায়ালা রমজানের সময় ফেরেশতাদের উদ্দেশে ঘোষণা করেন, ‘রমজানে তোমাদের পূর্বের দায়িত্ব মওকুফ করা হলো এবং নতুন দায়িত্বের আদেশ করা হলো, তা হলো আমার রোজাদার বান্দাগণ যখন কোনো দোয়া মোনাজাত করবে, তখন তোমরা আমিন! আমিন!! বলতে থাকবে।’ (মুসান্নাফে আবদুর রাজ্জাক)।

হাদিসে কুদসিতে এসেছে, মহান আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আমার বান্দাদের মধ্যে তারা আমার বেশি প্রিয়, যারা দ্রুত ইফতার করে।’ (তিরমিজি, আলফিয়্যাতুল হাদিস: ৫৬০, পৃষ্ঠা: ১৩১)।

হজরত সাহল ইবনে সাআদ (রা.) বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘যত দিন লোকেরা ওয়াক্ত হওয়ামাত্র ইফতার করবে, তত দিন তারা কল্যাণের ওপর থাকবে।’ (বুখারি, সাওম অধ্যায়, হাদিস: ১৮৩৩)।

ইফতারের সময় দোয়া কবুল হয়। কোরআন-হাদিসে উল্লেখ রয়েছে এমন দোয়া উত্তম। এছাড়া নিজের ভাষায় নিজের মতো করেও দোয়া করা যায়। ইফতারের আগে এই দোয়া পড়া সুন্নাত, ‘আল্লাহুম্মা লাকা ছুমতু ওয়া আলা রিজকিকা আফতারতু’। অর্থ: হে আল্লাহ! আপনার জন্য আমি রোজা রেখেছি, আপনার রিজিক দ্বারা ইফতার করছি। (আবু দাউদ, সাওম অধ্যায়)।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

আজকের সূর্যোদয়

আজকের সূর্যোদয় প্রত্রিকায় আপনাদের স্বাগতম। ‍আমাদের নিউজ পড়ুন এবং বিজ্ঞাপন দিয়ে আমাদের পাশে থাকুন।

বরিশালে মুজিবিয়ানের ৮৭ নেতাকে খুঁজছে গোয়েন্দা সংস্থা

ইফতারের ফজিলত

আপডেট সময় ০৫:৪৩:৩১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ মার্চ ২০২৪

ইফতার ইসলামের একটি বিশেষ পরিভাষা। ভোর থেকে সারা দিন সিয়াম পালন শেষে সূর্যাস্তের পর প্রথম যে আহার গ্রহণ করা হয়, তাকে ইসলামের পরিভাষায় ‘ইফতার’ বলা হয়। যে খাদ্য বা পানীয় দ্বারা ইফতার করা হয়, তাকে ‘ইফতারি’ বলা হয়।

ইফতারের আগেই ইফতারি সামনে নিয়ে অপেক্ষা করা এবং যথাসময়ে ইফতার করা সুন্নাত। হাদিসে বর্ণিত হয়েছে রোজাদারের দোয়া আল্লাহর কাছে এতই আকর্ষণীয় যে আল্লাহ তায়ালা রমজানের সময় ফেরেশতাদের উদ্দেশে ঘোষণা করেন, ‘রমজানে তোমাদের পূর্বের দায়িত্ব মওকুফ করা হলো এবং নতুন দায়িত্বের আদেশ করা হলো, তা হলো আমার রোজাদার বান্দাগণ যখন কোনো দোয়া মোনাজাত করবে, তখন তোমরা আমিন! আমিন!! বলতে থাকবে।’ (মুসান্নাফে আবদুর রাজ্জাক)।

হাদিসে কুদসিতে এসেছে, মহান আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আমার বান্দাদের মধ্যে তারা আমার বেশি প্রিয়, যারা দ্রুত ইফতার করে।’ (তিরমিজি, আলফিয়্যাতুল হাদিস: ৫৬০, পৃষ্ঠা: ১৩১)।

হজরত সাহল ইবনে সাআদ (রা.) বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘যত দিন লোকেরা ওয়াক্ত হওয়ামাত্র ইফতার করবে, তত দিন তারা কল্যাণের ওপর থাকবে।’ (বুখারি, সাওম অধ্যায়, হাদিস: ১৮৩৩)।

ইফতারের সময় দোয়া কবুল হয়। কোরআন-হাদিসে উল্লেখ রয়েছে এমন দোয়া উত্তম। এছাড়া নিজের ভাষায় নিজের মতো করেও দোয়া করা যায়। ইফতারের আগে এই দোয়া পড়া সুন্নাত, ‘আল্লাহুম্মা লাকা ছুমতু ওয়া আলা রিজকিকা আফতারতু’। অর্থ: হে আল্লাহ! আপনার জন্য আমি রোজা রেখেছি, আপনার রিজিক দ্বারা ইফতার করছি। (আবু দাউদ, সাওম অধ্যায়)।